Thank you for trying Sticky AMP!!

বিএনপি কেন গণহত্যা দিবস পালন করে না, প্রশ্ন কাদেরের

আজ শনিবার জাতীয় গণহত্যা দিবস স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

বিএনপি কেন ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে না, সে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পাকিস্তানের দালাল পার্টি। তাদের হৃদয়ে পাকিস্তান, চেতনায় পাকিস্তান। বিএনপি ২৫ মার্চ-২৬ মার্চের চেতনা ধারণ করে না।

আজ শনিবার জাতীয় গণহত্যা দিবস স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপি কেন ২৫ মার্চ পালন করতে চায় না? তাদের কেন কোনো কর্মসূচি থাকে না? নির্মম, পৈশাচিক, বর্বর গণহত্যার দিনেও তারা চুপচাপ। এই দিবসের প্রতি তাদের কোনো ভালোবাসা, চেতনাবোধ নেই।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জার্মানরা ইহুদিদের ওপর যে হামলা চালিয়েছিল, সেই হলোকাস্টে ৬০ লাখ নর-নারীকে হত্যা করা হয়, আর্মেনিয়ানদের ওপর তুর্কির হামলায় ১৪ লাখ লোকের মৃত্যু হয়। রুয়ান্ডার গণহত্যায় ৮ লাখের মৃত্যু হয়। আমরা ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে টার্গেট করে কথা বলার প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনেকে বলে মির্জা ফখরুলকে টার্গেট করে নাকি কথা বলি। ফখরুল প্রতিদিন আমাদের টার্গেট করে কথা বলেন। ফখরুলের উদ্দেশে কিছু বললে আপনাদের গায়ে জ্বালা করে কেন। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী সব অপশক্তির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল। তাঁর বিরুদ্ধে কেন কথা বলব না।’

Also Read: আবারও ফখরুলকে লক্ষ্য বানালেন ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের বলেন, যেই পাকিস্তান গণহত্যার জন্য ক্ষমা চায়নি, তাদের কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেনি, সেই পাকিস্তানের দালাল বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে, এটাই ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবসের শপথ হোক।

রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত কোথাও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইফতার পার্টি করা হবে না জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃচ্ছ্রসাধনের নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো ইফতার পার্টি হবে না। গরিব মানুষ, যাঁদের ইফতার কেনার কষ্ট, তাঁদের কাছে দলের পক্ষ থেকে ইফতারি ও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।