একদিন ছিল, আজ নেই।
শূন্যতার গন্ধ এত বিদারক তখন বুঝিনি।
‘তখন’-এর মানে হলো সত্তর বছর। অন্য ধরনের মৃত্যু এসে
নিয়ে গেছে একে একে পরিদের,—ঘুমন্ত বাগান।
ধীরে ধীরে নিভে গেছে ঝলমল পরির বাগান।
আমার স্পষ্ট মনে আছে, সাক্ষী এই নাবালক চোখ।
ক্রমান্বয়ে সিঁড়ি বেয়ে লতিয়ে লতিয়ে ওঠা
লালের বৈচিত্র্যময় আবেগের ফুল আর জলতরঙ্গের
সুরে সুরে কথা বলা ঝরনাদের এঘর–ওঘর।
দুপুরে স্নানের শেষে একে একে বের হয় প্রতিমাপ্রতিম।
নরম হীরার মতো ফোঁটা ফোঁটা নেমে আসে চুল থেকে
উদ্বৃত্ত জল,
সেই জলে চক্ষু ভরে যায় পড়ন্ত বেলায়।
জ্যোৎস্নার আলোতে নেমে আসে তারা নিষিদ্ধ উঠোনে
তারপর কোথায় যায় আমি তার কিছুই জানি না,
শরীরের গন্ধমাখা চুল রাতের কালোতে মিশে যায়।
পরিদের বিয়ে হয়? লাবণ্য কি ক্ষয়ে যায় সাবানের মতো!
আমিও হয়েছি বুড়ো, তবু এখন
রংচটা সবুজ জানালা কেন বিদ্ধ করে আমার দুচোখ।
অন্তরালে কেউ নেই আছে শুধু স্নিগ্ধ হাহাকার।
বাইরে শুধু নীরব চিৎকার।