Thank you for trying Sticky AMP!!

ক্লাবে চলমান অভিযানে ক্ষুব্ধ হুইপ শামসুল

চট্টগ্রাম-১২ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ শামশুল হক চৌধুরী

বিভিন্ন ক্লাবে চলমান অভিযানে ক্ষুব্ধ হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ শামশুল হক চৌধুরী। আজ রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত একটি সমন্বয় সভায় যোগ দিতে এসে প্রথম আলোর কাছে তাঁর এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। চট্টগ্রাম বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সমন্বয় সভাটি হয়। এই সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।

আজ দুপুরে সভা শেষে শামশুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে শতদল, ফ্রেন্ডস, আবাহনী, মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধাসহ ১২টি ক্লাব আছে। ক্লাবগুলো প্রিমিয়ার লিগে খেলে। ওদের তো ধ্বংস করা যাবে না। ওদের খেলাধুলা বন্ধ করা যাবে না। প্রশাসন কি খেলোয়াড়দের পাঁচ টাকা বেতন দেয়? ওরা কীভাবে খেলে, টাকা কোন জায়গা থেকে আসে, সরকার কি ওদের টাকা দেয়? দেয় না। এই ক্লাবগুলো তো পরিচালনা করতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে শামশুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিকেরা প্রেসক্লাবে বসে তাস খেলেন। এটা কি জুয়া হলো? জুয়া হলে তো আপনারা প্রেসক্লাবেও বসতে পারবেন না। তাস খেললেও জুয়া। তাস ধরলেই জুয়া। আর অভিযানে ক্যাসিনো বের করতে পারলে তাদের বাহবা দেওয়া যেত।’ সাংসদ ঘুষের ব্যবসাও বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনকে বলব, ঘুষের ব্যবসা যাঁরা করেন তাঁদের ধরেন। ঘুষ যাঁরা নেন, তাঁদের ধরেন। যাঁরা দেন, তাঁদেরও ধরেন।’

হুইপ বলেন, ‘ক্লাবের তাস খেলা বন্ধ করে কোনো লাভ হবে না। তাস খেলা বন্ধ করলে ছেলেরা রাস্তায় ছিনতাই করবে। এটা বন্ধ করে লাভ হবে না। এখানে কোনো ক্যাসিনো নেই। ক্যাসিনো ধরেন, তাস খেলা হয় এ রকম ক্লাব ধরবেন না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ক্যাসিনো এবং মদের ব্যবসা যারা করেন, তাদের ধরতে বলেছেন।’ ঘুষ কে খান—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি খান। আমি খাই। সবাই ঘুষ খান।’ ঘুষ কে দেন—জানতে চাইলে বলেন, ‘আপনি দেন। আমি দিই। সবাই দেন। তাঁদের ধরেন।’