Thank you for trying Sticky AMP!!

বর্ষার পদাবলি

যখন আগামীকাল আমার সাথে দেখা করতে আসে

আজ তোমার খাবার খড়কুটো
কী হবে কাল, অজানা,
হতে পারে
ইলিশের সাথে বিন্নি চালের গরম ভাত।

আজ পদাবলি কুসুমের রুচিমানে,
বৃষ্টিদিনে কামসূত্র পাঠ।

খুব শীত। ঘর নেই।
পথের শরণে অভিবাসী তুমি।

নিশ্বাসে শান্তি পোড়াবার ঘটনা-উল্লাস।

ছেঁড়া কাপড়ের গর্ত পরা বিষণ্ন দিন।
দূরের আয়না মুগ্ধ পোশাকের উৎসবে।
ভোরবেলা অন্ধ শিশুদের নিয়ে এসে বলে:
‘ওরা ব্যবহৃত কার্তুজ কুড়াবে।’

সংজ্ঞা পড়ো, কাকে বলে বিমানবিকীকরণ?

পারমিতা আজ আসবে না।
বৃষ্টিকেও শ্রাবণের লালা মনে হয়।

প্রতিদিন পরমার্থ খোঁজো,
সব দ্যুতি জীবিত কঙ্কালে।

যাপনের সন্ধিক্ষণে আগামীকালের সূচিপত্র ওড়ে।
আমি কিন্তু কখনো বলি না দুঃখিত।

মাদল হাসান

জেদীর্ঘশ্বাস

ধাক্কা লেগে ওই সন্ধ্যাচূড়ায়

চিৎকার করে বলে চিল,

দ্যাখো, কে আকাশ কুড়ায়?

জ্বলন্ত গুহার চলন্ত মেঘ!

মোক্ষমুদ্রার হেমলকেট ছিঁড়ে নিয়ে

সূর্যডানায় বানায় গলন্ত গান;

পুঁজ-রক্তের ঘূর্ণনশীল ঘা মোছো

বলে শুরু হয় তামস স্নান!

ভোগ্য সব অফেরতযোগ্য!

ব্রিজের ধারে নিজের প্রাপ্তিসুখ!

আজ আর মনে নেই,

কে ছিল পরমহংস, কে ছিল শামুক!

গুপ্ত বৃষ্টিরা লুপ্ত লালিমা দেখে

অন্য কোনো অলকায় থামুক।