ডায়েট

সারাক্ষণ খিদে লাগে!

​িখদে পেলে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। মডেল: নিপু, ছবি: অধুনা
​িখদে পেলে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। মডেল: নিপু, ছবি: অধুনা

‘সারাটা দিন কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করে’—এমন কথা আজকাল যেন সবার মুখে মুখে। এই খাওয়ার আগ্রহকে দোষের কিছুও বলা যাবে না! অন্তত ততক্ষণ পর্যন্ত তো ন-ই, যতক্ষণ না তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। সমস্যা হচ্ছে, যখন কিছু না খেলে মেজাজ খারাপ হওয়া, যা সামনে পড়ে তা-ই খেতে শুরু করা, সারাক্ষণ তেলে ভাজা বা শর্করা-জাতীয় খাবার খাওয়ার মতো ব্যাপার শুরু হবে, তখনই তৈরি হবে নানা জটিলতা। এতে একদিকে যেমন ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে নানা রোগের কবলে পড়ার আশঙ্কাও।

তবে কি খিদে লাগলে না খেয়ে থাকবেন? অবশ্যই না। খেতে ইচ্ছে করলে এমন কিছু খান, যা শরীরের জন্য ভালো হবে। আবার তা আপনার জন্য ক্ষতিকরও হবে না। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।

সালাদ

অসময়ে খাওয়ার জন্য সালাদের কোনো তুলনাই হয় না। শসা, গাজর, টমেটো, লেবু, লেটুস-পাতা, বিট, মাশরুম, ব্রকোলি ইত্যাদির সঙ্গে একটু টকদই মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন সালাদ। সেটি একদিকে যেমন অনেকক্ষণ পেটে থাকবে, তেমন ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। দিনে একবার বা দুইবার সালাদ খেলে ধীরে ধীরে যখন-তখন ভাজা-পোড়া খাওয়ার আগ্রহও কমে যাবে।

ফলমূল

দিনে যেকোনো সময় একটা আপেল, কমলা, মালটা, পাকা পেঁপে, কলা, তরমুজ, আম, বরই, পেয়ারা বা এ ধরনের ফল খেতে পারেন। চাইলে একাধিক ফলও খাওয়া যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন পুষ্টিচাহিদা পূরণ হবে। আবার ওজন, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও কমবে। তা ছাড়া অন্য খাবারের চেয়ে ফল সাশ্রয়ীও হবে।

ওটস

অসময়ে খিদে পেলে ওটস খাওয়া যেতে পারে। ওটসের খিচুড়ি, পিঠা, প্যানকেক বা সাধারণভাবে দুধে ভিজিয়ে কিশমিশ বা বাদাম দিয়ে খেয়ে নিতে পারেন সহজেই। এটি বানানো সহজ, বহন করা সহজ, অনেকক্ষণ পেট ভরা মনে হবে। আবার শর্করা খাওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে।

পানি-জাতীয় খাবার

খিদে পেলে পানি-জাতীয় খাবার খেলে খিদে কমবে। আম, কলা, পেঁপে—এসবের জুস খেতে পারেন। সঙ্গে প্রচুর ডিটক্স পানিও পান করা যেতে পারে। এ ছাড়া বাড়ি থাকলে পাতলা ডাল বা স্যুপ খেতে পারেন।

সবজি

প্রচুর সবজি খেতে পারেন। কুমড়া, লাউ, বরবটি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন ইত্যাদি দিয়ে নিজের পছন্দমতো সবজি তেল ছাড়া বা কম তেলে রান্না করা যেতে পারে। সবজি একদিকে যেমন পুষ্টির অভাব কমাবে, অন্যদিকে ওজন বাড়ার ভয় নেই।

এ ছাড়া এয়ার ফ্রাইড পপকর্ন, টকদই ইত্যাদিও খাওয়া যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, শুধু এমন কোনো খাবার খাওয়া যাবে না, যা রুচির জন্য খেয়ে পরে বিপদে পড়তে হয়।