
বয়ঃসন্ধিকালে যে কারোরই ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কিশোরীদের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ অনেক সময় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই অতিরিক্ত ব্রণের কারণে কিশোরীরা অনেক সময় আতঙ্কিত হয়ে নানা রকম প্রসাধনসামগ্রী, উপকরণ ও পণ্য ব্যবহার করে থাকে। মানহীন পণ্য ব্যবহার, হাত বা নখ দিয়ে ব্রণ খোঁটার কারণে মুখের ত্বকে ক্ষত ও কালো দাগ হয়ে যায়।
মনে রাখতে হবে, কিশোর বয়সে হরমোনের প্রভাবে ত্বকে কমবেশি ব্রণ হতে পারে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ১৮ বছর বয়সের পর এমনিতেই ব্রণ কমে যায়। তবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ছাড়া কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণও জরুরি।
কিশোর বয়সে হরমোনের প্রভাবে ত্বকে কমবেশি ব্রণ হতে পারে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ১৮ বছর বয়সের পর এমনিতেই ব্রণ কমে যায়। তবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে
সব সময় নিজের আলাদা চিরুনি, তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত। মুখমণ্ডল আলতো চাপে মোছা উচিত, জোরে জোরে বা আড়াআড়ি করে ঘষে মোছা যাবে না। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা যাবে না। রাত জাগা যাবে না।
খুব বেশি ব্রণ হলে এক কাপ পানিতে এক চা-চামচ গ্রিন টি দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। নির্যাস বের হলে এতে কিছু লবঙ্গ দিয়ে পেস্ট করে নিন। এই পেস্ট ব্রণে লাগিয়ে রাখলে খুব তাড়াতাড়ি ব্রণ চলে যায়।
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও ফেসওয়াশ তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। অ্যালোভেরার জেলও ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ভালো কাজ করে।
অনেক সময় ফেসওয়াশ দিয়ে অতিরিক্ত মুখ ধোয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এতে ব্রণ তো যায়ই না, বরং ত্বকের ধরন বদলে যায়।
ব্রণ কমাতে হলে খাদ্যাভ্যাসে আনতে হবে কিছু পরিবর্তন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। খাদ্যতালিকায় কলা ও চিনাবাদাম অবশ্যই রাখতে হবে। চা-কফি পান না করা, তৈলাক্ত, অ্যালার্জিজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। এ ছাড়া দেশি ফল, বিশেষ করে পেয়ারা খুবই উপকারী। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে নিয়মিত। রাতে এক গ্লাস দুধ পান করতে পারলে ভালো।
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় মাস্ক ব্যবহারের কারণে দীর্ঘমেয়াদি ব্রণের রোগীরা নানা রকম ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন। মাস্ক ব্যবহারের কারণে ফুসকুড়ি ওঠা, ত্বক কালো হয়ে যাওয়া, চুলকানি হওয়া, এমনকি অনেকের ত্বকে গর্ত হয়ে যায়। তাদের জন্য পরামর্শ হলো মাস্ক নিয়মিত পরিবর্তন করতে হবে। অপরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করা যাবে না। ব্রণ আক্রান্ত স্থানে কিছুদিনের জন্য ইরাইথ্রমাইসিন লোশন, হাইড্রকরটিসন ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে এর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ব্রণে নখ, হাত দেওয়া যাবে না। রোদে পোড়া যাবে না, রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত প্রসাধনসামগ্রী নয়, বরং ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাদের মেকআপ না করাই ভালো। যদি মেকআপ করা হয়, তাহলে অবশ্যই পাউডার বেজ মেকআপ করতে হবে।