
এবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ রোববার এ আদেশ দেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির ১৬২ নেতা-কর্মীর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেকের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন দ্বিতীয় দফায় নাকচ হয়। গত সোমবারও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ জনের জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে নাম উল্লেখ করা বিএনপির নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস ছিলেন না।
‘ওপরের নির্দেশ’-এ ওই দুই নেতার বাসায় ৮ ডিসেম্বর (গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে) পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর তাঁদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
৭ ডিসেম্বরের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের চার মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৮৮ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৩১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অন্যদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর দুজনকে (আমানউল্লাহ ও আবদুল কাদের) জামিন দেন আদালত। কারাগারে পাঠানো নেতাদের মধ্যে রয়েছে রুহুল কবির রিজভী, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির, শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ।
বিএনপি বলে আসছে, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় তাদের গণসমাবেশের যে কর্মসূচি ছিল, মূলত সেটি বানচাল করার উদ্দেশ্যেই পুলিশ ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করেছে।