কীভাবে বুঝবেন সে আপনার আসলেই বন্ধু?

বন্ধুত্ব মানেই বিশ্বাস। কখনো কখনো দেখা যায় যে কোনো কোনো বন্ধু সেই বিশ্বাস ধরে রাখতে পারে না। আপনি হয়তো মনে মনে ভাবছেন, কিন্তু বুঝতে পারছেন না কোন বন্ধুটি আসলে আপনার ভালো চায় না। বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক সুস্থ স্বাভাবিক না হলে জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শুধু তাই নয়, হতাশায় ভরে যাবে জীবন। একটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। কিছু সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করে বেশির ভাগ সময় বোঝা যায়-আপনার বন্ধুটি আসলেই বন্ধু কি না।

.

১. আপনি পরীক্ষায় পাস করেছেন, কিন্তু আপনার বন্ধু করেননি। এবার দেখা গেল পরের কোনো পরীক্ষায় কোনো কারণে আপনি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, যেভাবেই হোক ভালো করতে হবে। তখন আপনার সেই বন্ধুটি কী করে-
ক. আপনাকে উৎসাহ দেয়।
খ. যারা পরীক্ষায় ভালো করেনি, তাঁদের গল্প বলে আপনাকে আরও নার্ভাস করে দেয়।


২. হয়তো আপনার জীবনের এমন একটা ঘটনার কথা সেই বন্ধুকে বলেছেন যা কখনো কাউকে বলেননি। কাকতালীয়ভাবে আপনার অন্য কোনো বন্ধুর সঙ্গেও তেমন একটা ঘটনা ঘটল। সেই বন্ধুটি কী করবে তখন-
ক. আপনার গোপন কথা কাউকে বলা ঠিক না, সেটা বলে বন্ধুটি।
খ. বন্ধুটি আপনার গোপন কথা আরেক বন্ধুকে বলে সান্ত্বনা দেয় যে, এমন ঘটনা আপনার সঙ্গেও ঘটেছে।


৩. নিয়মিত জিম করছেন। যতটুকু ওজন কমানো দরকার, ততটুকু কমাতে পারছেন না। আবার খুবই সচেতন সেটা নিয়ে। সেই বন্ধুটি কী করে তখন-
ক. আপনাকে উৎসাহ দেয়। সেই সঙ্গে ওয়ার্কআউট করার সময় সঙ্গও দেয়।
খ. আপনি যখন পছন্দের কোনো পোশাক পরতে পারছেন না, সেটা নিয়ে হাসাহাসি করে। আপনি বেশি খান, সেটা মনে করিয়ে দিয়ে খোঁচাও দেয়।


৪. আপনার যখন মন খারাপ থাকে, সে কি আপনার মন ভালো করার চেষ্টা করে?
ক. আমার বন্ধু কখনো সেটা করে না।
খ. হ্যাঁ, বেশির ভাগ সময় করে।


৫. সেই বন্ধুর সঙ্গ কী উপভোগ করেন?
ক. বন্ধুর সঙ্গ খুবই উপভোগ করি। বন্ধু ছাড়া থাকতে পারি না।
খ. মাঝে মধ্যে মনে হয় আমার বন্ধু ভালো ব্যবহার করে না। সেটা আমার মনে খারাপ লাগা তৈরি করে।


৬. আপনার বন্ধু কী আপনার বিশ্বাস ভেঙেছে কখনো? সে বিষয়ে ঠিকমতো দুঃখ প্রকাশও করেনি?
ক. কখনোই এমন কিছু করেনি।
খ. অনেক সময় করছে।


যদি বেশির ভাগ উত্তর ‘ক’ হয়
তাহলে এই বন্ধুত্ব ধরে রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে। আপনার প্রতি তার সেই আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আপনাকে সব সময় আনন্দে রাখবে। সবচেয়ে বড় কথা, জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে সে আপনাকে ছেড়ে যাবে না।

যদি বেশির ভাগ উত্তর ‘খ’ হয়
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ ধরনের বন্ধুত্ব জীবনে দুর্ভোগ ডেকে আনে। তার সঙ্গে বন্ধুত্ব না রাখাই ভালো।