
একটি স্বার্থান্বেষী মহল ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে বিএনপির নেতৃত্ব। তাঁরা বিএনপির চেয়ারপারসনকে ভুল পথে পরিচালিত করার অপচেষ্টা করছে। জিয়াউর রহমানের ছোট ভাই আহমেদ কামালের এক লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলা হয়েছে।
‘শহীদ জিয়ার আদর্শ ও বিপন্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার শুরুতে এই লিখিত বক্তব্য সাংবাদিক ও উপস্থিত সবার মধ্যে বিলানো হয়। আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন আহমেদ কামাল। সেখানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপির সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত সাবেক হুইপ আশরাফ হোসেন, দৈনিক দিনকালের সাবেক সম্পাদক কাজী সিরাজ, বিকল্পধারার সাবেক নেতা শেখ শহীদুল ইসলাম, সাবেক আইন কর্মকর্তা হোসনে আরা, আইনজীবী প্রদীপ কুমার সরকার প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘বিএনপির বর্তমান নাজুক অবস্থা দেখে কিছু কথা না বলে পারছি না। মাঝে মাঝে দুঃখ হয় যখন দেখি, আমার ভাই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে আদর্শ-নীতির সঙ্গে বিএনপির অনেক কর্মকাণ্ডের এখন মিল নেই। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে এখন বিতর্ক সৃষ্টি করা মোটেই সঠিক নয় বলে আমি মনে করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। একে অপরের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি ও নোংরা রাজনীতি সব দলকে বেরিয়ে আসতে হবে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বিএনপির নেতৃত্ব এবং বিএনপির চেয়ারপারসনকে ভুল পথে পরিচালিত করার অপচেষ্টা করছে। তাঁরা চেয়ারপারসনকে ভুল পরামর্শ ও তথ্য দিয়ে অন্ধকারে রাখতে চান। এ চক্রের ভুলের কারণে জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী দলের ত্যাগী ও প্রবীণ নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাশুল দিতে হচ্ছে। শত শত মিথ্যা মামলা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গ্রেপ্তার, হত্যা, গুম হওয়ার ভয়ে যাযাবর জীবনযাপন করছে। এসব ত্যাগী নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং তাদের মধ্যে যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে আবার সঠিক নির্দেশনা দিয়ে তাঁদের পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। আমার ভাইয়ের হাতে গড়া বিএনপিকে ও তাঁর আদর্শ বাস্তবায়িত এবং দলকে সঠিক পথে সুসংগঠিত করার জন্য একজন সহযোদ্ধা হিসেবে আপনাদের পাশে আছি, থাকব। আমি ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করতে চাই না। দেশের এই দুর্দিনে বিএনপির পাশে থেকে সেবা করতে চাই।’
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু দেশের কোথাও গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। মানুষের স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার নেই। বিরোধী দলের বাকস্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ মিটিং মিছিল করার অধিকার হরণ করা হয়েছে। সরকার ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করে অনৈতিকভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রয়েছে সর্বস্তরে দুর্নীতি অনিয়ম দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।