জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ঢাকা, ১৫ মার্চ
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ঢাকা, ১৫ মার্চ

আগামী সংসদ নির্বাচন ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ হিসেবে হওয়া দরকার: জোনায়েদ সাকি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ হিসেবে হওয়া দরকার বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে সংস্কারকৃত সংবিধান দেশে টেকসই হয়। আদালত সেটিকে যথাযথ সুরক্ষা দিতে পারে। সেটি কত দিনে বাস্তবায়িত হবে, সে জন্য জাতীয় ঐকমত্য হওয়া দরকার।

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে গণমাধ্যমের কাছে এ মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ বৈঠক হয়।

বাংলাদেশের সংস্কার সবার দাবি উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘দেশকে নতুন বন্দোবস্তের দিকে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে সংবিধানসহ যে সংস্কারের প্রশ্ন আছে, আমরা বলেছি এ পদ্ধতি হওয়া উচিত জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে। অর্থাৎ ঐকমত্য ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে সবাই যেটাতে ঐকমত্যে পৌঁছাব, সেগুলো জাতীয় চার্টার (সনদ) আকারে সামনে আসবে। তা বাস্তবায়নে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।’ জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী হওয়ার কথাও বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে জাতিসংঘ পাশে আছে বলে বৈঠকে আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন। গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘জাতিসংঘ মনে করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যথাসম্ভব ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে আমাদের নিজেদের একটা জায়গায় পৌঁছাতে হবে, যাতে করে কী পদ্ধতিতে উত্তরণ পর্বটি পাড়ি দেব, তাতে একমত হতে পারি।’