একুশের পোশাকে প্রাধান্য পায় সাদা–কালো রং
একুশের পোশাকে প্রাধান্য পায় সাদা–কালো রং

জীবনধারায় সাদা-কালো রং

ফেব্রুয়ারি মাসে জীবনধারায় ফুটে ওঠে সাদা–কালো রং। এই দুই রং তুলে ধরে একুশের চেতনার তাৎপর্য এবং যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য

একুশের রং অনেকটাই নির্দিষ্ট। সাদা, কালো, লাল। শান্তি, শোক আর রক্ত—পোশাকে এই তিনটি বিষয়কে তুলে ধরে এই তিন রং। তবে শিশুদের পোশাকে কিছুটা রঙের প্রচলন দেখা যায়। পোশাকের ওপর সাদা-কালোর প্রভাব অনেক রঙের থেকে ভিন্ন। নিষ্পাপ, সরল, বিশ্বাসযোগ্য—সাদা রঙের ভান্ডার ভরা ইতিবাচক অনুভূতি। অন্ধকার, ভয়, রহস্য—নেতিবাচক শব্দই যেন বয়ে চলেছে কালো রং। মজার বিষয় হচ্ছে, এ দুটি রং যখন পাশাপাশি চলে আসে তখন এদের বৈপরীত্যে তৈরি হয়ে যায় নতুন অর্থ—পোশাকে চলে আসে আধুনিক ও অভিজাত ভাব। খুবই সাধারণ, কিন্তু খুবই কঠিন দুটি রং। যিনি পরবেন, তাঁকেও সেটা ধারণ করতে হয় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।

বাড়িতেই বানান

বাড়িতে নিজেরাই আঁকতে পারেন পোশাকের ওপর

দোকান থেকে কিনেই পরতে হবে, বিষয়টি তা নয়। বাড়িতে থাকা পুরোনো কাপড়ের ওপর রং করে নেওয়া যায়। সুতি বা গেঞ্জি কাপড়ের পোশাক বেছে নিন। রং বসবে ভালোভাবে। রং ছড়িয়েও যাবে না। প্রথমে কাগজে বর্ণমালার অক্ষর লিখে নিতে হবে। শিশুর নামের অক্ষরও হতে পারে। সোজা বা আঁকাবাঁকা করেই না হয় আঁকল ওরা।

পোশাকে বাংলা অক্ষর

এবার যে পোশাকে রং করতে চান, সেটির ওপর কার্বন পেপার রেখে ওপরে বর্ণমালা লেখা কাগজ রাখুন। পেনসিল বা কলম দিয়ে বর্ণমালার ওপর আঁকলে ছাপ পড়বে কাপড়েও। অ্যাক্রিলিক বা ব্লক রং ব্যবহার করে অক্ষরগুলো এঁকে নিন। রং করা শেষে সারা দিন বাতাসে মেলে রাখুন। আজকের দিনটির ইতিহাস গল্পচ্ছলে জানানোর পাশাপাশি ওদের নিয়েই যখন পোশাকের ওপর রং করবেন, তখন ওরাও জানবে বাংলা ভাষার গুরুত্ব।

অন্দরেও সাদা-কালো

এ ধরনের উপকরণ দিয়েও সাজাতে পারেন শিশুদের ঘর

বাড়িতেও আনতে পারেন ভাষা দিবসের আবহ। অন্দরসাজে নানাভাবে আসতে পারে বাংলা বর্ণমালা। সাদা-কালোর পাশাপাশি ধূসর রংও আসতে পারে অন্দরসজ্জায়। সাদা আর কালোর মিশ্রণেই হয় ধূসর। এ ছাড়া লাল রং তো আছেই। অন্দরে বর্ণমালা তুলে ধরতে এ রংগুলো ব্যবহার করতে পারেন। বিছানার চাদর, কুশন কভার, টেবিলে ম্যাট ও রানার হতে পারে সাদা-কালো রঙের। পর্দা, কার্পেট বা ফ্লোরম্যাটও হতে পারে এই রংগুলো দিয়ে। বর্ণমালা লেখা মোমও রাখতে পারেন ঘরে। ঘরের একটা দেয়ালে থাকতে পারে বর্ণ, শব্দ, বাক্যাংশ, কবিতার চরণ, অণুকাব্য। কাঠের বর্ণ বা রং দিয়েও সাজাতে পারেন অন্দর। ফটোফ্রেম, ফুলদানি, জানালার পাশে ঝোলানো উইন্ড চাইমেও থাকতে পারে বর্ণমালার ব্যবহার।