Thank you for trying Sticky AMP!!

কারা ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইছে, ডাকসু নির্বাচনে শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীরা যেন প্রার্থী হতে পারেন। কিন্তু ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। কী আছে ডাকসুর গঠনতন্ত্রে? কারা প্রার্থী হতে পারেন? তা খোঁজার চেষ্টা এই প্রতিবেদনে।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর এবার ডাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে গঠনতন্ত্রটি সংশোধন ও পরিমার্জনের বৈঠক হয়েছিল। একে যুগোপযোগী করতে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোকে ১০ জানুয়ারি মতবিনিময়ের জন্য ডেকেছে। ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু অচল থাকায় এর গঠনতন্ত্রটি দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘদিন পরে ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ আলোচনায় আসায় গঠনতন্ত্রটি তাঁদের সামনে নতুন আগ্রহ ও আবেদন নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। ফলে, এর সীমাবদ্ধতা বা সংস্কারের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে নিবিড় পর্যালোচনার প্রয়োজন।

ডাকসুর গঠনতন্ত্রের ৪ ধারার ১ ও ২ উপধারা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ও অনাবাসিক সব নিয়মিত শিক্ষার্থীই ডাকসুর সদস্য। তবে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আর্থিক প্রাপ্য পরিশোধ করতে হবে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীরাও ডাকসুর সদস্য হতে পারেন, তবে তাঁদের ডাকসু নির্ধারিত নিবন্ধন ফি দিতে হয়।

৪ ধারার ৩, ৪ ও ৫ উপধারা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরও নিবন্ধন ফির বিনিময়ে ডাকসুর সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই প্রক্রিয়া দুই ধরনের। একটি হচ্ছে সাধারণ সদস্য ও আরেকটি আজীবন সদস্য। ডাকসুর কার্যনির্বাহী সংসদ চাইলে দেশের যেকোনো বিশিষ্ট নাগরিককে ডাকসুর আজীবন সদস্য ঘোষণা করতে পারে।

৪ ধারার ৬ উপধারায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রিডিগ্রি, বিএফএ, এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীরা ভোটার হতে পারবেন কিন্তু প্রার্থী হতে পারবেন না।

১৯৯১ সালের ১৭ জুন সিন্ডিকেটের সভায় একটি সংশোধনী আনা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা প্রিলিমিনারি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্টসের ডিগ্রি পাস কোর্স, বিএফএ, বিবিএ, ডিপ্লোমা, পরিসংখ্যান ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র সার্টিফিকেট কোর্সের শিক্ষার্থীরা ভোটার হতে পারবেন। কিন্তু এঁদের মধ্যে যাঁরা কোনো কোর্সে শিক্ষাবিরতি দিয়ে পুনর্ভর্তি হয়েছেন বা ফি দেওয়ার সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে, তাঁরা সে সুযোগ পাবেন না।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব কটি ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বই নিয়মিত শিক্ষার্থী নন। সে ক্ষেত্রে ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের শীর্ষ নেতাদের ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী করতে এমফিল বা একাধিক স্নাতকোত্তর করছেন, এমন শিক্ষার্থীদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখার দাবি জানাবে।

কারা ভোটার হবেন, তা জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সবকিছু কমিটি দেখবে। কিছু নিয়ম যে আছে, সেগুলো যথার্থ কি না এবং কোন ক্ষেত্রে কী করা উচিত, সবই দেখবে কমিটি। সবকিছু দেখে তারা একটি সুপারিশ করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আগে ১০ জানুয়ারি গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য বৈঠক ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই বৈঠকে নির্ধারণ হবে, কারা হতে পারবেন এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী ও ভোটার।

কারা আছেন কমিটিতে?
ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ ও আইন বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কবি জসীমউদ্‌দীন হলের প্রাধ্যক্ষ ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা এবং শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা।

কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যমান গঠনতন্ত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না বা কোনো কিছু সংযোজন বিয়োজন করতে হবে কি না, সেটা জানতেই বৈঠকে ছাত্রসংগঠনগুলোর পরামর্শ নেওয়া হবে। কমিটি তাদের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণের সুপারিশ করবে।

ভোটার তালিকার কী হাল?
২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ শিক্ষার্থীর করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৭ জানুয়ারি এক রায়ে ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশনার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

আদালতের নির্দেশনার সাত মাসেও নির্বাচনের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিশ দেন রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এর পরের মাস অক্টোবরের ৩১ তারিখ ‘ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে’ হলভিত্তিক শিক্ষার্থীদের ডেটাবেইস প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ প্রকাশিত তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হলের সঙ্গে সংযুক্ত ও আবাসিক মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৪৯৩ জন শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৫০৯ জন ছাত্রী ও ২৩ হাজার ৯৮৪ জন ছাত্র।

তবে তখন উপাচার্য বলেছিলেন, এটি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা নয়।

ছাত্রসংগঠনগুলো কী চায়: আলোচনায় সহাবস্থান
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল ছাত্রজোটভুক্ত দলগুলো বৈঠকের বিষয়ে প্রশাসনের চিঠি পেয়েছে বলে জানিয়েছে। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘পিএইচডি, এমফিলের শিক্ষার্থীদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু সব কটি ছাত্রসংগঠনই নিয়মটি শিথিলের করা যায় কি না, সেটা ভাবছে। সে ক্ষেত্রে একটি টাইমফ্রেম বেঁধে দেওয়া যায় কি না, আমাদের সে প্রস্তাব থাকবে।’

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের চাওয়া, নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই ডাকসুর ভোটার হবেন। তবে এটা নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোয় দ্বিধাবিভক্তি তৈরি হলে তা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। সে ক্ষেত্রে আমরা নিয়মিত ছাত্রত্বের কাছাকাছি থাকা ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ যেন থাকে, তা বলব। গঠনতন্ত্রটি আরও যাচাই-বাছাই করে সভায় আমরা সুনির্দিষ্ট বক্তব্য উপস্থাপন করব।’

ছাত্রদল এখনো চিঠি পায়নি বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ডাকসু নির্বাচন চাই। প্রশাসন ডাকলে অবশ্যই আমরা যাব। আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করব। কিন্তু তার আগে আমাদের দাবি ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের, ফেয়ার নির্বাচনের। আমাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরব।’

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা পরিবেশ পরিষদের বৈঠকে বলেছিলাম, ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের আগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হলগুলোয় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের যে দখলদারি রয়েছে, এটি বহাল রেখে কোনোভাবেই একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা ক্যাম্পাস ও হলগুলোয় সব সংগঠনের সমান অংশীদারত্ব ও সহাবস্থান চাই। ডাকসুর বর্তমান সংবিধানের অগণতান্ত্রিক ধারাগুলো পর্যালোচনা করে সুপারিশ জানাব।’

ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বলেন, ‘মতবিনিময় সভায় আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তফসিল ঘোষণার দাবি জানাব। ক্যাম্পাসে সব ছাত্রসংগঠনের সহাবস্থান নেই। কিছুদিন আগেও ক্যাম্পাসে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতার ক্ষেত্রে এমফিল পর্যন্ত যেন সুযোগ রাখা হয়, সেই দাবি করব।’

ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজীব দাস বলেন, ‘ডাকসুর বিদ্যমান গঠনতন্ত্রটি নিয়ে আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বসিনি। নিজেরা পর্যালোচনার পর সুপারিশগুলো নির্ধারণ করব এবং সেগুলো মতবিনিময় সভায় উপস্থাপন করব।’

অবশেষে হচ্ছে নির্বাচন?
ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৬ জুন। তখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের রাষ্ট্রপতি। ১৯৯৮ সালে ডাকসুর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। মাঝেমধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। সিনেটে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু তাতে ফল হয়নি। ২০১২ সালে বিক্ষোভ, ধর্মঘট, কালো পতাকা মিছিল এবং ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ তৈরি করে লাগাতার কর্মসূচিও চলে বেশ কিছুদিন।

এরপর বিভিন্ন সময় ডাকসুর নির্বাচনের দাবি উঠলেও সেটা খুব জোরালো ছিল না। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে এই দাবি আবার সামনে আসে। ওই বছরের ২৯ জুলাই ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতৃত্বে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

১৯৯০ সালের নির্বাচনের পর ১৯৯১ সালের ১৮ জুন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য মনিরুজ্জামান মিঞা নির্বাচন বন্ধ করে দেন। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে পরপর দুবার উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসুর তফসিল ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তখন ছাত্রলীগের বিরোধিতার কারণে নির্বাচন হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী উপাচার্য হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে একাধিকবার ডাকসু নির্বাচনের সময়সীমার কথা জানিয়েছিলেন।

সর্বশেষ ২০০৫ সালের মে মাসে উপাচার্য এস এম এ ফায়েজ ওই বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তখন ক্ষমতাসীন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে একাধিকবার মিছিল, সমাবেশ ও উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়। কিন্তু বিরোধিতা করে ছাত্রলীগ।

ডাকসু নির্বাচনের নির্দেশনা চেয়ে গত পাঁচ বছরে উচ্চ আদালতে পৃথক দুটি রিট আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু জবাব দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছয় বছর আগের একটি রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে গত বছর ১৭ জানুয়ারি এক রায়ে হাইকোর্ট ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। কিন্তু সাত মাসেও নির্বাচনের কোনো আয়োজন দৃশ্যমান না হওয়ায় গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিশ পাঠান রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সেই শুনানি শেষে গত রোববার হাইকোর্ট জানান, মার্চে ডাকসু নির্বাচনের কোনো বাধা নেই।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের টার্গেট ৩১ মার্চ৷ টার্গেট থেকে তো আমরা সরে যাইনি। টার্গেট সামনে রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাকিটা দেখা যাক।’