Thank you for trying Sticky AMP!!

স্তনে ব্যথা মানেই ক্যানসার নয়

স্তনে চিনচিন ব্যথা, অস্বস্তি নানা কারণে হতে পারে। হরমোনের ওঠা–নামার কারণে স্তনে যে ব্যথা হয়, তা স্বাভাবিক ব্যাপার। মাসিকের কয়েক দিন আগে থেকে শুরু হয়ে শেষ হওয়া পর্যন্ত এই চিনচিন ব্যথা হতে পারে। কৈশোরে স্তন গ্রন্থির বৃদ্ধির সময় এবং একই কারণে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস ব্যথা হতে পারে। তবে আঘাত, প্রদাহ বা সংক্রমণ হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। স্তন্যদায়ী মায়ের প্রায়ই স্তনে প্রদাহ হতে দেখা যায়। শিশুকে সঠিক নিয়মে স্তন্যপান না করানো ও পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখা এর প্রধান কারণ। এমনকি স্তনে জীবাণুর সংক্রমণ হওয়াও বিচিত্র নয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এবং অন্যান্য কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও স্তনব্যথা হয়।

স্তনে ব্যথা মানেই কি ক্যানসার?
জেনে রাখুন, সাধারণত স্তনব্যথা স্তন ক্যানসারের লক্ষণ নয়। তবে যেকোনো একপাশের স্তনের নির্দিষ্ট একটি স্থানে ব্যথা, যা মাসিকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং এর সঙ্গে গোটা বা চাকা অনুভব করা, স্তনবৃন্ত থেকে রক্তপাত কিংবা বগলে গোটা অনুভব করলেই কেবল আতঙ্কিত হওয়ার কিছু আছে।

সিস্ট আর ক্যানসার এক নয়
স্তনে সিস্ট থাকলেও একটা চিনচিনে ব্যথা হতে পারে। মনে রাখবেন, সিস্ট মানেই ক্যানসার নয়। অল্প বয়সে অনেকেরই স্তনে সিস্ট হয়। সন্দেহ দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে নিলে ভালো।

স্বাভাবিক ব্যথা কেমন
মাসিকের আগে ও মাসিকের সময় যে হরমোনজনিত ব্যথা হয়, তা দুই স্তনেই অনুভূত হয়, চাপ চাপ ব্যথার সঙ্গে স্তন ভারী মনে হয়। দুই দিকের বগলেও ব্যথা হতে পারে। মাসিকের দুই সপ্তাহ আগে থেকেও শুরু হতে পারে, আর মাসিক শুরু হলে ব্যথার তীব্রতা কমে আসে, শেষ হয়ে গেলে ব্যথা থেমে যায়। এ ব্যথায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
তবে স্তনে সংক্রমণ বা প্রদাহ হলে ওপরের ত্বক লালচে দেখাবে, স্পর্শ করলেই ব্যথা করবে। অনেক সময় স্তনে পুঁজ জমা হয় বা ফোড়া হয়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পুঁজ জমা হলে শল্যচিকিৎসক তা বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। সংক্রমণ হয়েছে ভেবে নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। পুঁজ বের করার আগে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করলে জটিলতা বাড়তে পারে।

ব্যথা কমাতে কী করবেন
মাসিক–সংক্রান্ত সাধারণ স্তনব্যথার ক্ষেত্রে হালকা গরম সেঁক বা কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে সেঁক দিতে পারেন। আঁটসাঁট ব্রাসিয়ার পরুন, শোয়ার সময়ও পরতে পারেন এক দিন। চর্বি, চা-কফি ও ধূমপান এড়িয়ে চলুন। প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন।