
বেকিংয়ের সময় উপকরণের পরিমাপের ওপর নির্ভর করে এর মান
বেকিংয়ে উপকরণের পরিমাপ ঠিকঠাক হতে হবে। এটাই অনেকের পছন্দ, আবার অনেকের অপছন্দ। উপকরণের পরিমাপে তালগোল হলে ফল হবে হিতে বিপরীত। রুটি বানানোর সময় ইস্টের পরিমাণ যেমন কম হতে পারবে না, তেমনি কেক বানানোর সময় বেকিং পাউডারের পরিমাপও হতে হবে সঠিক। চিন্তা করলে বিষয়টি মজার, আবার অনেকের জন্য এটাই হয়তো ঝামেলার। বেকিং করার সময় কোনো রেসিপি অনুসরণ করলে সেটা যথার্থভাবে করা ভালো। ময়দার পরিমাপ কমালে সেখানে হয়তো অন্য কিছুর পরিমাপও কমবেশি করতে হবে। সেটা জেনে নিয়ে এগোলে পুরো সময়ের রান্নার কষ্ট হবে সার্থক। উপকরণগুলো সঠিক পরিমাপে না নিলে বেঠিক ফলগুলো সম্পর্কে জানালেন রেসিপিবিদ জেবুন্নেসা বেগম।
এই উপকরণের পরিমাণ কমবেশি হলে কিছুটা ঝামেলার মুখোমুখি হতে হবে আপনাকে। বেশি হলে কেক বা রুটি শক্ত হয়ে যাবে। কম হলে নরম হয়ে যাবে। কেক কাটার আগেই হয়তো ভেঙে যাবে জায়গায় জায়গায়।
বেকিং পাউডার যেকোনো পদকেই নরম করে। তবে এর বেশি প্রয়োগ ফেটে যাবে। আবার কম দিলে কেক বা রুটি ফুলবে না ঠিকভাবে। বসে যাবে।
বেকিং সোডার পরিমাণ বেশি হলে ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। ফেটেও যেতে পারে। কম হলে ফুলবে না এবং স্পঞ্জ সঠিকভাবে হবে না।
বেকিংয়ের যেকোনো পদকেই নরম করে এটি। তবে ডিমের পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায় ভুলবশত, ময়দার পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে হবে। না হলে প্রয়োজনের তুলনায় নরম হবে। বেশি হয়ে গেলে শুকনা হয়ে যাবে।
তেলের পরিমাণ বেশি হলে পিঠার মতো হয়ে যেতে পারে।
এই দুটি উপকরণের পরিমাণ বেশি হলে ভেতরে কিছুটা কাঁচা থেকে যায় কেক।
ইস্টের পরিমাণ বেশি হলে রুটি বানানোর সময় সেটি অতিরিক্ত ফুলে বা ফেটে যেতে পারে। কম হলে ফুলবে না। অনেক সময় বাতাস লেগে নষ্ট হয়ে যায় ইস্ট। প্যাকেট খোলার আগে বা পরে এটি ফ্রিজে রাখা ভালো।