অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনিই আপনার ভাগ্যনিয়ন্ত্রক। গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব জীবনে ভূমিকা রাখলেও আপনার সিদ্ধান্ত ও কর্মই চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে। সাহস, ধৈর্য এবং সঠিক মানসিকতা আপনাকে যেকোনো পরিস্থিতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এখন থেকে ‘এ সপ্তাহের রাশিফল’ পড়ুন প্রতি শনিবার। লিখছেন জ্যোতিষী চিন্ময় বড়ুয়া।
আপনি যেন হাঁসফাঁস করতে করতে ছুটে চলার চেষ্টা করছেন, কিন্তু সব জায়গায় আটকে যাচ্ছেন। কাজের চাপ বেড়ে যেতে পারে, তবে আপনি তো একজন যোদ্ধা। শুধু এই সপ্তাহে একটু ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে, নইলে ক্ষতি হতে পারে। অন্যেরা না মানলেও আপনিই ঠিক, সেটা মনে রাখবেন।
গাধার মতো পরিশ্রম করছেন, অথচ কাঙ্ক্ষিত ফলটা মিলছে না। কিছু কিছু কাজে একটু ব্যর্থতা আসতেই পারে, চুপচাপ এগিয়ে যান। আপনার সঙ্গে কেউ না সাঁতরালেও আপনি তো একাই নদী পাড়ি দিতে পারবেন, তাই না? তবে একটু সাবধানে চলুন, টাকাপয়সা নিয়ে একটু ঝামেলা হতে পারে।
আপনি একমুহূর্তে একরকম, পরের মুহূর্তে সম্পূর্ণ উল্টো! তাই কেউ যদি কিছু বলার চেষ্টা করে, আপনি হাওয়ার মতো পালিয়ে যান। কথাবার্তা বাড়াবেন, কিন্তু সবাই তো সেই জ্ঞান মাথায় নেবে না, তাই চুপ থাকাই ভালো। প্রেমের দিক থেকে মিষ্টি ঝামেলা হতে পারে।
আপনার মন তো গত সপ্তাহের গতিতেই ছুটছে, কিন্তু আপনার চারপাশের সবাই যেন স্টপওয়াচ হাতে বসে আছে! পরিবারের লোকজন বা বন্ধুরা আপনাকে কিছুটা অস্থির করে তুলবে, কিন্তু আপনিও যে হালকা নাটক করতে পারেন, সেটা ভুলে যাবেন না। মন খুলে কথা বলুন, তবে অকারণ তর্ক করবেন না।
আপনি রাজা, কিন্তু রাজ্য কোথায়? কেউ আপনার সমালোচনা করলে গর্জন শুরু করতে পারেন। তবে নিজেকে একটু শান্ত রাখলে সব ঠিক হয়ে যাবে। সম্পর্ক নিয়ে একটু উত্তেজনা থাকলেও সেটা পাশ কাটিয়ে যান। নিজের অহংকারকে একটু সাইডে রাখলেই শান্তি মিলবে।
আপনার উপলব্ধি ও বিশ্লেষণশক্তি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে এবার আপনি যেভাবে খুঁতখুঁত করে সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করছেন, তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। দয়া করে স্পষ্টভাবে ভাবুন ও সিদ্ধান্ত নিন, না হলে অনেকের চোখে আপনি ‘অতিসচেতন ও নিয়ন্ত্রণমুখী’ একজন হিসেবে বিবেচিত হবেন। মানসিক শান্তির জন্য একটু বিরতি নেওয়াই এখন সবচেয়ে প্রয়োজন, অন্যথায় শারীরিকভাবে অসুস্থতা বাড়তে পারে।
আপনার মধ্যে যেন দুটি আলাদা মানুষ! একদিকে আপনি শান্ত, অন্যদিকে কিছুটা উন্মাদ! সবার সঙ্গে ঝগড়া না করলেও আপনি কিন্তু ভালোই তাল মেলাতে পারবেন। তবে সবার মনমতো হতে গিয়ে নিজের পথ হারিয়ে ফেলবেন না। শান্ত মনটাই আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
আপনার মন যেন একটা নিখুঁত ধাঁধা! নিজের মধ্যে ডুবে থাকলে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে অন্যদের যে দোষ দিচ্ছেন, সেটা একদম চাঁছাছোলাভাবে না করে একটু সহানুভূতিশীলভাবেও করতে পারেন। আর পুরোনো ভুলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করলে আপনিই হেরে যাবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আপনি তো একেবারে ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ার মতো পরিকল্পনা করেছেন, কিন্তু চারপাশের বাধা যেন দূর হচ্ছে না। নতুন কিছু করতে চান, কিন্তু সবাই তো আপনার পেছনে দৌড়াবে না। এবার ভালো সুযোগের জন্য অপেক্ষা করুন। এই মুহূর্তে প্রয়োজন ধৈর্যের। সঠিক সময় এলে স্বস্তির কোনো এক বিকেলে হয়তো একসঙ্গে বসে কিছু ভাবনার চা-চক্র জমেই উঠবে। কিন্তু বেশিক্ষণ অপেক্ষা করবেন না, মনের শান্তি রাখতে হবে।
আপনার কাজের উৎসাহ যথেষ্ট, কিন্তু চারপাশের লোকজনের বিরক্তি উপেক্ষা করে সামনে এগোতে হলে বাড়তি ধৈর্য লাগবেই। আপনি কিন্তু বেশ কঠিন ও শৃঙ্খলাবদ্ধ, তবে একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। পৃথিবীটা আপনার হাতে থাকার পরও মাঝেমধ্যে মনে হয় যেন এই কাজটা পুরোপুরি শেষ করার মতো সময় হাতে নেই!
নতুন কিছু করতে চাইছেন কিন্তু সব সময় কিছু না কিছু বাধা আসছে, তাই তো? আরেকটু বুদ্ধি খাটিয়ে চলুন, নইলে নতুন আইডিয়াটা হাতছাড়া হয়ে যাবে। আপনার যুক্তিবুদ্ধি প্রখর, তাই একটু ঠান্ডা মাথায় কাজ করুন। সম্পর্কের ব্যাপারে একটু বাড়তি মনোযোগ দিলে ভালো হবে।
আপনার মনের মধ্যে যেন এক বিশাল ঝড় চলছে। প্রতিটি চিন্তা ধেয়ে আসছে তীব্র গতিতে। তবে একটু থামুন, শ্বাস নিন। বাস্তবতার মাটিতে পা রেখে চলাই সঠিক উপায়। অনেক প্রশ্ন জাগবে, কিন্তু অকারণে অতিচিন্তা না করাই ভালো। সম্পর্ক তো ধাপে ধাপে গড়ে ওঠে, ঠিক যেন ওপরে ওঠার মতো সিঁড়ি। ভারসাম্য বজায় রাখলে তবেই পৌঁছানো যায় শান্তির দোতলায়। টানাপোড়েন কমলেই মনের জানালা খুলে যাবে, আসবে আলো।