এ বছর নোবেল বিজয়ী জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট যে গবেষণার জন্য পুরস্কারটা পেলেন, এর একটা অংশ হলো ক্রিয়েটিভ ডেস্ট্রাকশন, তথা সৃজনশীল ধ্বংস। ‘ধ্বংস’ও যে সৃজনশীল হতে পারে, তা একটা তত্ত্বের মাধ্যমে প্রথম দেখান হার্ভার্ড অধ্যাপক যোসেফ শমপিটার, যিনি আমার মতো কোটি কোটি মানুষের প্রিয় অর্থনীতিবিদ। কী সেই তত্ত্ব, যা যুগ যুগ ধরে ছাত্র-শিক্ষকের মুখে মুখে আলোচিত হয়ে আসছে?
এর মূল ধারণা হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পুঁজিবাদের বিকাশ ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ঘটে এমন এক চক্রের মাধ্যমে, যেখানে নতুন প্রযুক্তি, পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক মডেল পুরোনোদের প্রতিস্থাপন করে। শমপিটার উদ্যোক্তার ভূমিকাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বস্তুত উদ্যোক্তাই উদ্ভাবনের মূল চালিকা শক্তি। কারণ, তাঁর মতে, উদ্যোক্তাই বিদ্যমান কাঠামোকে ভেঙে নতুন উপায়ে সম্পদের সমন্বয় ঘটান।
পুঁজিবাদী অর্থনীতিকে শমপিটার অন্তর্নিহিতভাবেই গতিশীল বিবেচনা করতেন। তাঁর মতে, অগ্রগতি নির্ভর করে ধারাবাহিক পরিবর্তনের ওপর—পুরোনো শিল্পের অবসান, নতুনের উদ্ভব এবং সেকেলে পদ্ধতির প্রতিস্থাপন। প্রক্রিয়াটি সৃজনশীল হলেও এর ধ্বংসাত্মক দিকও রয়েছেন। শমপিটার এর নেতিবাচক দিকগুলোর প্রতিও সতর্ক করেছিলেন, যেমন অর্থনৈতিক অস্থিরতা, শ্রমিকদের স্থানচ্যুতি ও প্রতিষ্ঠিত স্বার্থগোষ্ঠীর রাজনৈতিক প্রতিরোধ। প্রসঙ্গত বাংলাদেশে এই লক্ষণগুলো এখন দৃশ্যমান।
উপরিউক্ত ধারণা ও আলোচনা শমপিটার তাঁর বিখ্যাত ‘ক্যাপিটালিজম, সোশ্যালিজম অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন। একই বইয়ে তিনি এ-ও বলেন, ক্যাপিটালিজম বিকশিত হতে হতে একসময় নিজেকে নিজে ধ্বংস করে ফেলবে। তিনি যুক্তি দেখান, ধনতন্ত্রের সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক ভিতগুলো ক্ষয় হতে হতে নিঃশেষ হয়ে যাবে। এখানে তিনি যেন কার্ল মার্ক্সের কথার প্রতিধ্বনি করছেন।
যদিও কারণ হিসেবে শমপিটার যা বলেন, তা মার্ক্স থেকে ভিন্ন। শমপিটার বলেন, পুঁজিবাদী প্রতিষ্ঠান, আমলাতন্ত্র ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলো সাধারণত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তিনি আরও ভবিষ্যদ্বাণী করেন, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে আমলাতন্ত্র দেখা দেবে, ফলে উদ্ভাবনের স্পৃহা কমে যাবে। সমাজে ব্যাপক ধনবৈষম্য দেখা দেবে। ফলে এর বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলনের মুখে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ি বেড়ে যাবে। অর্থাৎ ধনতন্ত্রের মৃত্যু ঘটবে। সে জন্যই শমপিটার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রকৃত চ্যালেঞ্জ হলো উদ্ভাবনের প্রাণশক্তি ও গতিশীলতা ধরে রাখা, একই সঙ্গে তার ধ্বংসাত্মক পরিণতিগুলোকে দক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। কাঙ্ক্ষিত না হলেও পুঁজিবাদের ধ্বংস এক অমোঘ নিয়তি।
সমাজতন্ত্র সম্পর্কে শমপিটার কী বললেন? তিনি মার্ক্সের বিপ্লবাত্মক সাম্যবাদকে সমর্থন করেননি। তবে বিশ্বাস করতেন, গণতান্ত্রিক ও আমলাতান্ত্রিক বিকাশের ধারায়, পুঁজিবাদের সৃজনশীল ধ্বংস থেকে সৃষ্ট অস্থিরতার কারণে একধরনের সমাজতন্ত্র ধীরে ধীরে পুঁজিবাদকে প্রতিস্থাপন করবে। পরিবর্তনটি ঘটবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। শমপিটার সমাজতন্ত্রের দক্ষতা সম্পর্কে সন্দিহান ছিলেন। তাঁর মতে, সমাজতন্ত্রে উদ্ভাবন পুঁজিবাদের মতো গতিশীল হবে না, উদ্যোক্তা শক্তিরও ঘাটতি থাকবে।
২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ‘উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য’। পুরস্কারের এক অংশ পেয়েছেন জোয়েল মোকির, আর অপর অংশটি যৌথভাবে পেয়েছেন ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট।
মোকির প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্তগুলো শনাক্ত করেছেন। গবেষণায় তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে সৃজনশীল ধ্বংস সম্ভব হয়, কোন শর্ত উদ্ভাবনকে একটির ওপর আরেকটি নির্মাণের সুযোগ দেয় এবং কোন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপাদান শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে উদ্ভাবনকে টিকিয়ে রাখে। বিশেষভাবে তিনি দেখিয়েছেন, জ্ঞানভিত্তিক সংস্কৃতি, মতবিনিময়ের স্বাধীনতা উৎসাহিত করা প্রতিষ্ঠান, ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব না থাকলে উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে যেতে পারে।
ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট তাঁদের মডেলে শমপিটারের ‘সৃজনশীল ধ্বংস’ তত্ত্বের মাধ্যমে স্থায়ী প্রবৃদ্ধি কীভাবে হতে পারে, তা ব্যাখ্যা করেছেন।গুণগত অন্তর্দৃষ্টিকে নির্দিষ্ট ও বিশ্লেষণযোগ্য কাঠামোর মধ্যে রূপ দিয়েছেন। এসব মডেল আমাদের বোঝাতে সাহায্য করে যে কীভাবে উদ্ভাবন অর্থনীতির ভেতর থেকেই প্রবৃদ্ধি সৃষ্টি করে, কীভাবে পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানচ্যুত হয়, প্রতিযোগিতা কীভাবে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে এবং অর্থনৈতিক নীতি, প্রতিষ্ঠান ও বাজারকাঠামো এই গতিশীলতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে। প্রবৃদ্ধি যে অবিরাম উদ্ভাবন ও ধ্বংসের চক্র থেকে আসে—এ ধারণাই তত্ত্বটির মূল ভিত্তি।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি ‘উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাখ্যা’ দেওয়ার জন্য তিন অর্থনীতিবিদকে এই পুরস্কার প্রদান করেছে। বলেছে, বিজয়ীদের উদ্ভাবননির্ভর প্রবৃদ্ধিসংক্রান্ত কাজটি প্রমাণ করে, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধরে নেওয়া যায় না, বরং প্রবৃদ্ধি অর্জনে নিরন্তর প্রচেষ্টা প্রয়োজন’, ‘অচলাবস্থা এড়াতে সৃজনশীল ধ্বংসের ভিত্তি গঠনকারী প্রক্রিয়াগুলো চালু রাখতে হবে’। ‘নতুন পণ্য ও আবিষ্কার কীভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে’, তাঁরা তা ব্যাখ্যা করেছেন।
শমপিটারের তত্ত্বের সঙ্গে এই নোবেল বিজয়ীদের গবেষণা কতটা নতুন সংযোজন, তা বোঝা দরকার। শমপিটারের তত্ত্ব ছিল মূলত দার্শনিক বা ধারণাগত। আগিয়োঁ ও হাউইট তাঁর ধারণাকে গাণিতিক কাঠামোর মধ্যে স্থাপন করেছেন, যার ফলে পরিমাণগত অধ্যয়ন সম্ভব হয়েছে। মোকির যোগ করেছেন ঐতিহাসিক ও প্রাতিষ্ঠানিক গভীরতা, যা দীর্ঘ সময় ধরে সমাজজুড়ে দৃশ্যমান থাকে, যা সৃজনশীল ধ্বংসকে সম্ভব করে তোলে। তিনি উদ্ভাবনকে টিকিয়ে রাখার জন্য পূর্বশর্তগুলো আবিষ্কার করেছেন, যার মধ্যে আছে সাংস্কৃতিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও বৈজ্ঞানিক সব উপাদান।
নতুন কাজটি আমাদের বুঝতে সাহায্য করে, কোন নীতি উদ্ভাবনকে উসকে দেয় এবং এর সুবিধাগুলো কী, যেমন প্রতিযোগিতা কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়, পেটেন্ট কীভাবে ডিজাইন করা উচিত, পদস্থদের প্রতিরোধ কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত, প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে নতুন ধারণার জন্য উন্মুক্ত হওয়া উচিত। এভাবে শমপিটারের তত্ত্বের চেয়ে তাঁদের কাজ একটি বিরাট অগ্রগতি।
তাঁরা শমপিটারের ধারণার সঙ্গে আরও আধুনিক বিষয় যুক্ত করেছেন, যেমন বিশ্বায়ন, বাণিজ্য, উন্মুক্ততা, স্থবিরতার চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও কেন কিছু অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে বা উদ্ভাবনে ব্যর্থ হয়, ২০২৫ সালের নোবেল বিজয়ীদের গবেষণা এসব বিষয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
১৯৯২ সালে প্রকাশিত অর্থনীতিবিদ ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইটের বিখ্যাত আর্টিকেল ‘আ মডেল অব গ্রোথ থ্রু ক্রিয়েটিভ ডেস্ট্রাকশন’ বর্তমানের শমপিটারিয়ান গ্রোথ থিওরির জন্মের সূচনা করে। এর মাধ্যমে তাঁরা শমপিটারের গুণগত অন্তর্দৃষ্টিকে একটি আনুষ্ঠানিক তত্ত্বে রূপান্তর করেন। তাঁদের মডেল অনুসারে, প্রবৃদ্ধি আসে একটি ধারাবাহিক উদ্ভাবনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যেখানে নতুন পণ্য ও প্রক্রিয়া পুরোনো ও অকার্যকরগুলোর স্থান নেয়।
আগের ‘এক্সোজেনাস গ্রোথ মডেলে’ প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে বহিস্থ উপাদান হিসেবে দেখা হতো—আগিয়োঁ ও হাউইটের সেটিকে ধরেছেন অন্তর্গত অর্থাৎ নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত প্রচেষ্টা ও প্রণোদনা থেকে উদ্ভূত। প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করে অস্থায়ী একচেটিয়া ক্ষমতা অর্জন করে বটে, কিন্তু যখনই আরও উন্নত প্রযুক্তি-উদ্ভাবন আসে, পুরোনোগুলো প্রতিস্থাপিত হয়ে যায়। এভাবে অগ্রগতি ঘটে উদ্ভাবকদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এবং এটি একটি চিরস্থায়ী দৌড়, যেখানে সাফল্য ক্ষণস্থায়ী হলেও সমাজের জন্য তা উপকারী।
আগিয়োঁ ও হাউইট যখন উদ্ভাবনের যান্ত্রিক দিকটি মডেল আকারে উপস্থাপন করেছিলেন, অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ জোয়েল মোকির তখন অনুসন্ধান করেছেন এর ‘আত্মা’। তাঁর বই ‘দ্য লিভার অব রিচেজ’ ও ‘আ কালচার অব গ্রোথ’-এ মোকির প্রশ্ন তুলেছেন, ইউরোপে কেন শিল্পবিপ্লব ঘটেছিল এবং কেন তা টিকে ছিল? দীর্ঘ গবেষণা শেষে এর উত্তর মিলেছে। তিনি দেখেছেন, শুধু বাজারে বা যন্ত্রে নয়, বরং ‘শিল্পবিপ্লব’ মানে বিপ্লব ঘটেছিল ভাবনায়, মননে, সংস্কৃতিতে।
মোকিরের মতে, ইউরোপের অর্থনৈতিক রূপান্তর এসেছিল একটি অনন্য সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক পরিবেশ থেকে, যেখানে কৌতূহল, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যুক্তিনিষ্ঠ অনুসন্ধানকে মূল্য দেওয়া হতো। তথাকথিত ‘রিপাবলিক অব লেটারজ’ ইউরোপজুড়ে পণ্ডিত, বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদের এক আন্তদেশীয় নেটওয়ার্ক-জ্ঞানকে সীমান্ত পেরিয়ে অবাধে প্রবাহিত হতে সাহায্য করেছিল। এই উন্মুক্ততাই জন্ম দিয়েছিল মোকিরের ভাষায় ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল এনলাইটেনমেন্ট’, যেখানে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন একে অপরকে শক্তিশালী করতে শুরু করে।
মোকিরের জন্য উদ্ভাবন শুধু একটি অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নয়; এটি একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। অগ্রগতি ঘটে তখনই, যখন সমাজ নতুন ধারণাকে পুরস্কৃত করে এবং তার সঙ্গে আসা অনিশ্চয়তাকে সহ্য করে। কিন্তু যেখানে অনুকরণ, সেন্সরশিপ বা ব্যর্থতার ভয় প্রাধান্য পায়, সেখানেই সৃজনশীলতার আলো ম্লান হয়ে যায়। তাঁর গবেষণা একটি গভীর ঐতিহাসিক শিক্ষা দেয়—টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য শুধু পুঁজি ও শ্রমই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন স্বাধীনতা, বিশ্বাস ও বৌদ্ধিক উন্মুক্ততার একটি বাস্তুতন্ত্র।
বাংলাদেশ কী শিখবে এ গবেষণা থেকে? বাংলাদেশের পোশাকশিল্প তার শিল্পায়নের মূল ভিত্তি। কিন্তু প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে হলে এখন ক্রমবর্ধমানভাবে নির্ভর করতে হবে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি, নকশাগত উদ্ভাবন ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন–প্রণালির ওপর। একইভাবে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির উত্থান ও ই-কমার্স থেকে শুরু করে আইটি সেবা খাত পর্যন্ত তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনে প্রস্তুত করতে হবে। বাংলাদেশের সস্তা শ্রম ও রপ্তানিনির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, যতই প্রশংসনীয় হোক না কেন, তা অনন্তকাল ধরে টিকবে না। এখন চ্যালেঞ্জ হলো উদ্ভাবননির্ভর প্রবৃদ্ধি গড়ে তোলা, যা কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর নির্ভর করে না; বরং এমন একটি পরিবেশের প্রয়োজন, যেখানে সৃজনশীলতা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও উদ্যোক্তা মনোভাব বিকশিত হতে পারে।
এন এন তরুণ অর্থনীতির অধ্যাপক, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। সাউথ এশিয়া জার্নালের এডিটর অ্যাট লার্জ। nntarun@gmail.com
*মতামত লেখকের নিজস্ব