কর্মক্ষেত্রে কিংবা পারিবারিক আয়োজনে এমন মানুষের মুখোমুখি আপনি হতেই পারেন, যিনি আপনাকে ঠিক পছন্দ করেন না। হয়তো ঘৃণা বা বিদ্বেষও পোষণ করেন। এমন কারও দেখাও আপনি পেয়ে যেতে পারেন, যিনি প্রায় সবার সঙ্গেই অমন আচরণ করেন। এ ধরনের মানুষদের সামলানো বেশ মুশকিল বটে।
রেগে গিয়ে যা হোক একটা কিছু বলে দিতে পারেন আপনিও। তবে তা মোটেও ‘স্মার্টনেস’ নয়। অহেতুক তর্কে না জড়িয়ে, মাথা ঠান্ডা রেখে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন?
উত্তেজিত হবেন না। পৃথিবীর সবাই আপনাকে ভালোবাসবে না, কেউ কেউ অপছন্দ করতেই পারেন। আপনার প্রতি মন্দ আচরণের অনেক কারণও হয়তো থাকতে পারে ওই ব্যক্তির কাছে। হয়তো আপনার কোনো কাজের কারণে তাঁর স্বার্থে আঘাত লেগেছে। কিংবা হয়তো তিনি ব্যক্তিগত জীবনের রাগ-ক্ষোভ অকারণেই ঝাড়ছেন আপনার ওপর। তাই তাঁর বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যকে ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেও আপনি শান্ত থাকবেন। আপনি তো জানেন, আপনি কেমন মানুষ। অন্যের কথায় কী আসে–যায়!
কেউ খারাপ আচরণ করলেও আপনি হাসিখুশি থাকুন। যদি মেজাজ হারান, তাহলেই তো অপর পক্ষের সার্থকতা! সহজভাবে কথা বলুন। কথা বলার আগে লম্বা শ্বাস নিতে পারেন। পরিবেশ হালকা করতে নিজের রসবোধ কাজে লাগাতে পারেন। ওই ব্যক্তি অবশ্য তাতে না-ও থামতে পারেন। কিন্তু আপনি তাঁর সঙ্গে সহজভাবেই কথা বলুন।
আপনি নম্রভাবে কথা বলা সত্ত্বেও যদি ওই ব্যক্তি ক্রমাগত খারাপ আচরণ করতে থাকেন, তাহলে তাঁকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। তাঁর মুখোমুখি হতে হলেও কেবল কুশল বিনিময় করুন। তাঁর খারাপ কথার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কখনো কখনো এই নীরবতাই হতে পারে আপনার শক্তি।
কারও আচরণে কষ্ট পেলে ভাবনার গতিপথ অন্যদিকে সরিয়ে নিন। পছন্দের একটা অডিও ক্লিপ শুনুন, প্রিয় কোনো বইয়ের পাতা ওলটান কিংবা কিছুক্ষণের জন্য ভিন্ন পরিবেশে ঘুরে আসুন। অন্য মানুষ যতটা খারাপ আচরণই করুক না কেন, আপনি নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। কাজের সময় তাতেই গভীরভাবে মনোনিবেশ করুন।
কেউ যদি আপনার সঙ্গে ঘৃণার চর্চা করেন, তাতে দমে যাবেন না। আপনি কাছের মানুষদের ভালোবাসার চর্চা চালিয়ে যান। কাছের মানুষদের সঙ্গে আপনার বন্ধন যতটা শক্তিশালী হবে, আপনি ততই মানসিকভাবে শক্তিশালী হবেন। তাহলে অন্যের অযাচিত আচরণে ভেঙে পড়বেন না।