
গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদারদের একে অপরকে হেয় করে উসকানিমূলক কথা বলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। ফলে বিভেদ বাড়ছে বলে মনে করে দলটি। এবি পার্টির নেতারা বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর যেতে না যেতেই অংশীদারদের একে অপরের প্রতি হিংসাত্মক আচরণ শহীদের রক্ত ও আত্মদানের প্রতি অসম্মান।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে কফিন নিয়ে প্রতীকী রোডমার্চে এবি পার্টির শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। শুক্রবার রাজধানীর বিজয় নগরের বিজয়-৭১ চত্বর থেকে রোডমার্চ শুরু হয়। প্রথমে যাত্রাবাড়ী মোড়ে শহীদ চত্বরে গিয়ে পথসভা করা হয়। পরে বাড্ডা, উত্তরা হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর চত্বরে এসে তা শেষ হয়। দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
রোডমার্চে এবি পার্টির নেতারা গোপালগঞ্জে ফ্যাসিবাদীদের গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, সরকারের ব্যর্থতা ও নানা অবয়বে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রচেষ্টার সমালোচনা করেন।
পথসভায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত জানুয়ারিতে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন অঙ্গীকার করেছিল, কেউ কাউকে হেয় করে কথা বলবে না। কিন্তু সম্প্রতি একে অপরকে ‘চরের দল’ এবং ‘চাঁদা তোলে পল্টনে, ভাগ যায় লন্ডনে’ বলে হেয় করে কথা বলেছেন দুই দলের নেতারা। বিএনপি জামায়াতকে রাজাকার আর জামায়াত বিএনপিকে চাঁদাবাজ-দখলদার বলে উসকানিমূলক মন্তব্য করছে। এর ফলে বিভেদ বাড়ছে ও ছড়িয়ে পড়ছে।
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের আচরণকে আগের মতো ফ্যাসিবাদী আস্ফালন মন্তব্য করে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।
এবি পার্টির রোডমার্চে দলটির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শাহ আবদুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, যুব পার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার, ছাত্রপক্ষের সাধারণ সম্পাদক রাফিউর রহমান প্রমুখ অংশ নেন।