
নতুন বছরের শুরুতে নতুন প্রতিজ্ঞা নিয়ে জীবন শুরু করতে চান অনেকেই। ‘নিউ ইয়ার রেজল্যুশন’-এর এই ধারণা বেশ জনপ্রিয়। তবে বছরের শেষ দিনগুলোতেও নতুনভাবে সাজানো যেতে পারে নিজের জীবন। তাতে নতুন বছরটা শুরুই করতে পারবেন ভিন্ন এক রূপে। ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার আগে হাতে সময় আছে ছয় সপ্তাহের একটু বেশি। জেনে নিন জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এ সময়ে কী কী করতে পারেন।
২০২৬ সালের শুরুতে নিজেকে কেমন দেখতে চান, তা ঠিক করুন। নিজের ‘উন্নত ভার্সন’ হয়ে ওঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনার আচরণের কোন দিকগুলো বদলাতে পারেন, কোন দিকগুলো আরেকটু সুন্দর হতে পারে, তা ভেবে দেখুন। লক্ষ্য যা–ই হোক, তা নির্ধারণ হয়ে গেলে সেই মতো অভ্যাস গড়ে তোলা সহজ।
বছরের যেসব দিন কেটে গেছে, সেসব নিয়ে ভাবুন। নিজের ভুলগুলো স্বীকার করুন অন্তত নিজের কাছে। শুধরে নেওয়ার জন্য কী করতে পারেন, সেটাও ভাবুন। সুন্দর মুহূর্তগুলোর কথাও মনে করুন। তেমন মুহূর্ত কীভাবে ফিরে আসতে পারে বারবার, সেই পরিকল্পনাও করতে পারেন।
অতীত আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে গিয়ে বর্তমানকে হারিয়ে ফেলবেন না। বরং বর্তমানকে উপভোগ করুন। সহজভাবে গ্রহণ করুন বাস্তবতাকে। যেখানেই থাকুন, নিজের উপস্থিতিকে করে তুলুন অনন্য। থাকুন সপ্রতিভ।
প্রতিটি দিনই বিশেষ করে তুলতে পারেন আপনি। ছোট্ট একটা ভালো কাজ করতে পারেন রোজ। তাতে জীবন হয়ে উঠবে অর্থবহ।
সৃজনশীলতার চর্চায় আপনি সুখ খুঁজে পাবেন। বই পড়ুন, নিজের মনের কথা লিখুন। ঘর গোছানো, রান্নাবান্না, পরিবেশন, এমনকি প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিজের সৃজনশীলতার ছাপ রাখতে পারেন।
শীতের সকালে রোদ পোহান। শরীরচর্চা করুন সুবিধাজনক সময়ে। একটানা বসে থাকবেন না। উঠুন। হাঁটুন। ওজন বেশি থাকলে তা কমানোর চেষ্টাও করুন। সময়মতো ঘুমান। সকালে উঠুন। দিনের আলো কাজে লাগান।
হাসুন। উপভোগ করুন জীবন। কাছের মানুষদের সময় দিন। সাফল্যের পেছনে ছুটবেন না। সম্পর্কগুলোর যত্ন নিন। যোগাযোগ রাখুন কাছের মানুষদের সঙ্গে। যাঁদের সঙ্গে মিশে স্বস্তি পান না, তাঁদের আশপাশে বেশি সময় না থাকাই ভালো। গুছিয়ে রাখুন ওয়ার্ডরোব। ঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন অপ্রয়োজনীয় জিনিস। থাকুন পরিপাটি।
সূত্র: মিডিয়াম