
রিমির বয়স ১০ বছর। সে বেশির ভাগ সময়ই বাসায় একা থাকে। তার মা-বাবা দুজনই চাকরি করে। অবশ্য তারা সব সময়ই রিমিকে দেখতে পায় একটা ছোট ক্যামেরার মাধ্যমে। আজকালকার সব সচেতন মা-বাবারাই বিশেষ করে যাদের বাসায় ছোট ছেলেমেয়ে আছে তারাই এই ব্যবস্থা করে নিয়েছে। রিমির সঙ্গে থাকে তার প্রিয় রোবট পুশি। পুশির সঙ্গে রিমির খুব ভাব।
২.
রিমিদের বাসা ২১ তলায়। ওদের বাসা থেকে আকাশ দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। অবশ্য আকাশে বেশির ভাগ সময়ই যানবাহন চলাচল করে। রিমির ওই সব যানবাহন দেখতে অনেক মজা লাগে।
৩.
রিমির আরও একটা প্রিয় কাজ হলো বইপড়া। অবশ্য এই আধুনিক যুগে বই বিলুপ্ত প্রায়। কিন্তু তাও রিমির বই পড়তে খুব ভালো লাগে। রিমি বইয়ে পড়েছে, আগের মানুষ অনেক মজা করত। পায়ে হেঁটে স্কুলে যেত, বৃষ্টিতে ভিজত, নদীতে মাছ ধরত। আরও কত কী! রিমিরও এসব করতে ইচ্ছা হয়।
৪.
হঠাৎ একদিন রিমির মনে একটা প্রশ্ন জাগল। সে তার আম্মুর কাছে জিজ্ঞেস করল, মানুষ যেহেতু হাঁটতে পারে তাহলে রাস্তা দিয়ে হাঁটে না কেন?
মা বললেন, ভূগর্ভ এখন আর মানুষের উপযোগী নয়। তাই এখন মানুষ আকাশেই তাদের পৃথিবী গড়ে তুলেছে। এ কথা শুনে রিমির খুব মন খারাপ হলো। সে-ও চায় আগের মানুষের মতো ভূগর্ভে বাস করতে, বৃষ্টিতে ভিজতে, নদীতে গোসল করতে, পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে। রিমি মাঝে মাঝে ভাবে, সে যদি এই আধুনিক পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ না করে আগের মানুষের পৃথিবীতে জন্ম নিত, তাহলে কত ভালোই না হতো!
ষষ্ঠ শ্রেণি, উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, আজিমপুর, ঢাকা