দুটো মানুষের মধ্যে প্রবল আকর্ষণ থেকে গড়ে উঠে সম্পর্ক। কিন্তু সব সম্পর্কই স্থায়ী হয় না। অনেকে আবার না চাইলেও একতরফা ভালোবাসার চক্রে আটকে পড়েন। একতরফা সম্পর্ক বিষিয়ে দিতে পারে দুটি মন। কীভাবে বুঝবেন আপনার ভালোবাসা একতরফা নয়?
দুটো মানুষের মধ্যে প্রবল আকর্ষণ থেকে গড়ে উঠে সম্পর্ক। কিন্তু সব সম্পর্কই স্থায়ী হয় না। অনেকে আবার না চাইলেও একতরফা ভালোবাসার চক্রে আটকে পড়েন। একতরফা ভালোবাসা তখনই তৈরি হয়, যখন এক পক্ষ পুরোপুরি নিবেদিত হলেও অন্য পক্ষ তার সম্পূর্ণটা দেয় না; বরং অনিচ্ছা সত্ত্বেও সম্পর্কটা টিকে থাকার জন্য টিকে থাকে। একতরফা সম্পর্ক বিষিয়ে দিতে পারে দুটি মন। কীভাবে বুঝবেন আপনার ভালোবাসা একতরফা নয়?
সম্পর্কের অনেক দিন চলে যাওয়ার পরও যদি দেখেন বেশির ভাগ কথাই শুরু করছে এক পক্ষ; অন্য পক্ষ শুধু উত্তরই দিয়ে যাচ্ছে, পাল্টা কোনো প্রশ্ন করছে না কিংবা নিজে থেকে কিছু জানতেও চাচ্ছে না। এমনটা হলে বুঝতে পারবেন সম্পর্কটা একপক্ষীয় হতে চলেছে। এমনকি আপনি নিজ থেকে যোগাযোগ না করলে সে নিজ থেকে খোঁজ নিচ্ছে না, একপক্ষীয় ভালোবাসার ক্ষেত্রে এমনটাও দেখা যায়।
কোনো সম্পর্কে যদি একজন ব্যক্তিই সব কাজ করে, তাহলে তা একপক্ষীয় সম্পর্কের ইঙ্গিত করে। মনে রাখবেন, c। কিন্তু এক পক্ষ যদি সম্পর্কের প্রতি কোনো মনোযোগই না দেয়, তবে সেই সম্পর্ক একপক্ষীয় হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
একপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় ভালো-খারাপ সব সময়েই একজন সর্বদা অন্যজনের সঙ্গে থাকে। কিন্তু তার যখন সমর্থন কিংবা ভরসা করার মতো কাউকে প্রয়োজন হয়, তখন আরেকজনকে খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রয়োজনে ভরসার হাত পাশে না পাওয়া হতে পারে একতরফা সম্পর্কের লক্ষণ।
অপর পক্ষকে খুশি করার শত চেষ্টার পর প্রশংসা দূরে থাক, আপনার চেষ্টার কোনো মূল্যই যদি না দেওয়া হয়, তাহলে বুঝতে হবে কুছ গড়বড় হ্যায়। প্রিয় মানুষের জন্য সবটা করেও প্রশংসা না পাওয়া হতে পারে একতরফা সম্পর্কের লক্ষণ।
প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়াও একপক্ষীয় সম্পর্কের লক্ষণ। সম্পর্কে নিজের চাহিদাকে মূল্যায়ন করা ভুল কিছু নয়, কিন্তু সেই চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে যদি অপর পক্ষের চাহিদা পূরণ করতে সচেষ্ট না হন, তা একটি সম্পর্ককে একতরফা সম্পর্কের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
একতরফা সম্পর্কে বিশ্বাসের অভাব থাকে প্রচণ্ড। যে পক্ষ থেকে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার প্রয়াস থাকে না, নিজ থেকেই সে সম্পর্ক ভেঙে দিতে চায়। তখন অন্য ব্যক্তির ওপর অবিশ্বাসের প্রশ্ন তোলা নতুন কিছু নয়।
এ ধরনের সম্পর্কে একজন সময় কাটাতে চাইলেও অন্যজন একত্রে সময় কাটাতে অনাগ্রহী হয়, অথবা কোনো অজুহাত দেখিয়ে দূরে থাকে।
একতরফা সম্পর্ক কখনো একদিনে গড়ে উঠে না। বরং দুই পক্ষের যোগাযোগের অভাব, অভিমান থেকে একসময়ের সুন্দর সম্পর্ক হয়ে উঠে একতরফা। একতরফা সম্পর্ক বুঝতে পারলে সবার আগে প্রয়োজন যোগাযোগ স্থাপন। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একতরফা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। মনে রাখবেন, একটি সুস্থ সম্পর্কে উভয় পক্ষেরই সমান অধিকার ও সমর্থন থাকে। কিন্তু একতরফা সম্পর্ক শুধু মনকে বিষিয়ে দেয় না, ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসেও আঘাত হানে। একতরফা সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা সম্ভব না হলে তা থেকে বেরিয়ে আসাই উত্তম।