রাতের খাবার শেষ করার পর রুটিনমাফিক কয়েকটি কাজ করলে খাবার সহজে হজম হবে, পেট ফাঁপবে না, এমনকি বিপাক হবে দ্রুত। এসব অভ্যাস সহজেই মেনে চলা যায় এবং পাকস্থলীর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুব উপকারী।
রাতের খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটলে হজমের সুবিধা হয়। এতে পেটফাঁপা দূর হয়, রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থিতিশীল থাকে। হাঁটাচলা করলে পরিপাকতন্ত্র আরও বেশি সক্রিয় হয় ও বিপাকক্রিয়ার উন্নতি ঘটে।
রাতে খাওয়ার পর এক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে হজমে সুবিধা হয়, দূর হয় শরীরের চর্বি, শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়, পেটফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে না। সব মিলিয়ে আপনার পরিপাকতন্ত্র ভালোভাবে কাজ করে।
খাওয়া শেষ করেই শুয়ে পড়লে অ্যাসিড রিফ্লাক্স (পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালিতে প্রবাহিত হলে এমনটা হয়। এতে গলায় জ্বালাপোড়া হয়, কখনো কখনো গলায় অম্ল স্বাদের তরলও তৈরি হয়) ও বদহজম হয়। খাওয়ার পর আধা ঘণ্টা সোজা হয়ে বসে থাকলে পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে খাবার সহজে চলাচল করতে পারে। এতে পেটফাঁপা, পেটে অস্বস্তিবোধ ও বদহজম দূর হয়।
খাওয়ার পর ডিপ ব্রিদিং বা গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের চর্চা করলে অবসাদ দূর হয়। শরীরে অক্সিজেনে চলাচলের সুবিধা হয়। ডিপ ব্রিদিং পরিপাকতন্ত্রকে শিথিল রাখে।
মৌরি ও জোয়ান হজমে সহায়ক, পেটের গ্যাস কমায়, পেটফাঁপা এবং অ্যাসিডিটি দূর করে, হজমে সহায়তাকারী পাচক রসের নিঃসরণকে ত্বরান্বিত করে।
হালকে স্ট্রেচিং করলে পেটফাঁপা দূর হয়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও পাকস্থলীতে অতিরিক্ত কোনো চাপ পড়ে না। এতে খাবার আরও ভালোভাবে হজম হয়।
টকদই, বাটারমিল্ক ও বিভিন্ন ফার্মেন্টেড খাবার খেলে পেটে উপকারী ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। এসব খাবার হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়, পুষ্টি উপাদানগুলোর শোষণে সহায়তা করে, পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটফাঁপা দূর করে।
বিভিন্ন ধরনের ভেষজ চা, যেমন জিনজার টি, পিপারমিন্ট টি, ক্যামোমাইল টি ইত্যাদি পেট ঠান্ডা করে, পেটফাঁপা ও পেটের গন্ডগোল দূর করে। এতে হজম সহজ হয়, কর্মক্ষমতা বাড়ে।
সোজা হয়ে বসে খাবার খেলে ও খাওয়ার পরও আধা ঘণ্টা সোজা হয়ে বসে থাকলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হবে না, পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে সহজেই খাদ্য চলাচল করতে পারবে, পেটফাঁপা ও পেটের অস্বস্তি দূর হবে।
রাতে মিষ্টি ও চর্বি–জাতীয় স্ন্যাকস খেলে পরিপাকতন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, বদহজম ও পেট ফাঁপার আশঙ্কা থাকে। এ বদভ্যাস বেশি দিন ধরে থাকলে ওজনও বেড়ে যাবে।