অন্য খবর

স্নুকারে বিশ্বসেরা

এনজি অন-ই
এনজি অন-ই

পুরু চশমার চাহনিতে তাঁকে কিশোরী বলে ভ্রম হয়। আদতে এনজি অন-ই ২৭ বছর বয়সী একজন নারী স্নুকার বা বিলিয়ার্ড খেলোয়াড়। শুধু একজন খেলোয়াড়ই নন, এশিয়ার প্রথম নারী হিসেবে সম্প্রতি বিশ্ব নারী স্নুকারস (ডব্লিউএলবিএস) র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

বাবার হাত ধরেই এনজি অন-ই এসেছেন এই স্নুকারের জগতে। তাঁর বাবাও ছিলেন স্নুকার খেলোয়াড়। বাবার অনুশীলনকক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে এখন তিনি উজ্জ্বল বিশ্বদরবারে।

হংকংয়ে স্নুকার খেলা সব সময় পুরুষদের দখলে ছিল। কিন্তু এনজি প্রমাণ করেছেন নারীরা চাইলে যেকোনো খেলায় অবদান রাখতে পারেন, শীর্ষ ছুঁতে পারেন। এনজি যেমন বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন সব খেলার জন্য শারীরিক শক্তির প্রয়োজন, যা নারীদের পক্ষে সম্ভব নয়। আবার কিছু লোক মেয়েদের স্নুকার খেলাকে খারাপভাবে দেখে। বিলিয়ার্ড রুমকে মনে করেন গ্যাংস্টারদের আড্ডাখানা, রীতিমতো মারামারির জায়গা। যেমনটা দেখানো হয় সিনেমায়। কিন্তু আদতে তা নয়; স্নুকার কঠিন বুদ্ধির খেলা।’ আর এই বুদ্ধির জোরেই এনজি এখন বিশ্বসেরা। শুধু বুদ্ধি থাকলেই নাকি স্নুকার খেলোয়াড়দের চলে না, নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় আবেগ। আবেগকে বশ করতে পারলেই সাফল্য ধরা দেয়। যেমন সাফল্য পেয়েছেন
এনজি অন-ই।

বিবিসি অবলম্বনে উপমা ইসলাম