
হয় ভ্যাপসা গরম না–হয় ঝুমবৃষ্টি—স্বস্তি মেলা ভার! এর মধ্যেই এবারের ঈদ। ডিজাইনাররা আগেভাগেই সেই চিন্তা করেছেন। তাই গুরুত্ব পেয়েছে পোশাকের আরাম। উৎসবের জমকালো ভাব আর আরাম—এ দুইয়ের মিশেল ঘটিয়েছেন পোশাকে।
প্রতিটি পোশাকেই দেখা গেল সময়ের ছাপ। কাপড়ে জর্জেট, সুতি, সিল্ক ও মসলিনের প্রাধান্য। উৎসবকে ধারণ করতে ব্যবহার হয়েছে উজ্জ্বল রং। আর নকশায় বৈচিত্র্য তো আছেই। তবে বরাবরের মতোই নারীর পোশাকে বৈচিত্র্য বেশি। কয়েক বছর ধরে চলা কাটাছেঁড়া এবারও হয়েছে।
শাড়িতে দেখা যায় প্যাঁচওয়ার্ক ও হ্যান্ডপেইন্টের কাজ বেশি। লেইসের কিছু কাজও চোখে পড়ে। আবার মসলিনের কাপড়ের ওপরে ফুলেল নকশার উজ্জ্বল এমব্রয়ডারি করা কিছু শাড়িও এসেছে। এ ছাড়া প্রিন্ট ও টাইডাই করা হয়েছে।
নজর কাড়ছে এক পাশ চিকন, এক পাশ মোটা পাড়ও।
সালোয়ার-কামিজে এবার প্রিন্টের চল বেশি। তরুণীদের আগ্রহ বেশি এসব পোশাকে। এ ছাড়া কটির ব্যবহার গত বছর থেকেই চলছে। তবে এবার ধরনে পরিবর্তন এসেছে, খানিকটা লম্বা। মূলত টু পিসের সঙ্গে কটির চল বেশি। এসব পোশাকে ওপরের অংশ খাটো, নিচের অংশ লম্বা। ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ও অ্যারাবিয়ান ধাঁচের কিছু প্যাটার্নও এনেছে কিছু ফ্যাশন হাউস। আর গাউন তো আছেই। পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকটি বেশ কয়েক বছর ধরে দেশীয় বাজার দখল করে আছে। এবারও শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ছাড়া গাউন থাকবে।
কিশোরীদের জন্য ফিউশনধর্মী কিছু পোশাক এসেছে। লম্বা কামিজের মতো মেঝে ছোঁয়া এসব পোশাক নজরকাড়া। অবশ্য নানা ছাঁটের পালাজ্জোও এবার বাজার মাত করছে।
ছেলেদের উৎসব উদ্যাপনের প্রধান অনুষঙ্গ পাঞ্জাবিতে কাটিংয়ে খুব একটা পরিবর্তন নেই। সুতির বাইরে ভারী কাজের সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্ক, রাজশাহী সিল্ক ইত্যাদি কাপড়ের জমকালো পাঞ্জাবি রয়েছে। পাইপিং, চিকন জরির সুতা, মোটা রঙিন সুতার ব্যবহারে পাঞ্জাবির বাটন প্লেট, কলার ও হাতায় নকশা করা হয়েছে। কাটিংয়ে খুব একটা পরিবর্তন নেই।
পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ ও গাউনের রঙে গরমের কারণে সাদার ছড়াছড়ি।
এ ছাড়া নীলের বিভিন্ন শেড, গোলাপি, বাঙ্গি, বেগুনি, লাল, হলুদ, সাদা, কালো প্রভৃতি রংও রয়েছে।
রূপসজ্জা: পারসোনা
কৃতজ্ঞতা: ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউমেন্ট পার্ক
ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক সানসিল্ক
সহপৃষ্ঠপোষক রিজেন্ট এয়ারওয়েজ
ডিজাইন: মুজিবুল হক
ছবি তুলেছেন: সৌরভ দাশ