'প্রেসক্রিপশন লিখুন বড় হাতের অক্ষরে'

প্রেসক্রিপশন স্পষ্টভাবে লেখা, বড় হাতের অক্ষরে লেখার পাশাপাশি ওষুধের জেনেরিক নাম লেখারও বিধান হতে পারে ভারতে।
প্রেসক্রিপশন স্পষ্টভাবে লেখা, বড় হাতের অক্ষরে লেখার পাশাপাশি ওষুধের জেনেরিক নাম লেখারও বিধান হতে পারে ভারতে।

প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকদের লেখা পড়ে ওষুধের নাম বুঝতেই কষ্ট হয়। সাধারণ মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ করে আসছেন। অবশেষে মানুষের এই ভোগান্তি কমাতে প্রেসক্রিপশন বা ওষুধের ব্যবস্থাপত্র বড় হাতের অক্ষরে লেখার নির্দেশ জারি করতে যাচ্ছে ভারতের সরকার। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিগগিরই এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা গেজেটভুক্ত করবে। পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে জিনিউজ এ খবর জানিয়েছে।

ওষুধের নাম ও নির্দেশনা যথাযথভাবে বুঝতে পারার জন্য বড় হাতের অক্ষরে লেখার পাশাপাশি প্রেসক্রিপশনে ওষুধের জেনেরিক নাম লেখারও বিধান হতে পারে। আশা করা হচ্ছে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপে রোগীরা ভুল ওষুধ সেবনের মতো মারাত্মক সমস্যা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন। এ ছাড়া ওষুধের জেনেরিক নাম লেখা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে মানুষ হয়তো সস্তায় ওষুধ কেনার সুযোগ পাবেন।

পিটিআইকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন,‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা গেজেটভুক্ত করতে যাচ্ছে। এতে প্রেসক্রিপশন স্পষ্টভাবে লেখা, বড় হাতের অক্ষরে লেখার পাশাপাশি ওষুধের জেনেরিক নাম লেখারও বিধান হতে পারে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন যে, অবশ্য বড় হাতের অক্ষরে লেখা বা জেনেরিক নাম লেখার এই নির্দেশনা না মানলে কোনো চিকিৎসকের কোনো জরিমানা হবে না বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে না।

গত বছর, ভারতের পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, চিকিৎসকদের লেখা অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশনের কারণে অনেক মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। এমনকি এই সমস্যা থেকে ভুল ওষুধ সেবনে মৃত্যুও হতে পারে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডাও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জে পি নাড্ডা বলেন,‘কেন্দ্রীয় সরকার ইন্ডিয়ান মেডিকেল কাউন্সিল রেগুলেশনস-২০০২ সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে প্রত্যেক চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে ওষুধের জেনেরিক নাম লেখা ও বড় হাতের অক্ষরে স্পষ্ট করে লেখার এবং একটা যৌক্তিক ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার বাধ্যবাধকতায় আসবেন।’

প্রেসক্রিপশনের জটিলতা থেকে ভারতে প্রতি বছর কতগুলো দুর্ঘটনা ঘটে সে বিষয়ে কোনো তথ্য না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ওষুধ সংক্রান্ত ভুলের প্রায় ১লাখ ঘটনা ঘটে বলেও জানানো হয়েছে জিনিউজের ওই প্রতিবেদনে।