চি ঠি প ত্র

পুলিশের দায়িত্ব

বিশ্বের যেকোনো দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম। পুলিশের সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমেই সমাজে বিরাজ করে শান্তিশৃঙ্খলা। আমাদের দেশে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। অনেক সময় তারা দুর্বলের পাশে না দাঁড়িয়ে সবলের হাতকে শক্তিশালী করে। অপরাধ দমন করা যাদের দায়িত্ব, তারা নিজেরাই যখন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে, তখন আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে কীভাবে? সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লেও পুলিশের কাছে যেতে ভয় পায়।
থানায় সাধারণ ডায়েরি করতেও পুলিশকে টাকা দিতে হয়। সাধারণ মানুষ যখন নিরুপায় হয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় নেয়, তখন পুলিশ তাদের সহায়তায় এগিয়ে না এসে উল্টো হয়রানি করে। আইন, নীতি, নৈতিকতা এদের কাছে গুরুত্ব পায় না। অনেক পুলিশ সদস্য বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার চেয়ে পকেট ভারী করতে ব্যস্ত। এ কারণেই ভুক্তভোগীরা পুলিশের কাছে যেতে উৎসাহ দেখায় না। তবে সব পুলিশই যে অন্যায় করে, তা বলা হচ্ছে না। পুলিশের অনেক সদস্য ঝুঁকি নিয়েও পেশাগত কর্তব্য পালন করছেন।
আমজনতার কথা বাদই দিলাম। ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবীদেরও পুলিশের হাতে নাজেহাল হতে হয়। পুলিশ বাহিনীর সংস্কারে নানা উদ্যোগ-আয়োজন করা হলেও কার্যক্ষেত্রে এর কোনো প্রতিফলন নেই। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও তাদের মনমানসিকতা ঔপনিবেশিক আমলের মতো। জনগণ এই অবস্থার পরিবর্তন চায়, পুলিশকে জনসেবকের ভূমিকায় দেখতে চায়, নির্যাতকের ভূমিকায় নয়। একই সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা যাতে নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে জন্য তাঁদের প্রয়োজনীয় যানবাহনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও দিতে হবে। উপযুক্ত বেতন-ভাতা পেলে পুলিশের অনেকেই হয়তো ঘুষ-দুর্নীতির আশ্রয় নেবেন না।
দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে ব্রতী হোক পুলিশ বাহিনী—এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
মো. আলমগীর
দক্ষিণ আইচা, ভোলা।