এ সপ্তাহের নায়ক

'পাখিদের কষ্ট দেখে কষ্ট হয়'

মানুষের বিপদে-আপদে তো আছেনই। থাকেন পশুপাখির বিপদেও। ফাঁদে আটকা পড়া অসুস্থ পাখিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও সেবা-শুশ্রূষা দেন। পাখিপ্রেমী এই মানুষটির নাম মতিন সৈকত

মতিন সৈকত
মতিন সৈকত

এ কাজে জড়িত হলেন কীভাবে?
এই এলাকায় (কুমিল্লার দাউদকান্দি) প্রচুর মাছ চাষ হয়। তাই এখানে পুকুরও প্রচুর। পাখিদের হাত থেকে মাছ রক্ষায় চাষিরা পুকুরের ওপর জাল ও সুতা পেতে দেন। সেই জালে আটকা পড়ে পাখিরা অসুস্থ হয়ে পড়ে, মারাও যায়। এগুলো দেখে আমার ভীষণ কষ্ট লাগত।
এ পর্যন্ত কতগুলো পাখির জীবন বাঁচিয়েছেন?
১৮টি শঙ্খচিল, দুটি লক্ষ্মীপেঁচা, দুটি বাদুড়, একটি ফিঙ্গে, একটি মাছরাঙা, দুটি কাক ও একটি পায়রা।
কতদিন ধরে এ কাজ করছেন? প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা মনে আছে?
২০০৬ সাল থেকে। দাউদকান্দি উপজেলার আদমপুর গ্রামে আমার বাড়ি। ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন শিক্ষক। স্থানীয় তীরচর আতিকিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় বাংলা পড়াই। একদিন বিকেলে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে একটা পুকুরের পাড়ে মানুষের জটলা দেখে এগোলাম। গিয়ে দেখি, একটি শঙ্খচিল সুতায় আটকা পড়ে পানিতে খাবি খাচ্ছে। সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিষয়টা উপভোগ করছে। পরনে প্যান্ট-শার্ট ছিল। তাই নিয়ে পুকুরে নেমে পড়লাম। পাখিটাকে উদ্ধার করে বাড়ি এনে ওষুধ খাওয়াই। তিন দিন সেবা-শুশ্রূষার পর সুস্থ হয়। পরে ছেড়ে দিই।
সাক্ষাৎকার: আবুল হাসনাত
ছবি: আবদুর রহমান ঢালী