পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি

‘ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজ’–এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়
ছবি: সংগৃহীত

দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা, হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মীয় উপাসনালয় ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিকে ‘মিথ্যাচার’ উল্লেখ করে ওই বক্তব্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সনাতনী সংগঠন।

আজ শনিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে কয়েকটি হিন্দু সংগঠন ‘ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজ’–এর ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানেই এ দাবি জানানো হয়। সাম্প্রদায়িক ঘটনা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠক কাঞ্চন আচার্য্য।

সংবাদ সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ব্যবহার করে সংখ্যালঘুদের ঘায়েল বন্ধ করা, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মুক্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত মঠ-মন্দির, আশ্রম, দেবালয়সমূহকে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে সেনাবাহিনীর দ্বারা পুনর্নির্মাণ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কথক দাশ, সনাতন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা অশোক চক্রবর্তী, হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলার নেতা যীশু কৃষ্ণ রক্ষিত, ঋষি মতিলাল স্মৃতি সংসদের সদস্যসচিব শুভাশীষ শর্মা, জাগো হিন্দু পরিষদের চট্টগ্রামের সভাপতি রুবেল কান্তি দে, বিশ্ব সনাতন ঐক্যের সমন্বয়ক সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ প্রমুখ।

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর একটি বিবৃতি দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, দেশে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সময় কেউ ধর্ষিত হননি এবং একটি মন্দিরেও অগ্নিসংযোগ কিংবা ধ্বংস করা হয়নি। ধর্মীয় সহিংসতায় এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়জন মারা গেছেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন মুসলমান, আর তাঁরা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। দুজন হিন্দু মারা যান, তাঁদের মধ্যে একজনের সাধারণ মৃত্যু হয়েছে। অন্যজন ডুবে মারা গেছেন।