
আমাদের চারপাশে নানা প্রজাতির পোকার বিচরণ। অনেক সময় পোকা কামড় দিতেই পারে। সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় বাড়িতে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তবে অনেক সময় গুরুতর পর্যায়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত মশা, পিঁপড়া বা অন্য কীটপতঙ্গের কামড়ে সামান্য চুলকানি, লালচে ভাব বা ফোলা হতে পারে। এসব সমস্যা কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
শরীরের অসম্ভব চুলকানি হলে এবং চুলকানোর ওষুধ দেওয়ার পরও না কমলে সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অতিরিক্ত অ্যালার্জিতে চোখ, মুখ, ঠোঁট বা গলার ভেতর ফুলে যাওয়া বিপজ্জনক লক্ষণ। অনেকে বুকে চাপ, ব্যথা, শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারেন, এমনকি মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। এসব লক্ষণের কোনোটি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
পোকার কামড়ের পরে জ্বর এলে সেটি সংক্রমণের কারণে হতে পারে। কামড়ের জায়গায় বেশি লাল হওয়া ও ফুলে যাওয়াও সংক্রমণের লক্ষণ। ক্ষত থেকে পুঁজ বের হওয়া বা দুর্গন্ধ বের হওয়া সংক্রমণের লক্ষণ। সে রকম কোনো চিহ্ন পাওয়া গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া ব্যথা দ্রুত বেড়ে গেলে সংক্রমণ হয়েছে সন্দেহ করতে হবে।
বিষধর পোকা (যেমন বোলতা, মৌমাছি বা বিচ্ছু) হুল ফোটালে বা কামড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এমনকি কামড়ের চিহ্ন দেখে এ রকম কোনো কীটপতঙ্গ আক্রমণ করেছে সন্দেহ করলেও ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কিছু কিছু সাপ অত্যন্ত বিষধর, সময়মতো চিকিৎসা বা ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। সাপে কামড়ের চিহ্ন দেখলে কাছের হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। কিছু বিষধর সাপের বিষপ্রতিরোধী ওষুধ আছে, যা সময়মতো প্রয়োগ না করলে প্রাণঘাতী হতে পারে।
অনেক পোকার কামড়ের পর চামড়ার রঙের পরিবর্তন হতে পারে। যদি নীল বা কালো হয়ে যায়, সেটি ভালো লক্ষণ নয়। ওই জায়গার রক্ত সরবরাহের ঘাটতি হলে এমনটি হতে পারে। তাই এ রকম হলে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
এ ছাড়া যাঁদের অ্যালার্জির ইতিহাস আছে বা পোকার কামড়ে সংবেদনশীলতা বেশি, তাঁরা অধিক সতর্কতা অবলম্বন করবেন। শিশু ও বয়স্কদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি; কারণ, এ ধরনের কামড়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি।