সাইফুল হক (বাঁ থেকে), জোনায়েদ সাকি, আন্দালিভ রহমান পার্থ, নুরুল হক, ববি হাজ্জাজ
সাইফুল হক (বাঁ থেকে), জোনায়েদ সাকি, আন্দালিভ রহমান পার্থ, নুরুল হক, ববি হাজ্জাজ

শরিক দলের নেতারা গণসংবর্ধনামঞ্চে

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দলের নেতাদের রাজধানীর পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে নির্মিত গণসংবর্ধনামঞ্চে ডেকে নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এখানে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শরিক দলের নেতাদের মঞ্চে ডেকে নেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

মঞ্চে রয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারীসহ অনেকে মঞ্চে উপস্থিত আছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে গতকাল বুধবার রাত থেকেই পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় অবস্থান নেন সারা দেশ থেকে আগত দলীয় নেতা-কর্মীরা। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী সেখানেই রাত যাপন করেন। সকালে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকা।

বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের পুরো সড়কেই অবস্থান নিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। যাঁরা মঞ্চের কাছাকাছি যেতে পারেননি, তাঁরা যে যাঁর মতো সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।

পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক ছাড়াও বনানী, কুড়িল বিশ্বরোড, খিলক্ষেত ও বিমানবন্দর সড়কে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল নামে।

পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের পাশাপাশি যেসব সড়ক হয়ে তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতাল ও গুলশানের বাসভবনে যাবেন, সেসব সড়কেও বিএনপির বিপুল নেতা-কর্মীর অবস্থান লক্ষ করা গেছে।