মধ্য বয়সে স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেন অনেকে। এ জন্য মেরুদণ্ড বা পিঠে ব্যথা একটি প্রধান কারণ। এ রকম ব্যথা হলে কাজকর্ম ব্যাহত হয় এবং বয়সের তুলনায় শারীরিক সক্ষমতা এবং স্বাভাবিক ভারসাম্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা নিয়ে ব্যথা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সারিয়ে তুলতে হবে এবং সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন যাপন নিশ্চিত করতে হবে। অধিকাংশ মানুষ জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময় বিছানায় শুয়ে কাটায়। তাই সঠিক বিছানা ব্যবহার করাটা গুরুত্বপূর্ণ। নরম ও আরামদায়ক হলেই বিছানা স্বাস্থ্যসম্মত—এমন ধারণা অযৌক্তিক। ম্যাট্রেস বা স্প্রিং লাগানো জাজিম দামি হলেও আপনার মেরুদণ্ডের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পিঠের ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক ম্যাট্রেস ব্যবহার করতে হবে। রাতে ঠিকমতো ঘুম হলো কি না, তার ওপর নির্ভর করছে পরের দিনের কাজকর্ম কেমন হবে। আগে চিকিৎসকেরা অত্যন্ত দৃঢ় ম্যাট্রেস ব্যবহার করার পরামর্শ দিতেন। কিন্তু শক্ত, অল্প শক্ত এবং অশক্ত বিছানায় শোয়ার ফলে মানুষের ঘুমের মানের তারতম্য লক্ষ করা যায়। পিঠে হালকা ব্যথার ২৬৮ জন রোগীর ওপর একটি বিশ্রামাগারে গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, যারা খুব শক্ত ম্যাট্রেসে ঘুমাচ্ছে, তাদের সবচেয়ে বাজে ঘুম হচ্ছে। তবে নরম ম্যাট্রেসের সমস্যা হলো, এটি আপনার শরীরের স্বাভাবিক বাঁক এবং সন্ধি বা জোড়াগুলোর সঙ্গে মিশে যায়। ফলে কখনো কখনো আপনি সেই ম্যাট্রেসের মধ্যে গভীরভাবে ডুবে যেতে পারেন। এতে শরীরের বিভিন্ন সন্ধিস্থল ঘুমের সময় দীর্ঘক্ষণ বেঁকে থাকার ফলে ব্যথা তৈরি হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে আপনাকে বিছানা বদলাতে হবে। ম্যাট্রেস কেনার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন। মনে রাখবেন, কয়েক মিনিট বসে বা শুয়ে আরামদায়ক মনে হলেই সেটি নিশ্চিতভাবে রাতের ঘুমের উপযোগী ম্যাট্রেস না-ও হতে পারে।
সূত্র: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল