প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে

তফসিল ঘোষণা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি

  • মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর।

  • মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি।

  • প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি।

  • প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি।

  • নির্বাচনী প্রচারণা ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটও হবে এ দিন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।

একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার করে ভাষণে সিইসি বলেছেন, বিভিন্ন কারণে এবারের নির্বাচন জাতীয় ইতিহাসে অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এই নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি ও সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠে নিঃসংকোচে ভোট দেওয়া এবং রাজনৈতিক দল ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ১৮ মাসের মাথায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার ভোট গ্রহণ হবে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে টানা বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এক শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করল। ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ এখন যে নতুন পথে অগ্রসর হচ্ছে—এই নির্বাচন ও গণভোট সেই পথরেখাকে দৃঢ় করবে, গণমানুষের মতকে প্রাধান্য দেবে এবং নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি আরও সুসংহত করবে।

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও নির্বাচনের তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২১ নভেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। আগামী নির্বাচনই হবে এই কমিশনের অধীনে প্রথম কোনো নির্বাচন।

ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোই কেবল দলীয় প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। এখন ইসিতে নিবন্ধিত দল আছে ৫৬টি। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত আছে। নিবন্ধন স্থগিত থাকা দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। নিবন্ধিত অন্য দলগুলো এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। এর বাইরে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য যেকোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।

তফসিলে যা আছে

সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত।

‘অনন্য নির্বাচন’

বিভিন্ন কারণে এবারের নির্বাচন জাতীয় ইতিহাসে অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন সিইসি। এর মধ্যে ভাষণে চারটি কারণ তুলে ধরে সিইসি বলেন, প্রথমত, প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত সংস্কার প্রশ্নে সিদ্ধান্তের নির্বাচন এটি। এবার জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে, যা একটি নতুন অভিজ্ঞতা।

দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এই নির্বাচন হচ্ছে সক্ষমতা প্রমাণ করে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের অনন্য সুযোগ।

তৃতীয়ত, দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলন–সংগ্রামের পর দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার ধারা প্রবর্তনের দাবি রাখে এই নির্বাচন।

চতুর্থত, প্রায় অকার্যকর পোস্টাল ভোটব্যবস্থাকে পরিমার্জন করে এই নির্বাচনে একটি কার্যকরী রূপ দেওয়া হচ্ছে।

ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোই কেবল দলীয় প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। এখন ইসিতে নিবন্ধিত দল আছে ৫৬টি। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত আছে। নিবন্ধন স্থগিত থাকা দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। নিবন্ধিত অন্য দলগুলো এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। এর বাইরে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য যেকোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।

সিইসি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আনা হচ্ছে। একইভাবে প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আসছেন আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা। এ ছাড়া নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি কর্মচারী এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরাও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে এবার ভোট দিতে পারবেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচন ছিল একতরফা ও সাজানো। এটি ‘আমি-ডামি’র নির্বাচন হিসেবে পরিচিতি পায়।

এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত সব দল অংশ নিয়েছিল। তবে ভোটের আগের রাতে সারা দেশে বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্স ভর্তি করে রাখা নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়। এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘রাতের ভোট’ নামে পরিচিতি পায়। তার আগে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সে নির্বাচনে জয়ী সংসদ সদস্যরা ‘বিনা ভোটের এমপি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।

এমন প্রেক্ষাপটে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ভাষণে বলেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল মালিকানা প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। দুঃখজনক হলেও সত্য, মানসম্মত নির্বাচনের অনুপস্থিতি প্রায়ই আমাদের ঐতিহ্য এবং সামষ্টির প্রত্যাশাকে ম্লান করেছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে ২০২৪–এর গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সিইসি বলেন, ‘আমাদের ভাই-বোন-সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান, যা জাতি হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে এবং বিশ্বদরবারে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।’

নিঃসংকোচে ভোট দিন

আগামী নির্বাচনে ভোটারদের নিঃসংকোচে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘ধর্ম, গোত্র, গোষ্ঠী, লিঙ্গনির্বিশেষে সবাই এই আনন্দ আয়োজনে অংশগ্রহণ করুন। পরিবারের প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও সন্তানসম্ভবা মাসহ সবাইকে নিয়ে ভোট দিতে আসুন। আমি আশা করি, আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোটের অনুষ্ঠান উৎসবে রূপ নেবে।’

রাজনৈতিক দল ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা নিশ্চিত করে ভোটারদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনই হোক আপনাদের লক্ষ্য।’

ভোটারদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ, অসত্য এবং অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারিত কোনো তথ্যে কান দেবেন না, গ্রহণ করবেন না। মনে রাখবেন, অসত্য তথ্য শেয়ার করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। কমিশনের অংশ হিসেবে আপনারা নির্ভয়ে, সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। মনে রাখবেন, এ ব্যাপারে কোনো শিথিলতা বা গাফিলতি সহ্য করা হবে না।’

একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলেও আশা করেন সিইসি।

অপতথ্য থেকে সতর্ক

অসত্য ও অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারিত তথ্যে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়ে থাকে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অসত্য তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রতিপক্ষ দল ও প্রার্থীকে হেয় করার পাশাপাশি নারীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারণা নির্বাচনকে কলুষিত করে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এসব রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোটারদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ, অসত্য এবং অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারিত কোনো তথ্যে কান দেবেন না, গ্রহণ করবেন না। মনে রাখবেন, অসত্য তথ্য শেয়ার করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

ইসির পদক্ষেপ

ভাষণে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে গত এক বছরে ইসির নেওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সিইসি। তিনি বলেন, শুরুতেই ইসি ভোটার তালিকার কাজে হাত দেয়। নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি ভোটবিমুখ ও বাদ পড়া প্রায় ৪৫ লাখ ভোটারকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২১ লাখের বেশি মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়া নারী ভোটারদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে নারী-পুরুষ ভোটারের ব্যবধান উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা হয়েছে।

সিইসি বলেন, ভোটার তালিকা আইন সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ভোটার হওয়ার যোগ্য তরুণ ভোটারেরা ভোট দিতে পারছেন। গত ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ভোটারসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ এবং নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন।

সিইসি বলেন, গত এক বছরে ইসির সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। সবার জবাবদিহি বাড়াতে আইনি ও কাঠামোগত সংস্কার করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন সুপারিশের পাশাপাশি ইসির নিজস্ব মূল্যায়ন ও অংশীজনের পরামর্শের ভিত্তিতে এসব সংস্কার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করায় তিনি অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ অংশীজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।