অস্তিত্বহীনতার রং চিনিয়েছেন যিনি

ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ
ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ

রঙের তীব্র ঝলকানিতে কেবলই ভেসে যাচ্ছি। সে ঝলকানিতেই লুকিয়ে আছে বিষণ্নতা ও মন খারাপের গান। মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে সুস্বাদু আলু আর বিস্তীর্ণ গমখেত। ওই দূরে একটি কুঁড়েঘর। যার মাথা থেকে উড়ে যাচ্ছে একটি কাক। সেই ঘরেই শুয়ে আছেন ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ। হয়তো এরই মধ্যে মারাও গেছেন। একটু পর সমাধিস্থলের দিকে ধীরপায়ে এগিয়ে যাবে শববাহকেরা। গ্যাচেট অনেকটা হঠাৎ করেই বলতে শুরু করবেন, ‘আমরা যারা ভিনসেন্টের বন্ধু, তারা যেন দুঃখ না করি। ভিনসেন্ট মরেনি, সে মরতে পারে না। তার ভালোবাসা, তার প্রতিভা, যে সৌন্দর্য সে সৃষ্টি করে গেছে, তা চিরভাস্বর হয়ে থাকবে, পৃথিবীকে উজ্জ্বল করে তুলবে।’

মৃত্যুর ১৩৩ বছর পর এসেও আমার দুঃখ-বেদনা আর অস্তিত্বহীনতার গল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নামটি—ভ্যান গঘ। নিজের শিল্পের জন্য বেদনার চিরন্তন এক গল্পে নিজেকে করেছেন ক্রুশবিদ্ধ। নিজেই নিজের অল্টার ইগো হয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দেখেছেন রক্ত–মাংসের সেই গল্পটা। আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে—এমনটা কি সত্যি হয়েছিল, নাকি যা আমরা জানি, সবটা শুধুই আখ্যান। তবে সত্য–মিথ্যার স্তর পেরিয়ে আমরা, সেই আখ্যানটাতেই নিজেদের সঁপে দিই। আর পড়ি, ‘ইফ এভার দেয়ার ওয়াজ আ জিনিয়াস অ্যাগেইনস্ট হিজ ওন উইল, ইট ওয়াজ ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ।’ এ যেন নিজের বিরুদ্ধে নিজেরই দাঁড়িয়ে যাওয়া।

১৮৮৯ সালে ‘দ্য স্টারি নাইট’ নামের ছবিটি এঁকেছিলেন ভ্যান গঘ। অনেক চিত্র সমালোচকের মতে, ছবিটি গঘের আঁকা সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি

ভ্যান গঘকে কীভাবে আবিষ্কার করি, তা ঠিকঠাক মনে নেই। হয়তো তাঁর বহুল ব্যবহৃত ও আলোচিত চিত্রকর্ম ‘স্টারি নাইট’ দেখে তাঁকে চেনা। অবশ্য এমনও হতে পারে যে ভ্যান গঘকে না চিনেই স্টারি নাইটকে দেখে ফেলেছিলাম। আমি চিত্রকলার ছাত্র নই। নিজে কখনো ঠিকঠাক একটা মাছও আঁকতে পারিনি। আর চিত্রকলা খুব ভালো বুঝি বা শিল্পে কারিগরি দিক সম্পর্কে তেমন কিছু জানিও না। তবে কিছু না জেনেও নিশ্চয় কিছু একটা অনুভব করা যায়, নাকি! শেষ পর্যন্ত কোনো শিল্পকর্ম, সেটা দেখতে ভালো লাগে বলেই দেখি। কোনো কোনো শিল্পকর্ম আবার বোধের অন্য এক স্তরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। শিল্পের কাছে আমার বরাবরই এটুকুই চাওয়া। এটা মূলত আমার সামগ্রিক পথচলারই একটা অংশ। আর সেই পথচলাতেই কোনো এক দিন অজান্তেই ভালোবেসেছি ভ্যান গঘ ও তাঁর চিত্রকর্মকে। সেই ভ্যান গঘকে, যিনি নিজের জীবনটাকেও এঁকেছেন তুলি দিয়ে। অদ্ভুত সেই জীবন। যার কোনো কূল নেই, কিনার নেই।
মানুষের জীবনের শুরুতে মৃত্যু থাকে খুব দূরের কোনো বাতিঘর হয়ে। ধীরে ধীরে মানুষ সেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। আর একসময় না চাইলেও তাঁকে খুঁজে নিতে হয়। কিন্তু ভ্যান গঘের ব্যাপারটা মোটেই তেমন ছিল না। তাঁর জীবন যেন শুরুই হয়েছে মৃত্যুকে লক্ষ্য বানিয়ে। আর যে জীবন শুরুই হয় মরণের চোখে চোখ রেখে, সেখানে বেদনার চিরন্তন গানই শেষ কথা। অস্তিত্বহীনতার এক বন্দুক সারাক্ষণ তাক হয়ে ছিল তাঁর দিকে। ট্রিগার চাপলেই সব শেষ। এমনই অনিশ্চিত!

জীবন বা মৃত্যুর এই সত্যই আমাদের পরিচয় করিয়ে তাল তাল রঙের সঙ্গে। কোথাও হলুদ ফেটে বেরিয়ে আসছে নীল, আবার কোথাও শুধুই হলুদ। কোথাও আবার প্রেরকের মুখটাই যেন দিগন্তবিস্তারি হলুদ গমখেত। এই বেদনাহত রঙের ভেতর দিয়েই আমরা খুঁজে পাই একজন ভ্যান গঘকে। তিনি যখন দুটি সাধারণ চেয়ারের ছবিও আঁকেন, সেই চেয়ারও আমাদের শোনায় দুজন নিঃসঙ্গ মানুষের গল্প। দুটি আলাদা চেয়ার আপনাকেও যেন সেই চেয়ারে বসার আহ্বান জানাবে। বলবে পৃথিবীর গল্প শোনাতে।

সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়েও কোথায় যেন তারা সমতা রক্ষা করে চলছে। কিংবা হয়তো সব গল্প শেষে সবাই চলে যাওয়ার পর চেয়ারগুলোই এখন নিঃসঙ্গ। আর কেউ কোথাও নেই গল্প শোনানোর জন্য। সবাই যার যার মতো চলে গেছে।

আর যাওয়ার আগে তুমুল কোনো বিকেলের চিহ্নস্বরূপ চেয়ারের ওপর রেখে গেছে কিছু ব্যবহার্য জিনিসপত্রও। ফের বসতে হলে সেসব সরিয়েই আপনাকে বসতে হবে। এমনই বিষণ্ন সব। এসব তো স্রেফ আমার ভাবনা। কিন্তু বাস্তবতা? ভাই থিওকে লেখা এক চিঠিতে সেই দুটি চেয়ারের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন ভ্যান গঘ। এ দুটি চেয়ারের একটি ভ্যান গঘের নিজের। আর অন্যটিতে বসতেন শিল্পের অন্য এক মায়েস্ত্রো পল গগ্যাঁ। ভ্যান গঘের ‘প্রাণপ্রিয়’ বন্ধু। সেই চিঠিতেই ভ্যান গঘ লিখেছেন লাল-সবুজ আর্মচেয়ারটাই গগ্যাঁর। এই চেয়ারটা কিছুটা আয়েশি এবং বিলাসীও। আর হলুদ রঙের কাঠের চেয়ারটা ভ্যান গঘের। বসার জন্য খুব একটা আরামদায়ক নয় আর দেখতেও একেবারে সাধারণ। এই চেয়ারের ওপর রাখা আছে গঘের পাইপও। চেয়ার কোনটি কার, তা অবশ্য চিত্রকর্মের নাম দেখেও চিনতে পারবেন।

এ দুটি চেয়ার যেন দুই বন্ধুর স্মারক। তাঁদের বন্ধুত্বের এবং সমূহ ঝগড়ার প্রতীকও। এই চেয়ারের ছবি নিয়ে ভ্যান গঘ লিখছেন, ‘আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়ার কদিন আগে।…অসুস্থতা আমাকে একটি ঘরে বন্দী করে ফেলার আগে, আমি তার শূন্য চেয়ারটির ছবি আঁকার চেষ্টা করেছিলাম।’ কিন্তু এত নির্দিষ্ট বর্ণনার পরও আমার ভাবতে ভালো লাগে এই দুটি চেয়ার মানুষকে শোনাচ্ছে চিরন্তন এক বিষণ্নতার গল্পই। যে গল্পের কোনো শেষ নেই। এমনকি ছিল না কোনো শুরুও।

আমন্ড ব্লুজম (১৮৯০)

ওপরের গল্পটিতে যে দুটি মানুষের কথা বলা আছে তাঁরাই ছিলেন ভ্যান গঘের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও গঘের পাশে পাহাড়ের মতো অটল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন থিও। মৃত্যু অবধি হেঁটে যাওয়ার পথে থিও তাঁর শীতল হাত দুটি বাড়িয়ে রেখেছিলেন গঘের দিকে। ট্রিগার চেপে মৃত্যুকে বেছে নেওয়া (ভ্যান গঘের মৃত্যু নিয়েও আছে নানা মত। কোনো কোনো গবেষকের দাবি, ভ্যান গঘকে মূলত হত্যা করা হয়েছে। ভ্যান গঘ যদি আত্মহত্যা নাও করেন, তবু তাঁর আত্মবিধ্বংসী চরিত্র নিয়ে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়।) ভাইয়ের বিদায়ের ভেতর দিয়ে যেন তাঁরও দায়িত্ব ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাই ভ্যান গঘের মৃত্যুর পর মাত্র ৬ মাস বেঁচেছিলেন থিও।

ভ্যান গঘের জীবন নিয়ে লেখা বই ‘লাস্ট ফর লাইফের’ শেষ অংশে আরভিং স্টোন লিখছেন, ‘কদিন পর (থিওর মৃত্যুর) শান্তির জন্য বাইবেল পড়তে পড়তে স্যামুয়েলের কথাগুলো জোহানা (থিওর স্ত্রী) দেখতে পেল: “মৃত্যুর পরেও তারা বিচ্ছিন্ন হয়নি।”’ এরপর থিওর মৃতদেহ এনে তাঁর ভাইয়ের কবরের পাশে কবর দেওয়া হয়। আর বইটির শেষ লাইনটাও দুই ভাইকে নিয়ে, ‘অভাররে দারুণ রৌদ্রতাপ যখন শস্যক্ষেত্রের পাশের ক্ষুদ্র কবরখানাটি তপ্ত করে তুলত, তখন ভিনসেন্টের সূর্যমুখীগাছের ছায়ার নিচে থিও আরামে বিশ্রাম করত।’ হ্যাঁ, মৃত্যুও তাঁদের শেষ পর্যন্ত আলাদা করতে পারেনি। আর দুই ভাইয়ের সম্পর্কের দলিল হিসেবে রয়ে গেছে চিঠিগুলো, যা শুধু দুই ভাইয়ের মধ্যকার ব্যক্তিগত আলাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না।

ইতিহাসের মহত্তম এক শিল্পীর যন্ত্রণা ও মনোবেদনার দলিল হিসেবে রয়ে গেছে সেই চিঠিগুলো।

আর গগ্যাঁর সঙ্গে অদ্ভুত এক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন ভ্যান গঘ। বন্ধুত্বের পাশাপাশি তীব্র এক বিরোধের সম্পর্কও যেন দুজন মনের মধ্যে লালন করতেন। গঘ যখন পুরোপুরিভাবে মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছিলেন, তখন গগ্যাঁ তাঁর কাছাকাছিই ছিলেন। উজাড় করে যখন তাঁরা নিজেদের বন্ধুত্ব যাপন করছিলেন, তখন সমানতালে ঝগড়াও করে যাচ্ছিলেন। ‍চূড়ান্ত বিরোধের সময় একদিন গগ্যাঁর দিকে মদের গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন গঘ। এরপর কান কাটার ঠিক আগমুহূর্তে গগ্যাঁকে সেই ক্ষুর হাতে তাড়াও করেছিলেন। ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিলেন গগ্যাঁ। পরে সেই কাটা কান নিয়ে র‌্যাচেল নামের এক নারীকে উপহারও দিতে যান গঘ। আরভিং স্টোন স্টোন র‍্যাচেলকে বারবনিতা দাবি করলেও, অনেক গবেষক বলেছেন র‍্যাচেল মূলত সেখানে ক্লিনারের কাজ করতেন। তিনি নিজে বারবনিতা ছিলেন না।

যা–ই হোক, কান কাটার সেই ঘটনা দিয়েই মূলত গঘ ও গগ্যাঁর বিচ্ছেদ এবং গঘের মৃত্যুর পথে চূড়ান্ত যাত্রা শুরু হয়। তবে সেই ঘটনার পর আর তাঁদের শারীরিকভাবে দেখা হয়নি। কিন্তু চিঠিতে দুজনের যোগাযোগ ছিল। থিওর মতো গগ্যাঁ ও গঘের এই সব আলাপনগুলোও দার্শনিক আখ্যান হয়ে আছে। শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্কের খতিয়ানই নয়, শিল্পের দর্শন এবং কলাকৗশল এসব চিঠিতে উঠে এসেছে দারুণভাবে।

যদিও অনেকে মনে করেন ভ্যান গঘকে নিয়ে গগ্যাঁ ঈর্ষান্বিত ছিলেন। এমনকি ভ্যান গঘের চূড়ান্ত পরিণতির জন্যও অনেকে গগ্যাঁকে দায়ী করেন। তবে গঘের কাছেই গগ্যাঁর বন্ধুত্বের মূল্য ছিল অনেক।

গঘের আঁকা নিজের প্রতিকৃতি যা তিনি উৎসর্গ করেছিলেন গগ্যাঁকেই। সেই প্রতিকৃতি নিয়ে তিনি এক চিঠিতে গগ্যাঁকে লিখেছেন, ‘নিজের একটা পোট্রেট করেছি, সব ধূসর রঙে। অরেঞ্জ লেডের সঙ্গে ভেরোনিজ মেশালে যে-রঙটা আসে। পেছনটা একরঙা ম্লান ভেরোনিজ, পোশাকের রং লাল-বাদামি। কিন্তু নিজের ব্যক্তিত্বে বাড়তি ভারের জন্য সেখানে বৌদ্ধ শিক্ষক, অর্থাৎ শাশ্বত বুদ্ধের সরল এক উপাসকের চরিত্র আনার চেষ্টা করেছি।’একপর্যায়ে ভ্যান গঘ অবশ্য জাপানি চিত্রকলা দ্বারা বেশ প্রভাবিত হয়েছিলেন। থিওকে লেখা চিঠিতেও সে বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছিলেন। এই বিষয়টিও ভ্যান গঘের চিত্রকর্মকে ভিন্ন এক মাত্রা দিয়েছে।

এই লেখা শেষ করতে করতে আমার মনে পড়ছে ভ্যান গঘ আর জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর সময়ের কথা। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের বেডে শুয়ে জীবনানন্দ যখন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন শেষ ‍মুহূর্তে বলেছিলেন, ‘ধূসর পাণ্ডুলিপির রং সারা আকাশ জুড়ে, ধূসর পাণ্ডুলিপির রং সারা আকাশ জুড়ে।’ আর ভ্যান গঘ তাঁর মৃত্যুর আগমুহূর্তে থিওকে বলেছিলেন, ‘দ্য স্যাডনেস উইল লাস্ট ফর এভার।’ কী এক দৈবশক্তি যেন দুই সময়ের ‍দুই আর্টিস্টিক জিনিয়াসকে মৃত্যু এসে একবিন্দুতে মিলিয়ে দিচ্ছে। শুধু কী মৃত্যু! শিল্পের আলাদা দুটি জগতের মহত্তম দুই স্রষ্টার মিল যে অসংখ্য। ভ্যান গঘ ও জীবনানন্দ দুজনই প্রচণ্ড আত্মবিধ্বংসী দুই শিল্পী। দুজনের কেউই মিশতে পারতেন না মানুষের সঙ্গে। দুই একজন কাছের মানুষ ছাড়া ছিল না তেমন কোনো বন্ধুও। প্রকৃতি দ্বারা প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত এই দুই শিল্পী নিজেদের জীবদ্দশায় ছিলেন কপর্দকহীন। কিন্তু মৃত্যুর পর দুজনেই পেয়েছে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।

দুজনের কাছেই নিজেদের চিত্রকর্ম এবং সাহিত্যকর্ম ছাড়া আর কোনো আশ্রয় ছিল না। এমনকি দুজনের মধ্যে অন্য ধরনের মিলও ছিল। জীবনানন্দ যেখানে পাশ্চাত্য দ্বারা প্রভাবিত ছিলে, সেখানে ভ্যান গঘের ঝুঁকেছিলেন প্রাচ্যের দিকে। তাই সমার্থক না হয়েও মৃত্যুর আগমুহূর্তে দুজনের দুটি লাইন যেন বেদনা ও বিষণ্নতার চিরন্তন রূপটাকেই লিপিবদ্ধ করে রেখে গেছেন। যে বেদনা মানুষের সঙ্গে থেকে যায় তাঁর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।

সূত্র
১.জীবন-তৃষা: আরভিং স্টোন (অনুবাদ: অদ্বৈত মল্ল বর্মণ)
২. দুই শিল্পীর চিঠি: পারস্পরিক-পারম্পরিক
৩. Van Gogh. The Complete Paintings