Thank you for trying Sticky AMP!!

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় বিদেশি কূটনীতিকেরা

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া’ শীর্ষক ওয়েবিনারে আলোচকেরা

বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকেরা। গতকাল শনিবার ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে আলোচনা করেন তাঁরা।

আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটি এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

আলোচনায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিশ্বজিৎ দে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে নরেন্দ্র মোদির পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তাকে উদ্ধৃত করে বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। করোনার মধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রশংসনীয় বলে জানান তিনি। এ সময় শেখ হাসিনার অধীন বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘সোনালি অধ্যায়’ হিসেবে বর্ণনা করে দুই দেশের মধ্যকার উন্নয়নমূলক এ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে অনেক বাধার সম্মুখীন হলেও বর্তমানে বিশ্বে ও বাংলাদেশে নারী নেতৃত্বের রোল মডেল হয়ে আছেন। কোটি মানুষকে শেখ হাসিনা দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিয়েছেন এবং নারী ক্ষমতায়নে নতুন মাত্রা অর্জন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাসের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হামিদী নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। হামিদী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে (বাংলাদেশে) স্থিতিশীলতা এসেছে এবং উন্নয়নের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা যে অগ্রযাত্রার সূচনা করেছেন, তাতে অচিরেই বাংলাদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জীবনমানের নিরাপত্তা দেওয়ায় শেখ হাসিনাকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। নাওকি বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ জাপান সফরকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাপান অবকাঠামো উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজে তিরিঙ্ক বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রশংসা করেন তিনি।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি বিষয় এবং দেশের প্রতিটি এলাকা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে খোঁজ রাখেন, তিনি সব সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করেন, তা সত্যিই বিরল। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘নিয়মানুবর্তিতা ও কঠোর পরিশ্রমের রোল মডেল তিনি।’

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সম্পাদক শাম্মী আহমেদ এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা।