>পেশাগত, শিক্ষাগত বা অন্য কোনো কারণে যাঁরা মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকেন তাঁদের জন্যই ছিল মা দিবসের এ আয়োজন। অধুনায় ছাপা কুপনে মাকে নিয়ে পাঁচটি পঙ্ক্তি লিখতে বলা হয়েছিল সন্তানকে। সারা দেশ থেকে অসংখ্য সন্তান অংশ নিয়েছেন এই আয়োজনে। তাঁদের মধ্য থেকে লটারি করে বিজয়ী হয়েছেন ১২ জন। মা দিবসে সেই সন্তানদের পক্ষ থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি ও বন্ধুসভার বন্ধুরা গিয়েছেন তাঁদের মায়ের কাছে। ফুল, মিষ্টি, শাড়ি আর নানা ধরনের উপহারের সঙ্গে নিয়ে গেছেন মাকে উদ্দেশ করে লেখা সন্তানের সেই ভালোবাসার পঙ্ক্তিমালা। মায়েদের জন্য এটা ছিল বিস্ময়। সেই ১২ মায়ের এবং সন্তানদের অনুভূতি নিয়েই এ আয়োজন।

‘ছেলে আসতে পারছে না, চিঠি লিখেছে। এর থেকে বড় সম্মান বড় শ্রদ্ধা কী হতে পারে’—মা নিলুফার রেনু এভাবেই জানালেন অনুভূতি।
রোববার সকালে ছোট ছেলে ইমরামুল ইসলামের লেখা পঙ্ক্তি ফ্রেমে বাঁধাই করে তুলে দেওয়া হয় নিলুফার রেনুর হাতে। সঙ্গে প্রথম আলোর উপহার শাড়ি, বই, গানের সিডি ও মগ। তখন দূরে থাকা ইমরামুল ইসলামকে কল করে ফোনটা ধরিয়ে দেওয়া হয় মায়ের হাতে।
মা বললেন, ‘বাবা, একটু আসতে পারবে না! চলে আসো, এই মুহূর্তে তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।’
ছেলে জানান, ‘অফিসে অনেক কাজ। তার পরও চেষ্টা করছি।’
নিলুফার জানালেন তাঁর মাকে নিয়ে একটি ঘটনা। ১৯৬৩ সালে ঢাকায় থাকতেন। মা ছিলেন মাগুরার শ্রীপুরের গ্রামের বাড়িতে। ‘মায়ের জন্যে খুব মন খারাপ হচ্ছিল। মাকে নিয়ে ‘রেনু’ নামে একটা কবিতা লিখলাম।
কবিতা লেখার কিছুদিন পরেই রেনুর মা মারা যান। ‘মাকে কবিতাটা শোনাতে পারিনি। কিন্তু সেটা বাঁধিয়ে আজও নিজের কাছে রেখেছি। আজ ছেলের লেখা পেলাম। সেদিনের মায়ের কাছে লেখা কবিতা না শোনানোর সেই কষ্ট ভুলিয়ে দিল এই লেখা।’