Thank you for trying Sticky AMP!!

জীবনেও চুল কাটেননি এই নারীরা

১৮৩৭ সালের ২০ জুন থেকে ১৯০১ সালের ২২ জানুয়ারি। এটা রানি ভিক্টোরিয়ার সময়কাল। এই সময়ের ইউরোপীয় নারীদের ফ্যাশনের কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে। যেগুলোর কোনো কোনোটা এই সময়ে দাঁড়িয়েও দিব্যি আছে। ভিক্টোরিয়ান সময়কালে নারীদের চুল না কাটার প্রবণতা ছিল। চুলের দৈর্ঘ্য একজন নারীর মর্যাদা, ভদ্রতা আর ঐশ্বর্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হতো। দেখে নেওয়া যাক তেমনই ১০টি ছবি। আর জেনে নেওয়া যাক সারা জীবনে চুল না কাটার নেপথ্য কারণ। এই লেখার সঙ্গে ব্যবহৃত ছবিগুলো ১৮৬০ থেকে ১৯০০ সালের ভেতর তোলা, সাহরান মোর্শেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া। তিনি ছবিগুলো সংগ্রহ করেছেন রেয়ার হিস্টোরিক্যাল ফটোজ থেকে।
যাঁর চুল যত লম্বা, তাঁকে ততটা বেশি নারীসুলভ হিসেবে ধরা হতো। ‘প্রকৃত নারী’ হওয়ার জন্য অনেকেই তাই সারা জীবনে একবারও চুল কাটতেন না
তখন তো চুল ঢেউখেলানো বা সোজা করার উন্নত কোনো প্রযুক্তি ছিল না। তাই মাসের পর মাস একভাবে চুল বেঁধে রাখতেন নারীরা। কিছু সময়ের জন্য খুলে আবার দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে রাখতেন। এভাবে চুলে বিভিন্ন স্টাইল করা হতো
চুল আঁচড়ানো, বাঁধা বা চুলের যত্ন নেওয়াকে গোপনীয় কাজ মনে করা হতো। কেবল শয়নকক্ষেই রীতিমতো আয়োজন করে চুলের যত্ন নেওয়া হতো
কেবল একজন নারীর স্বামী বা দাসীই তাঁকে চুল আঁচড়ানো অবস্থায় দেখতে পারত। কেবল চুল আঁচড়ানোর জন্যই একাধিক দাসী থাকত
সুন্দর লম্বা চুলকে শিল্পের পর্যায়ে দেখা হতো। লম্বা লম্বা উইগ (পরচুলা) ব্যবহারেরও চল ছিল
চুল পরিষ্কার রাখা, শ্যাম্পু করা, শুকানো—এসব ছিল রীতিমতো দক্ষযজ্ঞ কাজ
লম্বা চুল বিক্রি করে বড় অঙ্কের অর্থও পেতেন নারীরা
লম্বা চুলের নারীদের আকর্ষণীয় ও আবেদনময়ী হিসেবেও ধরা হতো। বিয়েতে অভিজাত পাত্রের ক্ষেত্রে এ রকম চুলের অধিকারী নারীরা অগ্রাধিকার পেতেন
এখন চুল ছোট রাখা ট্রেন্ডি হলেও লম্বা চুলের আবেদন কমেনি