২০২২ ফিরে দেখা বইগুলো: মননশীল শাখা

চিন্তার খোরাক জোগানো বই

২০২২ সালে প্রকাশিত কয়েকটি মননশীল বইয়ের প্রচ্ছদ
২০২২ সালে প্রকাশিত কয়েকটি মননশীল বইয়ের প্রচ্ছদ

আমাদের দেশে সাহিত্যকে মোটাদাগে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটাকে বলা হয় সৃজনশীল সাহিত্য আর অন্যটি মননশীল। পৃথিবীব্যাপী এই বিভাজনের নাম ফিকশন ও নন–ফিকশন। সৃজনশীল ও মননশীল বিভাজনটা চমৎকার, সন্দেহ নেই। কিন্তু ভেতরগতভাবে একটু গোলমেলে। সৃজন আর মনন উভয়ের মিশেল লাগে যেকোনো সাহিত্যকর্মে। মননশীলতা ছাড়া কী করে ভালো গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা হতে পারে! সব সাহিত্যই আসলে সৃজনশীল সাহিত্য। সৃজনের আনন্দ, বেদনা, প্রণোদনা ছাড়া কোনো সাহিত্যকর্মই রচিত হতে পারে না। যেকোনো সাহিত্যই আসলে বিদ্যমানতার মধ্যে নতুন চিহ্ন ও প্রস্তাবকে হাজির করে। ফলে সাহিত্যমাত্রই সৃজনশীল। তাই সৃজনশীল-মননশীলের চেয়ে বরং ফিকশন ও নন–ফিকশন বিভাজনটি ভালো। এই বর্গীকরণে কেউ কারও দিকে তেরছা দৃষ্টিক্ষেপ না করে আপন দুটি ভাইয়ের মতো পাশাপাশি বিরাজ করে। এই লেখায় আমাদের উদ্দেশ্য, ২০২২ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশের মননশীল বইয়ের খোঁজ–খবর নেওয়া। মননশীল শব্দটিকে আমরা কাজ চালাতে নন–ফিকশন নামেও ডাকব। এই শাখায় পড়বে প্রবন্ধ, গবেষণা, সমালোচনা ও আত্মজীবনীমূলক বইপত্র।

আত্মজীবনীর অলিগলি

২০২২ সালের বইমেলা থেকে শুরু করে  বছরের শেষ নাগাদ মননশীল অসংখ্য বই প্রকাশিত হয়েছে। এসব বইয়ের বিষয়-আশয়ও বিচিত্র। এসব বিচিত্র বিষয়ের মধ্যে একটা বড় স্থান দখল করে আছে আত্মজীবনী। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে জন্ম বাংলাদেশের সাহিত্য, শিল্প, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একটা বড় অংশের মানুষ ইতিমধ্যে প্রয়াত হয়েছেন। কেউ কেউ জীবিত আছেন। জীবিত সাহিত্যিকদের সবাই যে সক্রিয় আছেন, তা নয়। কিন্তু জীবিত লেখকদের কেউ কেউ তাঁদের জীবনের ভ্রমণটাকে লিখে রাখছেন। এসব বইয়ের সাহিত্যমূল্য যতটা না, তার চেয়ে ঐতিহাসিক মূল্যই বেশি। যেমন, আকবর আলি খানের পুরানো সেই দিনের কথা (প্রথমা প্রকাশন)। বইটি ২০২২ সালের আলোচিত বই। বইটিতে তিনি তাঁর বেড়ে ওঠা ও তৎকালীন আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস তুলে ধরেছেন। দেশের প্রান্তীয় অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধটা কীভাবে হয়েছে, তার প্রত্যক্ষ বয়ান আছে এতে। এই বইয়ের সবচেয়ে মূল্যবান অংশ হয়ে উঠেছে স্বাধীনতা–উত্তর কালের ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করায় তাঁর ইতিহাসটি বস্তুনিষ্ঠ গবেষণার আকর উপাদানের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনার ঢঙের সঙ্গে গবেষকসুলভ অভিনিবেশ বইটিকে বাংলাদেশের দখলি ইতিহাসচর্চার বাইরে বিশ্বস্ত ইতিহাসের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। একই ধারায় এ বছরের আরেক আলোচিত বই রাশেদ খান মেননের আত্মজীবনী এক জীবন: স্বাধীনতার সূর্যোদয় (বাতিঘর)। বইটিতে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের জাতীয়তাবাদী রাজনীতি, ছাত্র আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ উঠে এসেছে। এসবের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত ও বামপন্থীদের সংশ্লিষ্টতার ইতিহাস উঠে এসেছে। এই বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, বামপন্থী রাজনীতির উত্থান-পতন ও অন্তর্দ্বন্দ্বের চাক্ষুষ বয়ান।

এ ছাড়া এ বছর প্রকাশিত হয়েছে সংগীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদীর জীবনের গান (প্রথমা)। এটি তাঁর আত্মজীবনী। বাংলাদেশের গায়কদের আত্মজীবনী খুব কমই লেখা হয়েছে। ফলে গায়কজীবনের আলেখ্য আমরা খুব একটা পাই
না। আবদুল হাদীর বইটি তাঁর ব্যক্তিজীবনের আলেখ্য হলেও এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের সংগীতশিল্পের ভেতরের ইতিহাসটি অনেক সময় উঁকি দিয়েছে মনোরম এক সাহিত্যিক ভাষায়। ফলে সংগীতের ইতিহাসচর্চায় বইটি বেশ সহায়ক হবে বলে মনে হয়।

বাংলা গানের ইতিহাস নিয়ে গবেষণাধর্মী বই বাংলাদেশে কমই রচিত হয়েছে। পশ্চিম বাংলায় বেশ কিছু বই রচিত হয়েছে। কিন্তু কলকাতার সেসব বইয়ে বাংলাদেশের গানের ইতিহাস ও খবরাখবর খুব একটা পাওয়া যায় না। এ বছর প্রকাশিত গোলাম মুরশিদের বাংলা গানের ইতিহাস সেই অভাব বেশ কিছুদূর পূরণ করেছে। বইটি গানের ইতিহাসের সব শ্রেণির পাঠকের মধ্যে একটা স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।

একসময় মানুষ ইতিহাস বলতে বুঝত মূলত রাজরাজড়াদের ইতিহাস। কিন্তু যুগের হাওয়া পাল্টে গেছে। প্রান্তিক মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস, সংগ্রাম করে তাদের হয়ে ওঠার ইতিহাস মানুষকে দিন দিন আগ্রহী করে তুলছে। কারণ কি এই যে বর্তমান রাষ্ট্র ও বিশ্বব্যবস্থায় মানুষ অধিক হারে প্রান্তিক হচ্ছে! বস্তি থেকে উঠে আসা ‘অমার্জিত’ জীবনচর্চার প্রতিনিধি পৃথিবীকাঁপানো সংগীতশিল্পী বব মার্লের জীবনের কথা স্মৃতিসূত্রে লিখেছেন তাঁর স্ত্রী রিটা মার্লি তাঁর নো ওম্যান, নো ক্রাই : মাই লাইফ উইথ বব মার্লে। বইটি এ বছর বাংলায় অনুবাদ করেছেন রুদ্র আরিফ। এটিকে বলা যায় একধরনের দ্বৈতজীবনীমূলক বই; বব মার্লি ও রিটা মার্লের জীবনী। বইটি শুধু বব মার্লে ও রিটা মার্লের জীবনের ইতিহাস নয়, বরং যাপন ও চিন্তার এক ভিন্ন জগতের সুলুকসন্ধানও বটে।

ইতিহাসের মুখোমুখি

একটি জাতির সচেতনতার বিষয়টি অনেকটাই বোঝা যায় ইতিহাসের প্রতি ওই জাতির আগ্রহ থেকে। বর্তমান বাংলাদেশে ইতিহাসচর্চার আগ্রহটি বেশ চোখে পড়ে। এ বছর ইতিহাসবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত বইয়ের মধ্যে আছে বদরুদ্দীন উমরের বাঙলাদেশের অভ্যুদয়: পূর্ব–পাকিস্তানের ইতিহাস: ১৯৪৭–১৯৫৮। এটি বদরুদ্দীন উমরের দ্য ইমার্জেন্স অব বাংলাদেশ বইয়ের অনুবাদ। গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন প্রণব দে ও শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। বইটি বাংলাদেশের দখলি ইতিহাসচর্চার বাইরে গিয়ে লেখা। এই বইয়ে উমর ইতিহাসের বড় বড় চরিত্রের দিকে মনোযোগ দিয়েও এর বাইরে গিয়ে চোখ রাখতে পেরেছেন সাধারণ ও প্রান্তিক সংগ্রামী মানুষের ইতিহাসের দিকে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ক্ষেত্রেও একটা বিষয় লক্ষ করা যায় যে এই ইতিহাস মূলত বড়দের কথা বলে। সাধারণ মানুষের ইতিহাস এবং এরও বাইরের ইতিহাস বিষয়ে সে কথা বলে কম। এই কম বলা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস নিয়ে মতিউর রহমানের লেখা ভালোবাসায় বাড়ানো হাত: মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি লেখক-শিল্পী বন্ধু বইটি এ বছর প্রকাশিত হয়েছে প্রথমা প্রকাশন থেকে। এতে লেখক দেখিয়েছেন, কীভাবে ‘আন্তর্জাতিক পরিসরেও দেশে দেশে বিশ্বনন্দিত শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি বা গায়কেরা আমাদের স্বাধীনতার সমর্থনে মহতী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁরা কবিতা পাঠ করে, কনসার্টে গান গেয়ে, ছবি এঁকে এবং সংহতি আন্দোলন গড়ে তুলে আমাদের মহাবিপর্যয়ের দিনগুলোতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।’ প্রকৃতপক্ষে বইটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে একটা সম্পূর্ণতার দিকে নিয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, জামিল বিন সিদ্দিক সম্পাদিত মুখোমুখি বঙ্গবন্ধু (বাতিঘর) বইটির কথা। বইটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০টি সাক্ষাৎকার ও কথোপকথন রয়েছে। অনেক দুর্লভ সাক্ষাৎকারের এই বই শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ গবেষণায় সহায়ক হবে বলে মনে হয়।

এ বছর আলোচিত আরও বইয়ের মধ্যে রয়েছে সিরাজ সালেকীনের লেখা ভাটির দেশের বাঙাল (কথাপ্রকাশ)। বইটি নানা অর্থে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, বইটি বাংলাদেশকে সংজ্ঞায়িত করার আকাঙ্ক্ষা দেখিয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ড ও এর জনগোষ্ঠী যে স্বাতন্ত্র্যের অধিকারী, সে কথা লেখক ইতিহাসের কষ্টিপাথরে যথাসম্ভব যাচাই করেছেন এখানে। বাংলাদেশের ইতিহাসকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে চেয়েছে সিরাজ সালেকীন।

ইতিহাসের অনুসন্ধিৎসা থেকেই বহুকাল পর এ বছর প্রকাশিত হয়েছে ‘জ্ঞানতাপস’ বলে খ্যাত আবদুর রাজ্জাকের পলিটিক্যাল পার্টিস ইন ইন্ডিয়া। ইউপিএল থেকে বেরোনো বইটি আপাতদৃষ্টে বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হলেও আসলে এই বই বাংলাদেশের ইতিহাসের ‘ডাইজেস্ট’। তা ছাড়া ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক দল এবং সেগুলোর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ফলে প্রকাশমাত্রই বইটি বহুল আলোচিত হয়েছে। তা ছাড়া অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের অন্য তেমন কোনো লেখালেখি না থাকায় এই বই ঢাকায় বাড়তি আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে হয়।

সাহিত্য–সংস্কৃতির আঙিনায়

বাংলাদেশে বর্তমানে বোধ করি, সাহিত্যবিষয়ক আলোচনার বই একাডেমিক পরিসরের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছে। গত ২০ বছরে সাহিত্য সমালোচনার ধাঁচ ও দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই পরিবর্তনের অন্যতম অভিমুখ ইতিহাস, উত্তর–উপনিবেশবাদ ও সাংস্কৃতিক রাজনীতির দিকে ধাবিত বলেই মনে হয়। চলতি বছর এসব অভিমুখ সামনে রেখে যেসব বই আলোচিত হয়েছে, তার মধ্যে আলী রীয়াজের লেখকের দায় (বাতিঘর), মোহীত উল আলমের সাহিত্যপাঠ: তত্ত্ব ও তালাশ (মাওলা ব্রাদার্স)–এর কথা বলা যায়।

উত্তর–উপনিবেশবাদী চিন্তা ও সাংস্কৃতিক রাজনীতিকে কেন্দ্রে রেখে এ বছর প্রকাশিত ও আলোচিত দুটি বই হচ্ছে, ফয়েজ আলমের ভাষার উপনিবেশ: বাংলা ভাষার রূপান্তরের ইতিহাস (সংবেদ) এবং মোহাম্মদ আজমের সাংস্কৃতিক রাজনীতি ও বাংলাদেশ (সংহতি)। বাংলা ভাষার উদ্ভবের ইতিহাসের যাচাই ছাড়া ফয়েজ আলমের বইয়ে আছে, ইংরেজ আমলে কীভাবে বাংলা ভাষাটি উপনিবেশায়নের শিকার হয়েছে, তার নিষ্ঠ দৃকপাত। আর মোহাম্মদ আজমের বইটিকে বলা যায়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক রাজনীতিবিষয়ক বুদ্ধিবৃত্তিক অন্তর্ঘাত। বইটি বাংলাদেশে প্রচলিত ইতিহাস ও জ্ঞানতত্ত্বের মিথকে একের পর এক ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বইটি বাঙালি মুসলমানের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার দীর্ঘদিনের ইতিহাসের গলদ নির্দেশ করে বর্তমান বাংলাদেশের সংকটকে চিহ্নিত করেছে।

পৌরুষ, যৌনতা আর লিঙ্গ-রাজনীতি মানস চৌধুরীর এ বছরের আলোচিত নন–ফিকশন গ্রন্থ। আদর্শ থেকে প্রকাশিত বইটিতে লেখক পৌরুষ, যৌনতা ও লিঙ্গ–রাজনীতিকে বাংলাদেশের প্রচলিত নারীবাদী চিন্তার সাপেক্ষে নতুনভাবে তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের নারীবাদ বিষয়ে মৌলিক সব প্রশ্ন উত্থাপন করে এর গলদগুলো উপস্থাপন করেছেন।

একটা জনগোষ্ঠী যখন প্রকৃত অর্থে চিন্তার ভেতর প্রবেশ করে, তখন সেই জনগোষ্ঠীর লেখাপত্রে নন–ফিকশন বা মননশীল রচনার দাপট বাড়তে থাকে। এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ বোধ করি উনিশ শতকের বাঙালির লেখাপত্র। উনিশ শতকের চিন্তার পাটাতনের ওপর বিশ শতকের সৃজনসম্ভার, যাকে আমরা সৃজনশীল সাহিত্য বলি, তার সুরম্য প্রাসাদ গড়ে উঠেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সাহিত্য ও চিন্তাচর্চার ক্ষেত্রে বোধ হয় দিন দিন মননশীলতার চর্চা ও এই চর্চার প্রতি পাঠকের আগ্রহ বাড়ছে। বর্তমান বছরগুলোয় বাংলা একাডেমির বইমেলায় বিক্রীত বইয়ের তথ্য-উপাত্ত অন্তত তা–ই বলে। এর গভীরতর কোনো অর্থ আছে কি না, তা ভাবা দরকার। বিশেষত, বাংলাদেশের মননশীলতার চর্চা যখন রাষ্ট্রকাঠামো, ইতিহাস, উত্তর–উপনিবেশবাদ, সাংস্কৃতিক রাজনীতিকে সামনে রেখে চর্চিত হয়, তখন তা আরও ভাবনার খোরাক জোগায় বৈকি।