আমরা অনেক সময় এমন মানুষের সঙ্গে মিশি, যারা বাইরে থেকে বন্ধুসুলভ, কিন্তু ভেতরে–ভেতরে আপনার সাফল্য বা জনপ্রিয়তাকে সহ্য করতে পারে না। হিংসা বা ঈর্ষা এমন এক অনুভূতি, যা মানুষ মুখে স্বীকার না করলেও আচরণে ধরা পড়ে। চলুন, জেনে নিই কেউ আপনাকে হিংসা করছে কি না, তা বোঝার কিছু সাধারণ লক্ষণ।
আপনি কিছু ভালো করলে সে সঙ্গে সঙ্গে সেটার চেয়ে ভালো কিছু করতে চায়। আপনার সাফল্য তাঁকে অনুপ্রাণিত না করে অস্থির করে তোলে।
মুখে বলবে, ‘তুমি তো দারুণ করছ!’ কিন্তু কথার ভেতরে লুকিয়ে থাকবে হালকা কটাক্ষ। যেমন, ‘তোমার ভাগ্যটা আসলে ভালো, সবাই তোমাকে সাহায্য করে।’
আপনি ভালো কিছু করলেও সে ত্রুটি বের করতে ব্যস্ত থাকে। কোথায় আপনি ভুল করলেন, সেটাই খুঁজে বের করায় যেন তার সব আনন্দ।
আপনার সামনে বন্ধুর মতো ব্যবহার করে, কিন্তু পেছনে আপনার সমালোচনা করে। এভাবে আপনার প্রতি অন্যদের ধারণা খারাপ করতে চায়।
আপনাকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করে, যেন আপনার সাফল্য বা দক্ষতাকে ছোট করে দেখানো যায়।
আপনি ভালো কিছু করলে সে খুশি হয় না, বরং চুপ হয়ে যায় বা হঠাৎ বিষয় পাল্টে ফেলে।
আপনার স্টাইল, কাজের ধরন বা আচরণ নকল করে, কিন্তু কখনোই স্বীকার করে না যে সে আপনার কাছ থেকে শিখেছে।
হিংসুটে মানুষ প্রায়ই এমনভাবে কথা বলে, যাতে আপনি নিজের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহে পড়েন।
কারও হিংসার কারণে নিজের মন খারাপ করে ফেলার দরকার নেই। শান্ত থাকুন, নিজের উন্নতিতে মন দিন। মনে রাখবেন, হিংসা সাধারণত নিজের অনিশ্চয়তা থেকেই জন্ম নেয়। তাই অন্যের নেতিবাচক আচরণের জবাব না দিয়ে, আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা আর নিজের পথে এগিয়ে চলাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
হিংসুটে মানুষের সঙ্গে দূরত্ব রাখুন। সব সময় মুখোমুখি তর্ক না করে, সীমারেখা টেনে নিন।
নিজের সাফল্য নিয়ে অপরাধবোধে ভুগবেন না। আপনি যা অর্জন করেছেন, সেটা আপনার পরিশ্রমের ফল।
ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। যাঁরা সত্যিই আপনাকে ভালোবাসেন, পাশে থাকেন, তাঁদের সঙ্গেই থাকুন।
সূত্র: ভেরি ওয়েল মাইন্ড