জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচনে গতকাল বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে অব্যবস্থাপনা ছিল। কোনো কোনো হলে সন্ধ্যার পরও ভোট নিতে হয়েছে।
রাত একটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল। যন্ত্র বাদ দিয়ে হাতে গোনা হচ্ছিল ভোট। কারণ, কয়েকটি প্যানেল যন্ত্রে ভোট গোনা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল যন্ত্রে ও হাতে ভোট গণনা হবে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ভোট গণনা শেষ করতে সারা রাত লেগে যাবে। তাঁরা আশা করছেন আজ শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
এর আগে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ভোট গ্রহণের সময় শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন বর্জন করে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল। আরও চারটি প্যানেল ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।
জাকসুতে এবার পূর্ণ ও আংশিকসহ আটটি প্যানেল হয়েছিল। এর মধ্যে ছাত্রদলের প্যানেল, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের সংশপ্তক পর্ষদ (২৫ পদে ৫ প্রার্থী), স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ (৮ প্রার্থী) এবং ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের একটি প্যানেল (৩ প্রার্থী) ভোট বর্জন করেছে। কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও ভোট বর্জন করেছেন।
অবশ্য ভোটে ছিল ছাত্রশিবির-সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ-সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতুর নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন।
ছাত্রদলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গ ও নির্বাচন বানচাল করার অভিযোগ করে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের অধিকার আছে ভোট বর্জনের। তবে হেরে যাওয়ার চেয়ে তাদের ভোট বর্জন করা হয়তো ভালো। মনে হচ্ছে, তাই তারা নির্বাচন বর্জন করেছে।
জাকসুতে এবার ভোট হয়েছে ৩৩ বছর পর। এর আগে সর্বশেষ ভোট হয় ১৯৯২ সালে। নির্বাচন নিয়ে অনেকের মধ্যে উৎসাহ ছিল। জাকসু ভোটের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন রাতে জানিয়েছে, ভোট পড়তে পারে ৬৮ শতাংশের আশপাশে।
ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল নয়টায়। সকালে বিভিন্ন হল ঘুরে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে এসেছিলেন ভোট দিতে।
সকাল সোয়া নয়টার দিকে ঢাকা থেকে ভোট দিতে ক্যাম্পাসে আসেন শিক্ষার্থী মো. শহীদ উজ জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বহুদিন পর জাকসু নির্বাচন হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের অন্যতম মাধ্যম। যাঁরা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন, তাঁদের সবারই উচিত এসে ভোট দেওয়া।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ২১টি হল। অব্যবস্থাপনার কারণে নির্ধারিত সময় সকাল নয়টায় সব হলে ভোট গ্রহণ শুরু হয়নি। যেমন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ১৬ মিনিট পর এবং ফজিলাতুন্নেছা হলে সাড়ে নয়টার পর ভোট নেওয়া শুরু হয়।
হলগুলোতে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়মের পার্থক্যও দেখা যায়। ভোট গ্রহণের সময় কোনো কোনো হলে ভোটারদের আঙুলে অমোচনীয় কালি দেওয়া হয়। তার মধ্যে রয়েছে শহীদ সালাম-বরকত হল ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হল। তবে কোনো কোনো হলে কালি দেওয়া হয়নি। যেমন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে সকালে ভোটারদের আঙুলে অমোচনীয় কালি দিতে দেখা যায়নি। এই হলের হল সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভুল ছিল। কার্যকরী সদস্য পদে তিনজন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যালটে দেওয়া নির্দেশনায় একজনের নামের পাশে টিকচিহ্ন দিতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রগুলোতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির ব্যালট ছিল না। তাঁদের অন্যের সাহায্য নিয়ে ভোট দিতে দেখা যায়।
দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা অভিযোগ করতে শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে জাল ভোট দেওয়ার কথা শুনে ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছাত্রশিবিরের সমর্থকেরা জাল ভোট দিচ্ছেন—এমন গুঞ্জন শুনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসান ও তাঁর কয়েকজন অনুসারী কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকেন।
অবশ্য ১৫ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ শামীমা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ভোট দেওয়ার পর যে কালি দেওয়া হচ্ছিল, তা দীর্ঘ সময় স্থায়ী হচ্ছিল না। তখন নতুন কালি আনার জন্য কিছু সময় ভোট বন্ধ ছিল। এ সময় হট্টগোল শুরু হয়।
বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অসংগতি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের যে প্রস্তুতি থাকার কথা, তা তারা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি।
বিকেল চারটার দিকে মওলানা ভাসানী হলের অতিথিকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী। তিনি সংবাদ সম্মেলনে আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাওয়া, ব্যালট পেপার মেঝেতে পাওয়া যাওয়া, প্যানেলের ভিপি প্রার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ছাপানো ব্যালটে ভোট হওয়া এবং সব হলে ছাত্রদলের প্যানেলের এজেন্টদের (প্রতিনিধি) থাকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন।
জিএস পদপ্রার্থী আরও বলেন, ‘ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশাসন কেন ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছেপেছে। আমাদের প্রশ্ন, জামায়াত নেতার কোম্পানি থেকে ছাপানো ব্যালটের ১০ থেকে ২০ শতাংশ শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কি না।’ তাঁদের প্রার্থী ও এজেন্টদের বাধা দিয়ে ওই জাল ব্যালট পূরণ করে বাক্সে ভরা হচ্ছে কি না, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
ভোটকেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানিকেই সিসিটিভি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করে ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (কারসাজি) ব্যবস্থা করেছে বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
জাকসু নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের কথা জানায় প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী শরণ এহসান। তিনি বলেন, বুধবার রাতে ব্যালট বাক্স নিয়ে হট্টগোল থেকে শুরু করে রাত দুইটাই পোলিং এজেন্টের ঘোষণা দেওয়া এবং তার ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ম্যানেজ করতে না পারা, পোলিং এজেন্টদের কাজ করতে না দেওয়া, নারী হলে পুরুষ প্রার্থী প্রবেশ, ভোটার তালিকায় ছবি না থাকা, আঙুলে কালির দাগ না দেওয়া, ভোটার হওয়ার পরও তালিকায় নাম না থাকা ইত্যাদি অনেক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর গাফিলতি হয়েছে। এতে নির্বাচন ঘিরে অনেক সন্দেহ আর প্রশ্ন ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই দায় ব্যর্থ, অথর্ব ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
শরণ এহসান বলেন, ‘আমরা এই অনিয়মের নির্বাচনকে বয়কট করেছি এবং দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় নতুন করে তফসিল ঘোষণাসহ পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগে বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হয়নি বলে অভিযোগ করেন সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা।
বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে আয়োজিত আরেক সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের যথাযথ প্রস্তুতি ছিল না বলে অভিযোগ তোলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ-সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম।
ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন তিনজন শিক্ষক। তাঁরা হলেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান। তাঁরা বিএনপিপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাকসু নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা ভোট দেওয়ার পর হাতে কালির দাগ না থাকা, অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানোসহ নানা অভিযোগ তোলেন।
এদিকে ভোট চলাকালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে অবস্থান করছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান (সোহান)। তাঁকে প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কিছু কিছু হলে ভোট গ্রহণ শুরু করতে দেরি হয় এবং মাঝে ভোট নেওয়া বন্ধ ছিল। পাশাপাশি শেষ সময়েও ভোট দেওয়ার লাইনে শিক্ষার্থী ছিলেন। এসব কারণে সেসব হলে নির্ধারিত সময় বিকেল পাঁচটার পরও ভোট নেওয়া হয়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল হলে সন্ধ্যার পরও ভোট নেওয়া হয়।
সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সামগ্রিকভাবে নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। ছোট কিছু সমস্যা ছাড়া সুন্দরভাবে সবাই ভোট দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে গণনার পর চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।
বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে রাশিদুল আলম বলেন, শুধু আঙুলে কালি না দেওয়ার মাধ্যমে অনিয়মের সুযোগ নেই। অন্য বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে না বুঝে অভিযোগ করা হচ্ছে।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়।
ভোট গ্রহণ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন করা হয় পুলিশের দেড় হাজারের বেশি সদস্য। ছিলেন আনসার সদস্যরা। রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত হামলা বা সংঘর্ষের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোট বর্জনের পর রাতে মিছিল করে ছাত্রদল।
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন প্রথম আলোকে বলেন, জাকসু নির্বাচন সবার প্রত্যাশিত ছিল। সবাই চেয়েছিল নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিত্ব থাকবে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলবে। তিনি বলেন, ভোট গ্রহণের দিন শুরু থেকেই অব্যবস্থাপনা এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা গেল। তার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু প্যানেল নির্বাচন বর্জন করল। এটা হতাশাজনক।