Thank you for trying Sticky AMP!!

‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহতের প্রতিবাদে’ আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভে বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক

অধিবেশন ডাকা হলে সংসদ অভিমুখে কর্মসূচি: নুরুল হক

দেশে একসঙ্গে দুটো সংসদ রয়েছে বলে দাবি করেছেন গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ সংসদের অধিবেশন ডাকা হলে আমরা সংসদ অভিমুখে কর্মসূচি দেব। জনগণের গণ–আন্দোলনেই সরকারের পতন হবে।’

আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে আয়োজিত ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহতের প্রতিবাদে’ গণবিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন নুরুল হক।

নুরুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতি মাসে সীমান্তে পাঁচ থেকে সাতজন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়। সীমান্তে হত্যা বন্ধে আমাদের কেন রাজপথে দাঁড়াতে হবে? এটা তো রাষ্ট্রের দায়িত্ব। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা দেওয়া, সীমান্তে বিজিবির সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।’ ক্ষমতার জন্য এরা (আওয়ামী লীগ) ভারতের গোলামি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নুরুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতের গোলামি করলেও এ দেশের মানুষ ভারতের গোলামি করবে না। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নাই। তবে আমাদের আপত্তি ভারতের শাসকদের পলিসি, নীতি নিয়ে। তাই দল–মতনির্বিশেষে ভারতীয় এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।’

নুরুল হক দাবি করেন, ‘এ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে প্রশাসন, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী সব মহলে “ভারতীয় এজেন্ট” রয়েছে। এ দেশে সবচেয়ে বড় “ভারতীয় পণ্য” হলো আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগকেও বর্জন করুন, রাজপথে নামুন।’

গত ১০ ডিসেম্বর, ২৮ জুলাই, ২৮ অক্টোবরের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন কৌশলে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে নুরুল হক বলেন, গণতন্ত্রের বিজয় অনিবার্য। জয় হবেই।

গণবিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মুরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, ফাতিমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মশিউর রহমান, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক খালিদ হাসান, গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম।