মিষ্টি খাবারের কথা মাথায় এলেই কেন হাঁটাহাঁটি করবেন

মিষ্টির নেশা কাটিয়ে ওঠা অনেকের জন্য কঠিন। চিনিযুক্ত যেকোনো খাবার খাওয়ার পর আরও খাবার খাওয়ার একটা আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। কারণ, আমিষ বা চর্বি ছাড়া শুধু কার্বোহাইড্রেট খেলে দ্রুত আবার খিদে পায়।

তবে মিষ্টির প্রতি এই ঝোঁক এখন অনেকেই কমাতে চান। রিডার্স ডাইজেস্টের এক প্রতিবেদন বলছে, মস্তিষ্ক যখন আপনাকে মিষ্টি খাবার গ্রহণের জন্য সংকেত দেয়, তখনই অন্য কাজে ডুবে যেতে হবে বা স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে হবে। মিষ্টি খাবারের নেশা তাড়ানোর আরও কিছু উপায় রইল এখানে।

মিষ্টি খাবারের কথা মাথায় এলেই একটু হাঁটাহাঁটি করুন

ফল খান

ফলেও চিনি থাকে। তবে প্রক্রিয়াজাত চিনির চেয়ে এই প্রাকৃতিক চিনিতে ক্ষতি কম। ক্যালরিও কম। ফলের খাদ্য–আঁশ বা ফাইবার খাবার হজমেও সহায়তা করবে।

হেঁটে আসুন

মিষ্টি খাবারের কথা মাথায় এলেই একটু হাঁটাহাঁটি করুন। এটি গ্লুকোজের বিপাক বৃদ্ধি করে, মিষ্টি খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে আনে। 

 অপেক্ষা করুন

মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। অনেকেরই এই প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে আবার মিষ্টি খাবার খাওয়ার চাহিদা কমে যায়। পাশাপাশি আগে কিছু খেয়ে থাকলে এই সময়ের ব্যবধানে খাবারটাও একটু হজম হয়ে যায়।

পুদিনা বা মিন্ট স্বাদের টুথপেস্ট অনেক সময়ই মিষ্টি খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমাতে পারে

গরম পানীয়

মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করলে চা বা কফি খান। এতে আপনার মস্তিষ্ক দ্রুত নির্দেশনা পায় যে খাবার খাওয়া শেষ, এবার টেবিল থেকে উঠে পড়তে হবে। 

দাঁত ব্রাশ

রাতে দাঁত ব্রাশ করা মানে আজকের দিনের খাবারের পাট চুকল। পুদিনা বা মিন্ট স্বাদের টুথপেস্ট অনেক সময়ই মিষ্টি খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমাতে পারে। এ কারণে মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করলে দাঁত ব্রাশ করে ফেলুন। এতে উপকার পাবেন।

যদি খেতেই হয়

যাঁরা মিষ্টি খাবার খেতে ভালোবাসেন, তাঁরা শুরুতেই একবারে ছেড়ে দিতে পারবেন না। তাই স্বাদ ও ক্যালরি দুটোই ভাগ করে নিন। যদি মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা দমন করতে না পারেন, তাহলে আরেকজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিন। মিষ্টি খাওয়াও হলো, কিন্তু ক্ষতি হবে কম।

বেশি মিষ্টি খেতে মন চাইলে ঘরে তৈরি করে নিন

এড়িয়ে যান

অনেক সময় মিষ্টিজাতীয় খাবারের স্বাদ, চেহারা, স্থায়িত্ব বাড়াতে কৃত্রিম রং ও প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে ক্যালরি থাকে বেশি। এসবের পরিবর্তে শুরুতে ঘরে তৈরি মিষ্টি বা ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাত খাবার খান। ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন।