মতামত

ভারতের চন্দ্রাভিযান ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত

‘মহাকাশ গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ভারত যে টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে, এ জন্য তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষায়িত ইনস্টিটিউটগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’
‘মহাকাশ গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ভারত যে টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে, এ জন্য তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষায়িত ইনস্টিটিউটগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’

সম্প্রতি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) চন্দ্রযান-৩ বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে ভারতের এই যুগান্তকারী সাফল্যকে অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষও আনন্দের সঙ্গে উদ্‌যাপনের পাশাপাশি নিজ দেশের মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) সক্ষমতা, প্রতিষ্ঠানপ্রধানের যোগ্যতাসহ প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমালোচনা হয়েছে। এই সমালোচনা যে শুধু সমালোচনার খাতিরে সমালোচনা, তা কিন্তু নয়।

প্রথমে একটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার এবং আমাদের সবার জানা দরকার, মহাকাশ গবেষণা মানেই মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ, চাঁদে কিংবা বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহে মহাকাশযান পাঠানো নয়। মহাকাশ গবেষণা মানবসমাজের উন্নয়নের জন্যই।

মূলত মহাকাশ গবেষণা দুইভাবে হয়ে থাকে। প্রথমত, মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ বা বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহে মহাকাশযান প্রেরণ করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার মাধ্যমে। দ্বিতীয়ত, মহাকাশে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্যচিত্রের বিশ্লেষণ করে তা টেকসই সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করার মাধ্যমে। এসব লক্ষ্যে মানুষ মহাকাশে নিত্যনতুন গবেষণা পরিচালনা করছে।

গবেষণায় যখন আমরা কৃত্রিম উপগ্রহের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবহার করি, তখন কিন্তু মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর চাইতে এর মানবকল্যাণের দিকটিই বেশি সামনে আসে। তাই বাংলাদেশের মানুষ যখন দেখল, আমাদের প্রতিবেশী যে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে এখনো বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে, সেই দেশ যখন চন্দ্র অভিযানে সফল হয়, তখন বাংলাদেশের মানুষের মনে স্বভাবই প্রশ্ন জাগে, তাহলে আমাদের মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের কাজটি কী? এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের এই লেখা।

বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের কাজের বিষয়ে যাওয়ার আগে আমি দেশের মানুষের জ্ঞাতার্থে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) সম্পর্কে কিছু তথ্য দিতে চাই। ভারত মহাকাশ গবেষণা শুরু করেছে আমাদের বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রায় এক দশক আগে। মহাকাশ গবেষণার এই সুদীর্ঘ যাত্রায় ভারত কখনো সফল হয়েছে, আবার কখনো ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু তারা কখনো হাল ছাড়েনি কিংবা তাদের গবেষণা ব্যর্থ হওয়ার কারণে সে দেশের সরকার তাদের গবেষণায় প্রণোদনা সরবরাহ বন্ধও করেনি। ভারত সরকার মহাকাশ গবেষণা ও কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাদের প্রতিরক্ষার সম্পর্কটি শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। যেটি আমরা এখনো চিন্তাও করিনি।  

ইসরো আসলে ভারত সরকারের মহাকাশ বিভাগের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির অর্গানোগ্রাম দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবেন, এই প্রতিষ্ঠানের পরিধি কতটা ব্যাপক ও বিস্তৃত। ইসরোর অর্গানোগ্রাম দেখলে আমরা বুঝতে পারি যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটি কতটা টেকসই ও সুদূরপ্রসারী চিন্তাচেতনার ওপর প্রতিষ্ঠিত।

একদিকে যেমন ইসরো এক ডজনের বেশি গবেষণা সেন্টার পরিচালনা করছে, অন্যদিকে ওই সব গবেষণা সেন্টার পরিচালনার জন্য মহাকাশ বিষয়ে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইএসটি) ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং (আইআইআরএস) নামে দুটি স্বায়ত্তশাসিত ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব ইনস্টিটিউটে মহাকাশ-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে একাডেমিক গবেষণার পাশাপাশি স্নাতক, স্নাতকোত্তর এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করছে, যা তাঁদের মহাকাশ-শিল্পকে একটি টেকসই জায়গায় নিয়ে গেছে। তাই আজকের এই সফল চন্দ্রাভিযানের জন্য ভারতকে ৬১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ভারতের সফল চন্দ্র অভিযানের যাঁরা কারিগর, তাঁরা সবাই ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং তাঁরা বয়সে তরুণ।

আজ ভারত চন্দ্রাভিযানে সফল হয়েছে বলে আমরা আমাদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি। মহাকাশ গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ভারত যে টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে, এ জন্য তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষায়িত ইনস্টিটিউটগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গায় আমরা ভারতের চেয়ে অনেক দূরে অবস্থান করছি। আমাদের মহাকাশ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে অ্যাপ্লিকেশ ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের জন্য সবার আগে আমাদের দক্ষ জনবল তৈরির প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।

ইসরোর ভিশন, মিশন ও উদ্দেশ্যের দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখতে পাব, আমাদের স্পারসোর সঙ্গে এর পার্থক্যটা কোথায়। ভারতীয় মহাকাশ বিভাগের ভিশনই হলো জাতীয় উন্নয়নে মহাকাশ প্রযুক্তির বিকাশ। তাদের মিশনজুড়ে আছে মহাকাশ যানবাহন তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ডিজাইন, উন্নয়ন, স্যাটেলাইটভিত্তিক রিমোট সেন্সিং প্রোগ্রামসহ মহাকাশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের দ্বারা সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং বিশ্বব্যাপী মহাকাশের বাজারে ভারতকে মূল ভূমিকায় নিয়ে যাওয়া। এখানে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সক্ষমতা উন্নয়নের পাশাপাশি ভারত যে মহাকাশপণ্যের প্রধান বাজারের মালিক হতে চায়, তা তাদের কর্মপরিকল্পনারই অংশ। বিষয়টি ভারতবাসীর জন্য যেমন আনন্দ ও গর্বের, তেমনি দেশটির প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য অনুপ্রেরণাও বটে।

বাংলাদেশের স্পারসো প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে এই প্রতিষ্ঠান কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা আমাদের জানা দরকার। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে দুর্যোগ পূর্বাভাস, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে আবহাওয়া চিত্র অবলোকন, প্রাকৃতিক সম্পদ জরিপ, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রের মাধ্যমে ভূপ্রাকৃতিক পরিবর্তন বিশ্লেষণ এবং বায়ুমণ্ডলীয় গবেষণা করার নিমিত্তে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে স্পেস অ্যান্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক রিসার্চ সেন্টার (এসএআরসি) প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত অ্যাটোমিক পিকচার ট্রান্সমিশন (এপিটি) গ্রাউন্ড স্টেশনটি এর আওতায় নিয়ে আসা হয়। ভূমিসম্পদ বিশ্লেষণে সক্ষম কৃত্রিম উপগ্রহ আবিষ্কারের পর ১৯৭৩ সালে সরকার আর্থ রিসোর্স টেকনোলজি স্যাটেলাইট (ইআরটিএস) নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং পরবর্তী সময়ে এটিকে বাংলাদেশ ল্যান্ডস্যাট প্রোগ্রাম (বিএলপি) নামকরণ করে ১৯৮০ সালে এসএআরসি ও বিএলপি—এই প্রতিষ্ঠান দুটিকে একত্রে করে স্পারসো গঠিত হয়।

স্পারসো বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান। নাম ও পরিচালনার কাঠামোর দিক থেকে স্পারসোর সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ প্রতিষ্ঠানের মিল থাকলেও দুটি প্রতিষ্ঠান মহাকাশ-সম্পর্কিত ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে থাকে। ভারতীয় ইসরো যেমন রকেট, কৃত্রিম উপগ্রহ ডিজাইন ও তৈরি করে, তেমনি তারা সেই রকেট ও উপগ্রহ নিজেরাই উৎক্ষেপণ করে নিজ দেশের উন্নয়নে সেই প্রযুক্তির ব্যবহার করছে এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তিপণ্য বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানি করছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের মহাকাশ প্রতিষ্ঠান মূলত মহাকাশ ও কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তা কৃষি, বন, মৎস্য, ভূতত্ত্ব, মানচিত্র অঙ্কন, পানিসম্পদ, ভূমির ব্যবহার, আবহাওয়া, পরিবেশ, ভূগোল, সমুদ্রবিজ্ঞান, শিক্ষা এবং জ্ঞান ও বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে স্বল্প পরিসরে কাজ করছে। তাই দুটি প্রতিষ্ঠানের কাজ এক করে ভাবলে তা ঠিক হবে না। তবে মহাকাশ-সংক্রান্ত মৌলিক যে গবেষণা, সেটি এখনো আমরা শুরু করতে পারিনি, যেখানে ইসরো আমাদের চেয়ে ৫০ বছর এগিয়ে আসে। মহাকাশ-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্তের জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। সেদিক থেকে ভারত সম্পূর্ণরূপে একটি স্বনির্ভর দেশে পরিণত হয়েছে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ আসলে মহাকাশপ্রযুক্তি বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে খুব বেশি সময় নেয়নি। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠান আমরা মহাকাশ গবেষণার জন্য গড়ে তুললাম, তা ঠিকমতো তার লক্ষ্য অনুযায়ী চলছে কি না, তা আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করিনি। যেকোনো গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে।

বর্তমান সরকারের পক্ষে মহাকাশ গবেষণা পরিচালনার জন্য পাঁচ শ বা হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা একটি মামুলি বিষয়। কিন্তু আমাদের যে জায়গায় সমস্যা তা হলো, আমরা যখন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি, তখন ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল তৈরির নিমিত্তে একাডেমিক পর্যায়ে কোনো বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে পারি না। ফলে জোড়াতালি দেওয়া জনবল দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো চলতে থাকে। এ জন্য আমরা যুগান্তকারী কোনো কিছু করতে সক্ষম হয়ে উঠতে পারি না। অন্যদিকে আমরা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি, সেই জায়গায় আমরা স্থির থাকতে পারি না।

আমরা যদি স্পারসোর অর্গানোগ্রামের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, এখানে যেমন মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্র আছে, তেমনি ১৬টি ব্যবহারিক গবেষণা বিভাগের পাশাপাশি প্রযুক্তি বিভাগে রকেটপ্রযুক্তির উন্নয়নের কথা বলা আছে আবার গবেষণা বিভাগে মহাকাশ পদার্থবিজ্ঞান ও রকেট গতিবিদ্যার নিয়ে গবেষণার জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। কিন্তু এসব বিভাগ পরিচালনার জন্য যে দক্ষ জনবল দরকার হবে, তা কিন্তু বাংলাদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই তৈরি হচ্ছে না। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ছাড়া মহাকাশ নিয়ে মৌলিক গবেষণা করা সম্ভব নয়।

আজ ভারত চন্দ্রাভিযানে সফল হয়েছে বলে আমরা আমাদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি। মহাকাশ গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ভারত যে টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে, এ জন্য তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষায়িত ইনস্টিটিউটগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গায় আমরা ভারতের চেয়ে অনেক দূরে অবস্থান করছি। আমাদের মহাকাশ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে অ্যাপ্লিকেশ ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের জন্য সবার আগে আমাদের দক্ষ জনবল তৈরির প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।

এ জন্য বাংলাদেশের বিশেষ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাকাশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ব্যবহারিক গবেষণার যে প্রতিষ্ঠান বর্তমানে আছে, সেগুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে এবং মৌলিক গবেষণা, যেমন রকেট সায়েন্সের উন্নয়ন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সম্পর্কিত বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, (৪ আইআর) প্রযুক্তি, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড কম্পিউটিং, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন প্রযুক্তি, থ্রিডি প্রিন্টিং, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বিগ ডেটা অ্যানালাইটিক, হরাইজন্টাল ও ভার্টিক্যাল সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, সাইবার সিকিউরিটি, রোবোটিকস ইত্যাদি প্রযুক্তির বিকাশ ও এ-সংক্রান্ত দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারব না।

  • অধ্যাপক ড. শেখ তৌহিদুল ইসলাম পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ই-মেইল: s.t.islam@juniv.edu