Thank you for trying Sticky AMP!!

নেতা-কর্মীদের সংঘাত ও ভাঙচুরে না জড়াতে বলেছেন বাবুনগরী

হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের গ্রেপ্তার হওয়া নেতা–কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। আজ সোমবার রাতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান। আমিরের প্রেসসচিব ইনামুল হাসান ফারুকী ভিডি বার্তাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠান।

ভিডিও বার্তায় বাবুনগরী হেফাজত সম্পর্কে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি সংগঠনের নেতা–কর্মীদের ধৈর্য ধারণ করে সংঘাত ও ভাঙচুরে না জড়াতে বলেছেন।

বাবুনগরী বলেন, প্রশাসন রমজানে উলামায়ে কেরাম, তৌহিদি জনতাকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে। সারা রাত মানুষ বাইরে থাকছে। তারা ইফতার ও সাহ্‌রি কীভাবে করবে। হাটহাজারী মাদ্রাসার আশপাশের লোকজনও রাতে ঘরে থাকতে পারছে না। অথচ তারা কোনো আন্দোলনে ছিল না।

মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বাবুনগরী বলেন, হেফাজত নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জুনায়েদ আল হাবিব, মামুনুল হক, ইলিয়াস হামিদীকে মুক্তি দিন। ৯ বছর আগের মামলায় কেন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এত দিন কোথায় ছিলেন আপনারা। ২০১৩ সালের মামলা ডাহা মিথ্যা।

নেতা–কর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলাম জ্বালাও–পোড়াও বিশ্বাস করে না। এগুলো হারাম, নাজায়েজ। তিনি নিরাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিপদে ধৈর্য ধারণ করুন। সংঘাতে যাবেন না। দোয়া করুন।

কোনো পার্টি কিংবা দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন হেফাজতে ইসলামের উদ্দশ্যে নয় উল্লেখ করে বাবুনগরী বলেন, কিছু কুচক্রী মহল নানা প্রকার গুজব রটাচ্ছে। গুজবের প্রতি কান না দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, হেফাজতের উদ্দেশ্য কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানো নয়।

২৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি ছিল না উল্লেখ করে বাবুনগরী বলেন, ওই দিন কোনো কমান্ড ছিল না। তিনি নিজেও হাটহাজারী ছিলেন না। ঢাকার বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মারধর করেছে ক্যাডাররা। ভারত সরকার প্রধান মোদির আগমন ঘিরে হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কিছু বক্তা তাঁদের বক্তব্যে বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম শান্তিপ্রিয়। শৃঙ্খলা চায়। সংঘাতে যেতে চায় না।