অলংকরণ: এস এম রাকিবুর রহমান
অলংকরণ: এস এম রাকিবুর রহমান

গুচ্ছকবিতা

আদি খররৌদ্র ছুঁয়ে একা একা

কিম্ভূত

এই গাধা চলাচল-পথে

দাঁড়িয়ে রয়েছি

সুবিশাল পর্বতের নিচে

গাধাগমনের পথ চেয়ে

তৃণরূপে দিন যায় যায়

বিষাদের গান

এভাবে ভেসে এলে!

কাঁদবে তুমি আজ                   একা

সুরমা এত দিনে

মিশেছে সাগরের           জলে

তারচে ভালো হতো

পাহাড়ে রয়ে গেলে         তুমি

সুরমা এত দিনে

হয়েছে পাথরের             মাঠ

আমরা দুইজন

তা-ই তো একা একা       তীরে

সবাই শুনে যায়

একলা বিষাদের             গান

কোনো এক সম্রাজ্ঞীকে মনে রেখে

সম্রাজ্ঞী সে বিলকুল বেপরোয়া

একাকী যাত্রী, মনে হয় যেন তাকে

ভ্রুক্ষেপ নেই, যেন শিশু বন্দিনী

কখন কী হয়, আমরা ভীষণ ভীত

কোনো দিন ভাবি, অবুঝ অপরাজিতা

সুন্দর ফুল, আমরা তবুও হৃত

তাকিয়ে রয়েছি তবু দেখছি না কিছু

ঘরে ও বাইরে এই কূট-আলোচনা

খাঁচা ভাঙার পর

কোথা হতে আসা অর্ধমানব অর্ধখচ্চরের মতো

এক আশ্চর্য প্রাণী তার স্বর

মিহি পরদার তারে ফেলে দিয়ে

কণ্ঠশীলনে ব্যস্ত—এই তামাশা

শহরের কোনো মানুষই শোনে না

আমি শহরের দূর প্রান্ত থেকে

মানুষের স্থিরস্থান ভেঙে যাচ্ছে বলে

আদি খররৌদ্র ছুঁয়ে একা একা দাঁড়িয়ে রয়েছি

ভাবি, তার আগেই যদি সেই আশ্চর্য প্রাণী

বাড়িয়ে দেয় তার ক্রূরদীর্ঘ গলা

আর গাছ-বাঁশ আর সবকিছু

উপড়ে ফেলে দিতে যদি আসে

খাঁচাভাঙা সেই আজব চিড়িয়া!

তত্ত্ব

কিছু তথ্য তুলে দিই—

আমি যাহা ভালো বুঝিয়াছি,

তুমি তাড়াতে চাহিলে

আরও কিছু তথ্য দিই—

আমি যাহা অল্প বুঝিয়াছি

তবু তুমি তাড়াতে চাহিলে

এইবার আরও কিছু তথ্য তুলে দিই—

আমি যার আগামাথা কিচ্ছু বুঝি নাই

এইবার দেখি তুমি দাঁড়াতে চাহিলে

আমি পন্থে ভাসিলাম

আমি তত্ত্ব বুঝিলাম