মতামত

নির্বাচনের ‘আগুনে’ শিশুদের ‘পোড়াবেন’ না

নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী প্রচারে শিশুদের ব্যবহার না করার জন্য কড়া নির্দেশনা এবং তা যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য আইনি ও প্রশাসনিক নজরদারির বিষয়ে একটা ফয়সালা হওয়া দরকার। নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার কেন ঝুঁকিপূর্ণ, তা নিয়ে লিখেছেন গওহার নঈম ওয়ারা

দেশের বেশির ভাগ মানুষ কোনো অবস্থাতেই আর ‘রক্তগঙ্গা’ বা খাণ্ডবদাহন দেখতে চান না। তাঁরা শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর এক নির্বাচনের প্রত্যাশা নিয়ে দিন গুনছেন। কিন্তু ‘কু’ ডাকও শুনছেন অনেকে। ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেও আগুন বলে ভয় পায়। আমাদের ঘর অনেকবার পুড়ছে, তাই সহজে ভরসা হয় না। 

এই লেখা যখন প্রায় শেষ করে ফেলেছি, তখন ওসমান হাদির খবর ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। একজন শুভাকাঙ্ক্ষী বলেই বসলেন, ‘বড়রাই যেখানে নিরাপদ নয়, সেখানে তুমি পইড়া আছ শিশুদের নিয়ে।’ কথা ঠিক না বেঠিক, সেই তর্কে না গিয়ে মিনমিন করে বলতে চাইলাম, শিশুরা যে দেশে নিরাপদ, সে দেশে সবাই নিরাপদ। কথাটায় দার্শনিকতার গন্ধ থাকলেও ঘটনা সত্য।  

শিশু-কিশোরেরা ভোটার নয়, কিন্তু তাদের ছাড়া ভোট হয় না। ভোটের মিছিল থেকে জাল ভোট দেওয়া পর্যন্ত নানা কাজে তাদের লাগানো হয়। এ দেশের নামজাদা দুজন চিত্রনায়ক বুক ফুলিয়ে ক্যামেরার সামনে তাঁদের জাল ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা স্বীকার করেছেন। তাঁরা মনেপ্রাণে এই প্রবীণ বয়সেও মনে করেন, সেটা তাঁদের বীরত্ব প্রকাশের হাতেখড়ি ছিল। বলেছেন, বড়রা তাঁদের এ কাজে উৎসাহিত করেছেন এবং কাজ শেষে শাবাশ দিয়েছেন। 

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন থেকে জাতীয় নির্বাচন—সর্বত্র তাদের ব্যবহার চলে। ২০১৬ সালের পঞ্চম দফায় ইউপি নির্বাচনী প্রচারে হালহকিকত দেখতে রংপুরের তারাগঞ্জ আর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় গিয়ে শিশুদের সঙ্গে অনেক কথা হয়েছিল। তারা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে তখন গ্রামে গ্রামে মিছিল করছিল। 

দেখে মনে হয়েছিল, যাঁদের ভোটের বয়স হয়েছে, এমন মানুষজনের কাছে শিশু-কিশোরদের মিছিল একটা উপভোগ্য ‘লগর’ (মজার বস্তু) হলেও বেশ জনপ্রিয়। বিনা পয়সার উপভোগ্য বিনোদন। শিশুরা কমিউনিকেটও করতে পারছে।

► বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের স্বাক্ষরকারী প্রথম দিকের দেশগুলোর একটি। এই স্বাক্ষর এবং অনুমোদনের পর রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা বিধিবিধান প্রণয়ন করতে পারে না বা কোনো চর্চা করতে পারবে না, যা ওই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।  ► শিশু অধিকার সনদ শিশুদের নিজস্ব মতপ্রকাশ ও অংশগ্রহণের অধিকারের পক্ষে কথা বলে; একই সঙ্গে শিশুদের শোষণ, ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম ও পারিবারিক/দলীয় স্বার্থের ব্যবহার থেকে রক্ষা করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ► আমাদের শিশু আইনে ১৮ বছরের নিচে সব ব্যক্তিকে শিশু হিসেবে গণ্য করা হয় এবং শিশু সুরক্ষা, কল্যাণ, অপরাধপ্রক্রিয়া, সরকারি দায়িত্ব ও সেবা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিস্তৃত বিধান আছে। 

মুড়ি, বিস্কুট ও টাকা নিয়ে বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে শিশুরা সকাল-বিকেলের মিছিল বেশ সংগঠিতভাবেই করছিল। শিখিয়ে দেওয়া নির্বাচনী ছড়া/স্লোগান খুব সহজেই তারা রপ্ত করতে পারে। নিজেরাও ছড়া বানিয়ে ফেলে নিমেষে। ‘অমুক আপা ভালো লোক, জয়ের মালা তাঁরই হোক’; ‘অমুক ভাইয়ের চরিত্র, ফুলের মতো পবিত্র’—এই সব সনাতন স্লোগানের পাশে চলছিল বিবেকি স্লোগান, ‘একটা ভোটের মূল্য আছে, ভোট দেবেন না কলাগাছে’।

একদিন সন্ধ্যায় দেখি তারাগঞ্জের প্রামাণিক পাড়া এলাকায় ৩০-৩৫ জনের একদল শিশু হাতে হ্যান্ডবিল, পোস্টার নিয়ে ইকরচালী ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীর পক্ষে নানা স্লোগান দিয়ে নেচে নেচে মিছিল করছে।

আমার চোখের বোবাদৃষ্টি দেখে বছর দশেকের এক শিশু নিজে থেকেই এগিয়ে এসে জানায়, ‘স্যার, হামরা কিন্তু ফ্রি না, হামরা টাকা নিয়া মিছিল করিছি। ঘণ্টায় ১০ টাকা নেই। মিছিল শেষোত মুড়ি-চানাচুর খাই।’

আগের দিন অন্য এক মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া এক কিশোর রাখঢাক ছাড়াই বলে যায়, ‘যায় হামাক টাকা দেয়, তার মার্কার মিছিল করি গ্রামে গ্রামে ঘুরি। চা-মুড়ি–খইও খাই। টাকা না হইলে মিছিল করবার যাই না।’ 

সে আরও বলে, ‘মিছিল করার হামার একটা দল আছে। সেই দলে হামরা ৩০-৩৫ জন আছি। বিকালের মধ্যেই হামরা সোবায় একটে হই। হামার দলের একজন নেতা আছে। তায় (তিনি) চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীর সঙ্গে কথা কয়া মিছিলের জন্যে টাকা নেয়। প্রত্যেক ঘণ্টা মিছিলের জন্যে একজনের জন্যে ১০ টাকা করি নেওয়া হয়। হামরা এক দিনে চার-পাঁচটা মার্কারও মিছিল করি।’

 একজন প্রার্থী জানিয়েছিলেন, ‘শিশুরা নিজ ইচ্ছায় মিছিলে আসে, আসলে কী আর করা, তাদের চা-মুড়ি খাওয়ার জন্য কিছু টাকা দেওয়া হয়। তা ছাড়া ওদের মিছিল ভোটারদের ভালোই লাগে। নির্বাচনে শুধু ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বললে চলে না; মাঠ গরম রাখার জন্য মিছিল হলে ভালো হয়।’ 

আইনকানুন নীতিমালা কী বলে

বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষরকারী প্রথম দিকের দেশগুলোর একটি। এই স্বাক্ষর এবং অনুমোদনের পর রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা বিধিবিধান প্রণয়ন করতে পারে না বা কোনো চর্চা করতে পারবে না, যা ওই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। 

স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকে প্রতি পাঁচ বছর পরপর শিশু অধিকার সনদের আলোকে তাদের কর্মকাণ্ড ব্যাখ্যা করে জাতিসংঘের কাছে একটা প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। সেই প্রতিবেদন জাতিসংঘ তাদের গুদামঘরে ফেলে না রেখে তার সদস্যরাষ্ট্রগুলোর কাছে পাঠিয়ে দেয়। প্রকাশ্য অধিবেশনে আলোচনা হয়। 

সব পক্ষের কথা শোনা হয়, তারপর পরের পাঁচ বছরে করণীয়গুলো ঠিক করা হয়। এটা নিয়ে আমাদের অনেক গড়িমসি আছে। রাষ্ট্র এ কাজ প্রায় ভুলে যায়। একবার দুটি প্রতিবেদন একসঙ্গে জমা দেওয়ার নজির আছে। নজির আছে ভুল ফরম্যাটে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার। সেসবের জন্য আমাদের কাফফারা দিতে হয়েছে।

বাংলাদেশ তার পঞ্চম প্রতিবেদনের পর আর কোনো প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। এটা নিয়ে অন্য সময় আলোচনা করা যাবে। আপাতত দেখা যাক ভোটের কাজে শিশুদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিশু অধিকার সনদ কী বলছে।

শিশু অধিকার সনদ শিশুদের নিজস্ব মতপ্রকাশ ও অংশগ্রহণের অধিকারের পক্ষে কথা বলে; একই সঙ্গে শিশুদের শোষণ, ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম ও পারিবারিক/দলীয় স্বার্থের ব্যবহার থেকে রক্ষা করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। সনদের ১৯, ৩২ ও ৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদে শিশু-কিশোরদের ভোটের রাজনীতিতেও ব্যবহার প্রতিরোধের কথা বলা হয়েছে।

সনদ খুব পরিষ্কার করেই বলেছে, শিশুদের দলীয় প্রচারণা, সমাবেশে প্ররোচিত করা, ভোট বা ভোটাভুটির জন্য ‘মাসকট’ হিসেবে ব্যবহার করা হলে সেটি প্রায়ই শিশুদের শোষণ বা বিপজ্জনক পরিবেশে ঠেলে দেয় এবং সনদ ও সুরক্ষা নীতিবিরোধী কাজ। 

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের সঙ্গে সংগতি রেখে তৈরি বাংলাদেশে শিশু অধিকার আইনও শিশুদের সুরক্ষা ও কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়; তাই রাজনৈতিক দলের সরাসরি প্ররোচনা বা ঝুঁকিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশে শিশুদের ব্যবহার নীতিগতভাবে অনুকূল নয় এবং আইনি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে পারে। 

শিশুদের ঝুঁকিটা কোথায় 

সহিংসতার আশঙ্কা থাকুক বা না থাকুক, কারও হাতে সংঘর্ষ–খুনোখুনি বন্ধের বোতাম থাকুক অথবা না থাকুক, শিশুদের ঝুঁকি সব সময় থাকে। নিচে গত কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে শিশুদের প্রাণহানির বর্ণনা দেখলেই বোঝা যাবে, তারা কতটা অনিরাপদ। 

১. নোয়াখালী সদর উপজেলার ১ নম্বর চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণার গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। দুর্ঘটনায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীসহ আরও দুজন গুরুতর আহত হয়।

২. গাজীপুরের শ্রীপুরে নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত গাড়ির ধাক্কায় এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন। ব্যস, ওই পর্যন্তই।

৩. ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় বাচোর ইউপি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল, সে ছিল তার মায়ের কোলে। ভোটের ফলাফল দেখতে শিশুকে কোলে নিয়ে আসেন নিহত শিশুর মা। সেখানে ‘পরিস্থিতি’ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে গুলি ছোড়ে দায়িত্বরত পুলিশ। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাথার খুলি উড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি। 

৪. কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ইউনিয়নের মধুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯ বছরের যে শিশুটি মারা গিয়েছিল, সে–ও তার মায়ের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে এসেছিল। নিহত শুভ ছিল ওই স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। সেখানে সকাল ১০টার দিকে এক ব্যক্তি ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারার চেষ্টা করলে আতঙ্কিত লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকেন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে।

 ৫. ২০২২ সালের ১৭ জুন শরীয়তপুরে মায়ের কোলে থাকা আরেক শিশুর গায়ে গুলি লাগার ঘটনা ঘটে। এটা ছিল মায়ের সঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী বিজয় মিছিলের উৎসব দেখতে যাওয়া এক শিশুর কাহিনি।     

শিশুদের এ ধরনের প্রাণহানি বন্ধে কী করা যায়

নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞ কমিশনারসহ নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানেন, নির্বাচনী প্রচারে শিশুদের ব্যবহার শিশুনীতিতে বেআইনি কাজ। জাতীয় শিশুনীতিতে এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। 

এ নিয়ে ইউনিসেফ নানা সময়ে পৃথক বিবৃতিতে শিশুদের যেকোনো ধরনের সংঘর্ষ কিংবা দলীয় কর্মসূচিতে যুক্ত না করতে দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে। সেসব বিবৃতিতে নানা দেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনায় উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানেও সমতা, অধিকার এবং সমবেত অধিকার নির্দেশক নীতিগুলো শিশুদের স্বার্থ ও সুরক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে।

 আমাদের শিশু আইনে ১৮ বছরের নিচে সব ব্যক্তিকে শিশু হিসেবে গণ্য করে এবং শিশু সুরক্ষা, কল্যাণ, অপরাধপ্রক্রিয়া, সরকারি দায়িত্ব ও সেবা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিস্তৃত বিধান আছে। এটি শিশুদের শোষণ, যৌক্তিক নয় এমন কাজে ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিধান করে এবং আদালত প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে শিশুদের বিশেষ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আইনগত ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও কেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তথা নির্বাচনী প্রচারে ‘শিশু ব্যবহার নিষেধ’ করার কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না? 

নির্বাচন কমিশন বলতেই পারে, অনেকেই তো এল-গেল, কই কেউ তো এসব নিয়ে কিছু বলল না। দাতা (উন্নয়ন সহযোগী) প্রতিষ্ঠান এবং তাদের অর্থায়নে পরিচালিত নানা শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো হেলদোল নজরে পড়েনি। এবারের নির্বাচনে সহিংসতার আলামত থাকুক বা না থাকুক, শিশুদের নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেওয়া চলবে না। 

নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী প্রচারে শিশুদের ব্যবহার না করার জন্য কড়া নির্দেশনা এবং তা যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য আইনি ও প্রশাসনিক নজরদারির বিষয়ে একটা ফয়সালা হওয়া দরকার। 

নির্বাচন কমিশন শিশুদের কথা ভাবুক বা না ভাবুক, দেশের নতুন-পুরোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই নিজেদের আচরণবিধি চালু করতে পারে: যেখানে মিছিল, প্রচার বা ক্যাম্পেইনে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অংশগ্রহণ কড়াকড়িভাবে নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করা হবে।

গওহার নঈম ওয়ারা লেখক গবেষক   

ই–মেইল: wahragawher@gmail.com 


*মতামত লেখকের নিজস্ব