ফল খাওয়ার এমনিতে নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। তবে কিছু তথ্য বলে, সকালের দিকে ফল খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। তার মানে এই না যে রাতে ফল খাওয়া মানা। আবার কোনো কোনো ফল দিনে খেলে উপকারী, সেই ফলই রাতে খেলে হতে পারে শারীরিক জটিলতা। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।
আঁশসমৃদ্ধ এই ফলে আছে নানা স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। তবে কারও কারও এই ফল খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়। পেয়ারা খেয়ে অনেকের পেটও ফাঁপে। তাই দিনের বেলা হাঁটাচলার সময় পেয়ারা খাওয়া ভালো। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পেয়ারা খাওয়া ঠিক নয়।
টক ফলে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি নানাভাবে শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। এমনকি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কয়েক গুণ বাড়াতে পারে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, রাতের বেলা এই টক ফলগুলো খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা কয়েক গুণ বাড়তে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা থাকলে রাতে টকজাতীয় ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।
সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপেলে প্রচুর আঁশ থাকে, সে জন্য রাতে আপেল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে গ্যাস ও বুক জ্বলতে পারে। এতে রাতের ঘুম তো নষ্ট হয়ই, সেই সঙ্গে দেখা দিতে পারে আরও অনেক সমস্যা।
আনারসের নানা উপকারিতার কথা আমাদের জানা। এই ফল আমাদের শরীরে নানা পুষ্টি দেয়। তবে এটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ হওয়ায় তা রাতের বেলা এড়িয়ে চলা উচিত। রাতে আনারস খেলে পেট ফাঁপাসহ কারও কারও অন্য সমস্যাও হতে পারে। এমনকি দেখা দিতে পারে বদহজমও।
গরমে তরমুজ আরামদায়ক ফল। তরমুজে প্রচুর পানি আছে। খরতাপে দিনের বেলা পানির অভাব পূরণে তরমুজ ভালো খাবার। তবে রাতে তরমুজ খেলে অতিরিক্ত হাইড্রেশন হতে পারে। বারবার প্রস্রাব পাওয়ার কারণে ক্রমাগত ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আপনি যদি তরমুজ বেশি খান, তাহলে আপনার পরিপাক (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল) বিপর্যয়, পেটব্যথা, ফোলাভাব হতে পারে। রেফ্রিজারেটরের বাইরে ভুলভাবে সংরক্ষণ করা কাটা তরমুজ থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়াও হতে পারে।
তাই রাতে যেহেতু আমরা বিশ্রাম নিই, এই সময়ে ফল খাওয়ার আগে সাবধান থাকা জরুরি। বদলে রোজ সকালের খাবারের সঙ্গে, সকাল-দুপুরের মাঝের সময়টায় বা বিকেলের নাশতায় যদি একটি করে ফল খেতে পারেন, তাহলে সত্যিই উপকার পাবেন।