সময়ের সঙ্গে জীবনে ক্রমে ব্যস্ততা বাড়ছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমনটা বলেছিলেন, ‘সময়ের সমুদ্রে আছি, কিন্তু একমুহূর্ত সময় নেই।’ বিশেষ করে নাগরিক জীবনে সন্তানদের দেওয়ার মতো সময়ই নেই বাবাদের। আর এখন কর্মজীবী মায়েদের সংখ্যাও বাড়ছে। তাঁদের ব্যস্ততাও আকাশচুম্বী। অথচ সন্তানদের সময় দেওয়া জরুরি। সন্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করার ছয় উপায় জানিয়েছে ‘ঢাকা মমস ডায়েরি’র ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো।
১. অন্তত এক বেলা পরিবারের সবাই একসঙ্গে ডাইনিং টেবিলে বসে খাওয়াদাওয়া করেন। সেটা রাতের খাবার হলে সবচেয়ে ভালো। সে ক্ষেত্রে টেবিলে বসে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের দিন কেমন কাটল, সেই বিষয়ে একটা আলোচনাও হয়ে যেতে পারে। খাবার টেবিলে বসে খাবার খাওয়ার সময় সন্তানের কথা মন দিয়ে শুনুন। তার মতামতকে গুরুত্ব দিন।
২. সপ্তাহে একটা দিন সন্তানের জন্য বিশেষভাবে সময় রাখুন। হয় তাকে পার্কে বেড়াতে নিয়ে যান। নয়তো বাচ্চার সঙ্গে খেলুন। অথবা ছবি আঁকুন। সিনেমা দেখুন। মোদ্দাকথা, আপনার সন্তান যেন সপ্তাহের ওই একটি আনন্দের দিনের জন্য অপেক্ষা করে।
৩. যেকোনো সিদ্ধান্তে সন্তানের কাছ থেকে মতামত চান। যদি আপনি সেই মতামতকে গ্রহণ না করেন, তাহলে কী কারণে গ্রহণ করছেন না, বুঝিয়ে বলুন। এটা তাকে পরবর্তী সময়ে আরও গভীরভাবে আর যুক্তিযুক্তভাবে ভাবতে সাহায্য করবে।
৪. দৈনন্দিন বাজার করার জন্য আপনার সন্তানের হাতে বাজারের ব্যাগটা ধরিয়ে দিন। আর সন্তানের হাত ধরে তাকেও বাজারে নিয়ে যান। এতে আপনার সন্তান খাবার, ফল এগুলো চিনবে। আশপাশের মানুষ আর সংস্কৃতির সঙ্গে তার পরিচয় হবে। শৈশবের স্মৃতি হবে বর্ণিল। আর বাজার সম্পর্কেও ধারণা হলো।
৫. বাচ্চাদের জন্য বয়স্কদের সঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সঙ্গ সময়ের সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে। নতুন মানুষের সঙ্গে মিশতে উদ্বুদ্ধ করে। শিশুর স্মৃতিতে জমা হয় পুরোনো দিনের স্মৃতি। স্মৃতি সমৃদ্ধ হয়।
৬. একসঙ্গে পড়ুন। বাচ্চাকে গল্পের বই পড়ে শোনান। প্রতিদিন সকালে বাচ্চাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বই পড়ে শোনান। ধীরে ধীরে আপনার সন্তানের ভেতর অন্য একটি কল্পনার রঙিন জগৎ তৈরি হবে। সেই জগতের বাসিন্দা হয়ে আপনিও থাকলেন!