Thank you for trying Sticky AMP!!

আমাদের কপাল খুলে গেছে

নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো

সংলাপের প্রশ্নে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা চা খাওয়ানোর দাবি করেছিলাম, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ডিনার করাবেন। আমাদের কপাল খুলে গেছে। দেশবাসীর কপালও খুলে গেছে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সভার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরের নাগরিক ঐক্যে যোগদান উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর তোপখানা সড়কের বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে এর আয়োজন হয়।

গত রোববার সন্ধ্যায় সংলাপ চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর দুটি চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। চিঠির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সংযুক্ত করা হয়। সংলাপের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে ডেকেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে।
ওই সংলাপে যাবেন কি না, এমন প্রশ্নে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি জানি না। বেলা তিনটায় মিটিং। তখন ঠিক হবে কে যাবে না যাবে। যদি যাই তবে সাত দফা নিয়ে আলাপ করব।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশবাসী পরিবর্তন চাইছে। দেশবাসী এই অনাচার আর চায় না। হাজার হাজার মানুষ গায়েবি মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছে। এটা প্রমাণ করে, এখানে ইসলামাবাদের শাসন কায়েম হয়েছে।

আজকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘সংলাপে ডেকেছেন, সেই সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা নিয়ে কথা বলুন। আমরা আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করব। আমরা আপনাদের সঙ্গে কোনো ছলচাতুরি করতে যাচ্ছি না, আন্তরিকভাবেই সংলাপ করতে চাই, একটা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন নিয়েই আমরা কথা বলব।’

সংলাপ নিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা সংলাপে যাব। এর মধ্যে কোনো রিজারভেশন নেই। আমরা ডাকলেই যাব, কোনো অ্যাজেন্ডা ছাড়াই যাব। আমরা সাত দফা নিয়ে যাব। সাত দফাই মানতে হবে। কোনো রকম দ্বিধা–দ্বন্দ্বের কিছু নেই, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি আমাদের দাবি।’

মান্না বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা নেহাতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা বলতে চাই, যা–ই করব আন্তরিকভাবে করব। আমাদের এই আন্দোলন প্রতিহিংসার নয়। আমরা কারও গণতান্ত্রিক আন্দোলন কেড়ে নেব না। আমরা কারও ওপর আক্রোশ করব না, তবেই এটা ঠিক বিচার হবে।’
আলোচনার শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় শুভেচ্ছা জানানো হয়। তিনি নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে ‘স্বাধীনতা পার্টি’ নামের একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন।

নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, নাগরিক ঐক্য কোনো বড় সংগঠন নয়, তবে এটি স্বৈরশাসন, হত্যা, গুম, খুন, অন্যায়সহ যত আচরণ হয়, হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। দেশের নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করার কর্মসূচি দেওয়া হয়। দেশে একটা অনির্বাচিত সরকার, অথচ তারা নির্বাচিত বলে দাবি করছে। এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। লক্ষ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে, কোনো জবাবদিহি নেই।