রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলছে ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব ২০২৩’। এ উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে তাঁদের ভাবনা জানিয়েছেন। এখানে পড়ুন উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ইয়াসমীন আরার বক্তব্য।

সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও যুগোপযোগী মানবসম্পদ তৈরিতে উত্তরা ইউনিভার্সিটি বদ্ধপরিকর। আমাদের আছে স্থায়ী ক্যাম্পাস, নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে দক্ষ বিশাল একাডেমিক দল, দেশজুড়ে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌথ প্রয়াস
ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগে আমাদের কোনো আপস নেই। প্রযুক্তিখাত, প্রকৌশল, ব্যবসায় প্রশাসন, আরএমজিসহ যুগোপযোগী কর্মক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীরা।
আমার জানামতে প্রযুক্তি, প্রকৌশল, ব্যবসায় প্রশাসন, আরএমজিসহ গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোয় আমাদের শিক্ষার্থীদের সাফল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ বিন সাইফুল্লাহর কথা। ডিগ্রি সম্পন্ন করে বর্তমানে সে গুগলের প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছে। স্কুল অব বিজনেসের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে ডিগ্রি সম্পন্ন করে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছে সুমন চন্দ্র দাস। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে পাস করে স্যামসাং বাংলাদেশে সিনিয়র সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছে মারুফ হোসেন। উত্তরা ইউনিভার্সিটির এ রকম আরও হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থী দেশে-বিদেশে, সরকারি ও বেসরকারি খাতে মেধার স্বাক্ষর রাখছে।
এই ধারাবাহিকতা চলমান রাখতে আমরা ‘উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় এক বিস্ময়ের নাম উত্তরা ইউনিভার্সিটি’ স্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের কার্যক্রম সুদূরপ্রসারী ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে একাডেমিক পাঠ্যক্রম ঢেলে সাজিয়েছি।
চলছে অষ্টম সমাবর্তনের প্রস্তুতি
র্যাঙ্কিংয়ে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ভালো অবস্থান নিশ্চিত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিবছর প্রকাশনা ও গবেষণার জন্য তহবিল এবং পুরস্কার প্রদান নীতি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করেছি। মানসম্পন্ন শিক্ষণপদ্ধতি, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, আধুনিক ল্যাব–সুবিধা ও যোগ্য অনুষদ নিশ্চিত করেছি।
পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে এসে বিভিন্ন উৎসব, প্রতিযোগিতায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় আমাদের শিক্ষার্থীরা। যেমন সিটিএফ কনটেস্ট, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট। আমরা স্নাতকদের সনদ চারটি বিশেষ সিকিউরিটি কোডের মাধ্যমে বিশেষায়িত করি। এরই মধ্যে সাতটি সমাবর্তন সম্পন্ন করতে পেরেছি। অষ্টম সমাবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সনদ পেয়েছে। বিদেশি ১৩টি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমওইউর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। উত্তরা ইউনিভার্সিটির ১৪টি বিভাগের মধ্যে আছে ৩৪টি ক্লাব। এগুলো একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য আছে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে নিজস্ব পরিবহনব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশাবলি যথাযথভাবে পালন করেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। কোনো কোটায় আমরা ঘাটতি রাখিনি। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, কন্ট্রোলার, রেজিস্ট্রার, সব পদই পরিপূর্ণ।