Thank you for trying Sticky AMP!!

কারচুপি-অনিয়মে শুরু, প্রায় সবার বর্জনে শেষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। কিন্তু কিছু হলে ভোটারদের লাইন থাকার কারণে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও ভোট নেওয়া হয়েছে। এখন বেশির ভাগ হলে ভোট গণনার প্রস্তুতি চলছে।

মেয়েদের দুটি হল কুয়েত মৈত্রী হল ও বেগম রোকেয়া হলে এখনো ভোট গ্রহণ চলছে। কারচুপির অভিযোগে কুয়েত মৈত্রী হলে নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর ভোট শুরু হয়। রোকেয়া হলে দুই দফা ভোট বন্ধ থাকার পর বেলা তিনটায় আবারও ভোট নেওয়া শুরু হয়। এ দুটি হল ছাড়া অন্য হলগুলোতে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।

ডাকসুর ২৫টি পদে এবং হল সংসদের ১৩টি পদে ভোট দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অবশ্য ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য ছাত্রসংগঠনগুলো অনিয়মের অভিযোগে ভোট শেষ হওয়ার পৌনে এক ঘণ্টা আগেই ভোট বর্জন করেছে।

ছাত্রদল, বাম সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা ভোট বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে।

ভোট শুরুর পর কুয়েত মৈত্রী হলে আগেই সিল দেওয়া ব্যালট পেপারভর্তি ব্যালট বাক্স উদ্ধারের পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ওই হলের প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে বহিষ্কার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর বেলা ১১টায় আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রোকেয়া হলে সিল না মারা ব্যালট পেপারসহ ব্যালট বাক্স উদ্ধার করা হলে এ নিয়ে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়।

তা ছাড়া বিভিন্ন হলে ভোটারদের লম্বা লাইন থাকলেও ভোট দিতে পারছিলেন না ভোটাররা। অনেক ভোটারই ভোট না দিয়ে চলে যান।

ভোট নিয়ে ছাত্রলীগ ছাড়া প্রায় সব ছাত্রসংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অভিযোগ করলেও প্রশাসন তা আমলে নিচ্ছিল না। উপাচার্য আখতারুজ্জামান অবশ্য ভোট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে এও বলেছেন, যাঁরা অনিয়ম করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

 আরও পড়ুন :-

ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তাড়া